পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গল্পগুচ্ছ ১১৭ রীতিমত নভেল প্রথম পরিচ্ছেদ ‘আল্লা হো আকবর’ শব্দে রণভূমি প্রতিধৰনিত হইয়া উঠিয়াছে। এক দিকে তিন লক্ষ যবনসেনা, অন্য দিকে তিন সহস্ৰ আযসৈন্য । বন্যার মধ্যে একাকী অশ্বশ্ববক্ষের মতো হিন্দবীরগণ সমস্ত রাত্রি এবং সমস্ত দিন যন্ধে করিয়া অটল দাঁড়াইয়া ছিল, কিন্তু এইবার ভাঙিয়া পড়িবে তাহার লক্ষণ দেখা যাইতেছে। এবং সেইসঙ্গে ভারতের জয়ধৰজা ভূমিসাং হইবে এবং আজিকার ওই অস্তাচলবতী সহস্ররশ্মির সহিত হিন্দপথানের গৌরবসন্য চিরদিনের মতো অস্তমিত হইবে। ‘হর হর বোম বোম!' পাঠক, বলিতে পার কে ওই দপ্ত যাবা পয়ল্লিশজন মাত্র অনচের লইয়া মন্ত অসি হতে অশ্বারোহণে ভারতের অধিষ্ঠাত্রী দেবীর করনিক্ষিপ্ত দীপ্ত বজ্রের ন্যায় শতৈেসন্যের উপরে আসিয়া পতিত হইল ? বলিতে পার কাহার প্রতাপে এই অগণিত যবনসৈন্য প্রচণ্ড বাত্যাহত অরণ্যানীর ন্যায় বিক্ষব্ধ হইয়া উঠিল ? কাহার বঞ্জমন্দ্রিত হর হর বোম বোমা শব্দে তিন লক্ষ লেচ্ছকণ্ঠের ‘আল্লা হো আকবর’ ধৰনি নিমন হইয়া গেল ? কাহার উদ্যত অসির সম্মুখে ব্যাঘ্রআক্লান্ত মেষয়থের ন্যার শত্রুসৈন্য মহোতে’র মধ্যে উধনশবাসে পলায়নপর হইল ? বলিতে পার সেদিনকার আর্যস্থানের সন্যদেব সহস্ররক্তকরপশে কাহার রক্তান্ত তরবারিকে আশীবাদ করিয়া আস্তাচলে বিশ্রাম করিতে গেলেন ? বলিতে পার কি পাঠক । ইনিই সেই ললিত সিংহ। কাঞ্চীর সেনাপতি। ভারত-ইতিহাসের ধারনক্ষত্র। দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ BB BB BBBB BBB BB BBBB S BDS BB DS BBBBBB BBBB BB এত চঞ্চল হইয়া উঠিয়াছে। কেবল কি বায়ভেরে না আনন্দভরে । বারে বারে কদলীতর ও মঙ্গলঘট গহে গহে শঙ্খধর্মনি, পথে পথে দীপমালা। পরপ্রাচীরের উপর লোকে লোকারণা। নগরের লোক কাহার জন্য এমন উৎসকে হইয়া প্রতীক্ষা করিতেছে। সহসা পরষেকঠের জয়ধৰনি এবং বামাকন্ঠের হলোধৰনি একত্র মিশ্রিত হইয়া অত্র ভেদ করিয়া নিনিমেষ নক্ষত্ৰলোকের দিকে উত্থিত হইল। নক্ষত্ৰশ্রেণী বায়ব্যাহত দীপমালার ন্যায় কপিতে লাগিল । ওই-যে প্রমত্ত তুরঙ্গমের উপর আরোহণ করিয়া বীরবর পরবারে প্রবেশ করিতেছেন, উহাকে চিনিয়াছ কি। উনিই আমাদের সেই পাব পরিচিত ললিতসিংহ, কাঞ্চীর সেনাপতি । শত্ৰ নিধন করিয়া স্বীয় প্রভু কাশ্মীরাজপদতলে শহরেন্ডাঙ্কিত থকা উপহার দিতে আসিয়াছেন। তাই এত উৎসব। কিন্তু, এত-যে জয়ধনি, সেনাপতির সে দিকে কণপাত নাই; গবাক্ষ হইতে পরললনাগণ এত-যে পাপবটি করিতেছেন, সে দিকে তাঁহার দকপাত নাই। অরণ্যপথ দিয়া যখন তৃষ্ণাতুর পথিক সরোবরের দিকে ধাবিত হয় তখন শতক পরাশি