পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জয়পরাজয় >&○ পারিলেন, সেখান হইতে আজ শত শত কৌতুহলপণ কৃষ্ণতারকার ব্যগ্রদটি এই জনতার উপরে অজস্র নিপতিত হইতেছে। একবার একাগ্রভাবে চিত্তকে সেই উধৱ লোকে উৎক্ষিপত করিয়া আপনার জয়লক্ষয়ীকে বন্দনা করিয়া আসিলেন ; মনেমনে কহিলেন, “আমার যদি আজ জয় হয় তবে, হে দেবী, হে অপরাজিতা, তাহাতে তোমারই নামের সাথকতা হইবে।” তরী ভেরি বাজিয়া উঠিল। জয়ধনি করিয়া সমাগত সকলে উঠিয়া দাঁড়াইল । ক্লবসন রাজা উদয়নারায়ণ শরৎপ্রভাতের শত্র মেঘরাশির ন্যায় ধীরগমনে সভার প্রবেশ করিলেন এবং সিংহাসনে উঠিয়া বসিলেন । পণ্ডেরীক উঠিয়া সিংহাসনের সম্মুখে আসিয়া দাঁড়াইলেন। বহং সভা সতৰ হইয়া গেল । বক্ষ বিসফাবিত করিয়া গ্রীবা ঈষৎ উধের হেলাইয়া, বিরাটমতি পণ্ডেরীক গম্ভীরস্বরে উদয়নারায়ণের স্তব পাঠ করিতে আরম্ভ করিলেন । কন্ঠস্বর ঘরে ধরে না— বহৎ সভাগাহের চারি দিকের ভিত্তিতে স্তম্ভে ছাদে সমুদ্রের তরঙ্গের মতো গম্ভীর মন্দুে আঘাত প্রতিঘাত করিতে লাগিল, এবং কেবল সেই ধবনির বেগে সমস্ত জনমণ্ডলীর বক্ষকবাট থর থর করিয়া পন্দিত হইয়া উঠিল। কত কৌশল, কত কারকোয উদয়নারায়ণ নামের কতরপে ব্যাখ্যা, রাজার নামাক্ষরের কত দিক হইতে কতপ্রকার বিন্যাস, কত ছন্দ, কত যমক ৷ পণ্ডেরীক যখন শেষ করিয়া বসিলন কিছুক্ষণের জন্য নিস্তব্ধ সভাগৃহ তাঁহার কন্ঠের প্রতিধননি ও সহস্র হৃদয়েব নিবাক বিস্ময়রাশিতে গম গম করিতে লাগিল । বহর দরদেশ হইতে আগত পণ্ডিতগণ দক্ষিণ হস্ত তুলিয়া উচ্ছসিত সবরে সাধ সাধন করিয়া উঠিলেন। তখন সিংহাসন হইতে রাক্তা একবার শেখরের মুখের দিকে চাহলেন। শেখরও ভক্তি প্রণয় অভিমন এবং একপ্রকার সকরণ সংকোচপণ দটি রাক্তার দিকে প্রেরণ করিল এবং ধীরে ধীরে উঠিয়া দাঁড়াইল । রাম যখন লোকবঞ্জনাথে দ্বিতীয়বার অগ্নিপরীক্ষা করিতে চাহিয়াছিলেন তখন সীতা যেন এইরুপভাবে চাহিয়া এমনি করিয়া তাহার স্বামীর সিংহাসনের সম্মুখে দাঁড়াইষাছিলেন। কবির দটি নীরবে রাজাকে জানাইল, আমি তোমারই । তুমি যদি বিশ্বসমক্ষে আমাকে দাঁড় করাইয়া পরীক্ষা কবিতে চাও তো করো। কিন্তু-- তাহার পরে নয়ন নত করিলেন। পণ্ডেরীক সিংহের মতো দাঁড়াইয়াছিল, শেখর চারি দিকে বাধবেষ্টিত হরিণের মতো দাঁড়াইল। তরণ যুবক, রমণীর ন্যায় লক্তা এবং স্নেহ-কোমল মাখ, পাণ্ডুকণ কপোল, শরীরাংশ নিতান্ত স্বল্প— দেখিলে মনে হয়, ভাবের পশমাকেই সমস্ত দেহ যন বীণার তারের মতো কপিয়া বাজিয়া উঠিবে। শেখর মুখ না তুলিয়া প্রথমে অতি মদবেরে আরম্ভ করিলেন। প্রথম একটা শেলাক বোধহয় কেহ ভালো করিষা শনিতে পাইল না। তাহার পরে ক্ৰমে ক্ৰমে মথে তুলিলেন– যেখানে দটিনিক্ষেপ কবিলেন সেখান হইতে যেন সমস্ত জনতা এবং রাজসভার পাষাণপ্রাচীর বিগলিত হইয়া বহদেরবতী অতীতের মধ্যে বিলতে হইয়া গেল। সমিষ্ট পরিকার কন্ঠস্বর কপিতে কাঁপতে উজ্জল অগ্নিশিখার নায়