পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সম্পাদক ఏ ఆసి আমি হংকার দিয়া উঠিলাম, “এখন যা, এখন বা, এখন বিরক্ত করিস নে।” বালিকার মনখখানি বোধ করি একটি ফৎকারে নিবাপিত প্রদীপের মতো অন্ধকার হইয়া গিয়াছিল; কখন সে অভিমানবিসফারিত-হৃদয়ে নীরবে ঘর হইতে বাহির হইয়া গেল আমি জানিতেও পারি নাই। দাসীকে তাড়াইয়া দিই, চাকরকে মারিতে যাই, ভিক্ষক সরে করিয়া ভিক্ষা করিতে আসিলে তাহাকে লাঠি লইয়া তাড়া করি। পথপাশেবাই আমার ঘর হওয়াতে যখন কোনো নিরীহ পাশ্ব জানলার বাহির হইতে আমাকে পথ জিজ্ঞাসা করে, আমি তাহাকে জাহান্নম-নামক একটা অস্থানে যাইতে অনুরোধ করি –হায়, কেহই ব্যকিত না, আমি খুব একটা মজার প্রহসন লিখিতেছি। কিন্তু যতটা মজা এবং যতটা যশ হইতেছিল সে পরিমাণে টাকা কিছই হয় নাই। তখন টাকার কথা মনেও ছিল না। এ দিকে প্রভার যোগ্য পারগুলি অন্য ভদ্রলোকদের কন্যাদায় মোচন করিবার জন্য গোকুলে বাড়িতে লাগিল, আমার তাহাতে খেয়াল ছিল না। পেটের জবালা না ধরিলে চৈতন্য হইত না, কিন্তু এমন সময় একটা সুযোগ জটিয়া গেল। জাহিরগ্রামের এক জমিদার একখানি কাগজ বাহির করিয়া আমাকে তাহার বেতনভোগী সম্পাদক হইবার জন্য অনুরোধ করিয়া পাঠাইয়াছেন। কাজটা স্বীকার করিলাম। দিনকতক এমনি প্রতাপের সহিত লিখিতে লাগিলাম যে, পথে বাহির হইলে লোকে আমাকে অঙ্গলি নির্দেশ করিয়া দেখাইত, এবং আপনাকে মধ্যাহ্নতপনের মতো দানিরীক্ষ্য বলিয়া বোধ হইত। জাহিরগ্রামের পাবে আহিরগ্রাম। দই গ্রামের জমিদারে ভারি দলাদলি। পবে: কথায় কথায় লাঠালাঠি হইত। এখন উভয় পক্ষে ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট মুচলেকা দিয়া লাঠি বন্ধ করিয়াছে এবং কুকের জীব আমাকে পববতী খনি লাঠিয়ালদের স্থানে নিযন্তে করিয়াছে। সকলেই বলিতেছে, আমি পদমর্যাদা রক্ষা করিয়াছি। আমার লেখার জালায় আহিরগ্রাম আর মাথা তুলিতে পারে না। তাহাদের জাতিকুল পাব পরেষের ইতিহাস সমস্ত আদ্যোপাত মসীলিপ্ত করিয়া দিয়াছি। এই সময়টা ছিলাম ভালো। বেশ মোটাসোটা হইয়া উঠিলাম। মুখ সবদা প্রসন্ন হাস্যময় ছিল। অাহিরগ্রামের পিতৃপয়েনষদের প্রতি লক্ষ করিয়া এক-একটা মম'তিক বাকাশেল ছাড়িতাম, আর সমস্ত জাহিরগ্রাম হাসিতে হাসিতে পাকা ফটির মতো বিদীণ হইয়া যাইত। বড়ো আনন্দে ছিলাম । অবশেষে আহিরগ্রামও একখানা কাগজ বাহির করিল। সে কোনো কথা ঢাকিয়া বলিত না। এমনি উৎসাহের সহিত অবিমিশ্র প্রচলিত ভাষায় গাল পাড়িত যে, ছাপার অক্ষরগলা পর্যন্ত যেন চক্ষের সমক্ষে চীংকার করিতে থাকিত। এইজন্য দই গ্রামের লোকেই তাহার কথা খাব পষ্ট বকিতে পারিত। কিন্তু আমি চিরাভ্যাসবশত এমনি মজা করিয়া এত কটকৌশল-সহকারে বিপক্ষদিগকে আক্ৰমণ করিতাম যে, শম্ভু মিত্র কেহই বকিতে পারিত না আমার কথার মমণ্টা কণী । ठाशच्न झण श्दैन ७३, छिउ इ३हल९ जरुटल प्रह्म कीव्र७ आशाग्न झाग्न इद्देश । "য়ে পড়িয়া সরোচি সম্বন্ধে একটি উপদেশ লিখিলাম। দেখিলাম ভারি ভুল