পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১২ গল্পগুচ্ছ কাপড়; এবং প্রেয়সীর জন্য এসেন্স, সাবান, নতন গল্পের বহি এবং সবাসিত নারিকেলতৈল। মেঘমুক্ত আকাশে শরতের সযকিরণ উৎসবের হস্যের মতো ব্যাপ্ত হইয়া পড়িয়াছে; পকপ্রায় ধান্যক্ষেত্র থর্থর করিয়া কাঁপিতেছে; বর্ষাধেীত সতেজ তর-পল্লৰ নব শীতবায়তে সিরসির করিয়া উঠিতেছে—এবং তসরের চায়নাকোট পরিয়া, কাঁধে একটি পাকানো চাদর ঝালাইয়া, ছাতি মাথায়, প্রত্যাগত পথিকেরা মাঠের পথ দিয়া ঘরের মনখে চলিয়াছে। বৈদ্যনাথ বসিয়া বসিয়া তাই দেখেন এবং তাঁহার হদয় হইতে দীঘনিশ্বাস উচ্ছসিত হইয়া উঠে। নিজের নিরানন্দ গহের সহিত বাংলাদেশের সহস্র গহের মিলনোৎসবের তুলনা করেন এবং মনে মনে বলেন, বিধাতা কেন আমাকে এমন অকমাণ্য করিয়া সজেন করিয়াছেন।" ছেলেরা ভোরে উঠিয়াই প্রতিমানিমাণ দেখিবার জন্য আদ্যানাথের বাড়ির প্রাঙ্গণে গিয়া হাজির হইয়াছিল। খাবার বেলা হইলে দাসী তাহাদিগকে বলপবেক গ্রেফতার করিয়া লইয়া আসিল। তখন বৈদ্যনাথ বসিয়া বসিয়া এই বিশবব্যাপী উৎসবের মধ্যে নিজের জীবনের নিম্মফলতা সমরণ করিতেছিলেন। দাসীর হাত হইতে ছেলেদটিকে রে অবস্থা, এবার পুজোর সময় কী চাস বল দেখি।” অবিনাশ তৎক্ষণাৎ উত্তর করিল, “একটা নেীকো দিয়ো, বাবা।” ছোটোটিও মনে করিল, বড়ো ভাইয়ের চেয়ে কোনো বিষয়ে নান হওয়া কিছ নয়; কহিল, “আমাকেও একটা নেীকো দিযো, বাবা।” বাপের উপযুক্ত ছেলে ! একটা অকমণ্য কারকোয পাইলে আর-কিছু চাহে না। বাপ বলিলেন, “আচ্ছা।” এ দিকে যথাকালে পাজার ছয়টিতে কাশী হইতে মোক্ষদার এক খড়া বাড়ি ফিরিয়া আসিলেন। তিনি ব্যবসায়ে উকিল। মোক্ষদা কিছুদিন ঘন ঘন তাঁহার বাড়ি যাতায়াত করিলেন । অবশেষে একদিন স্বামীকে আসিয়া বলিলেন, “ওগো তোমাকে কাশী যাইতে হইতেছে।” বৈদ্যনাথ সহসা মনে করিলেন, বুঝি তাঁহার মৃত্যুকাল উপস্থিত, গণক কোষ্ঠী হইতে আবিস্কার করিয়াছে; সহধর্মিণী সেই সন্ধান পাইয়া তাঁহার সম্পতি করিবার যুক্তি করিতেছেন। পরে শুনিলেন, এইরুপ জনশ্রুতি যে, কাশীতে একটি বাড়ি আছে, সেখানে গুপ্তཐཱ། ཨོཾ་ལ༢ ཐལ།: st གཏི་ tst་གཝ་ཝ་ཝ ཐ༢ ཚེས་༤ sia། ཕ་མ་ | বৈদ্যনাথ বলিলেন, “কণী সবনাশ। আমি কাশী যাইতে পারিব না।” বৈদ্যনাথ কখনো ঘর ছাড়িয়া কোথাও যান নাই। গহপথকে কী করিয়া ঘরছাড়া করিতে হয়, প্রাচীন শাসকারগণ লিখিতেছেন, সীলোকের সে সম্পবন্ধে অশিক্ষিত পটকা আছে। মোক্ষদা মুখের কথায় ঘরের মধ্যে যেন লঙ্কার ধোঁয়া দিতে পারিতেন;