পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

झल्लेि పిలిపి মামীর স্নেহহীন চক্ষে সে যে একটা দরগ্রহের মতো প্রতিভাত হইতেছে, এইটে ফটিকের সব চেয়ে বাজিত। মামী যদি দৈবাৎ তাহাকে কোনো-একটা কাজ করিতে বলিতেন তাহা হইলে সে মনের আনন্দে যতটা আবশ্যক তার চেয়ে বেশি কাজ করিয়া ফেলিত— অবশেষে মামী যখন তাহার উৎসাহ দমন করিয়া বলিতেন, “ঢের হয়েছে, ঢের হয়েছে। ওতে আর তোমায় হাত দিতে হবে না। এখন তুমি নিজের কাজে মন দাও গে। একটা পড়ো গে যাও”— তখন তাহার মানসিক উন্নতির প্রতি মামীর এতটা যত্নবাহলে তাহার অত্যন্ত নিষ্ঠর অবিচার বলিয়া মনে হইত। ঘরের মধ্যে এইরুপ অনাদর, ইহার পর আবার হফি ছাড়িবার জায়গা ছিল না। দেয়ালের মধ্যে আটকা পড়িয়া কেবলই তাহার সেই গ্রামের কথা মনে পড়িত। প্রকাণ্ড একটা ধাউস ঘড়ি লইয়া বোঁ বোঁ শব্দে উড়াইয়া বেড়াইবার সেই মাঠ, "তাইরে নাইরে নাইরে না করিয়া উচ্চৈঃস্বরে স্বরচিত রাগিণী আলাপ করিয়া অকমাণ্যভাবে ঘুরিয়া বেড়াইবার সেই নদীতীর, দিনের মধ্যে যখন-তখন ঝাঁপ দিয়া পড়িয়া সাঁতার কাটিবার সেই সংকীর্ণ স্রোতস্বিনী, সেই-সব দল-বল উপদ্রব স্বাধীনতা, এবং সবোপরি সেই অত্যাচারিণী অবিচারিণী মা অহনিশি তাহার নিরপোয় চিত্তকে আকর্ষণ করিত। জন্তুর মতো একপ্রকার অবঝে ভালোবাসা— কেবল একটা কাছে যাইবার অন্ধ ইচ্ছা, কেবল একটা না দেখিয়া অব্যক্ত ব্যাকুলতা, গোধুলিসময়ের মাতৃহীন বংসের BB BBB BB BBBBBB BH DS BBBS BB uBB BBBD Dtt BBBS অসন্দের বালকের অন্তরে কেবলই আলোড়িত হইত। স্কুলে এতবড়ো নিবোধ এবং অমনোযোগী বালক আর ছিল না। একটা কথা জিজ্ঞাসা করিলে সে হাঁ করিয়া চাহিয়া থাকিত। মাস্টার যখন মার আরম্ভ করিত তখন ভারক্লান্ত গদ'ভের মতো নীরবে সহ্য করিত। ছেলেদের যখন খেলিবার ছয়টি হইত তখন জ্ঞানালার কাছে দাঁড়াইয়া দরের বাড়িগলার ছাদ নিরীক্ষণ করিত; যখন সেই বিপ্রহর-রৌদ্রে কোনো-একটা ছাদে দটি-একটি ছেলেমেয়ে কিছ-একটা খেলার ছলে ক্ষণেকের জন্য দেখা দিয়া যাইত তখন তাহার চিত্ত অধীর হইয়া উঠিত। এক দিন অনেক প্রতিজ্ঞা করিয়া অনেক সাহসে মামাকে জিজ্ঞাসা করিয়াছিল, “মামা, মার কাছে কবে যাব।” মামা বলিয়াছিলেন, “স্কুলের ছয়টি হোক ৷” কাতিক মাসে পাজার ছয়টি, সে এখনো ঢের দেরি। এক দিন ফটিক তাহার স্কুলের বই হারাইয়া ফেলিল। একে তো সহজেই পড়া তৈরি হয় না, তাহার পর বই হারাইয়া একেবারে নাচার হইয়া পড়িল। মাস্টার প্রতি দিন তাহাকে অত্যন্ত মারধোর অপমান করিতে আরম্ভ করিলেন। স্কুলে তাহার এমন অবস্থা হইল যে, তাহার মামাতো ভাইরা তাহার সহিত সম্বন্ধ স্বীকার করিতে লক্ষজা বোধ করিত । ইহার কোনো অপমানে তাহারা অন্যানা বালকের চেয়েও যেন বলপবেক বেশি করিয়া আমোদ প্রকাশ করিত। অসহ্য বোধ হওযাতে একদিন ফটিক তাহার মামীর কাছে নিতান্ত অপরাধীর भटडा त्रिाग्ना कशिठन, “यझे शद्भिरग्न शट्व्नाइ ।” মামী অধরের দই প্রান্তে বিরক্তির রেখা অঙ্কিত করিয়া বলিলেন, “বেশ করেছ! আমি তোমাকে মাসের মধ্যে পাঁচবার করে বই কিনে দিতে পারি নে।”