পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মধ্যবতিনী st& চন্দ্রালোকও সীমতিনীদের উন্মত শয়নকক্ষে নিঃশব্দ পদসঞ্চারে প্রবেশাধিকার লাভ করিয়াছে। হরসন্দেরীর ঘরের নীচেই প্রতিবেশীদের খিড়কির বাগান। সেটা যে বিশেষ কিছল সদশ্য রমণীয় স্থান তাহা বলিতে পারি না। এক সময় কে একজন শখ করিয়া গোটাকতক ক্লোটন রোপণ করিয়াছিল, তার পরে আর সে দিকে বড়ো-একটা দকপাত করে নাই। শাক ডালের মাচার উপর কুম্মাণ্ডলতা উঠিয়াছে; বন্ধ কুলগাছের তলায় বিষম জঙ্গল; রান্নাঘরের পাশে প্রাচীর ভাঙিয়া কতকগুলো ইন্ট জড়ো হইয়া আছে এবং তাহারই সহিত দগধাবশিষ্ট পাথরে কয়লা এবং ছাই দিন দিন রাশীকৃত হইয়া উঠিতেছে। কিন্তু, বাতায়নতলে শয়ন করিয়া এই বাগানের দিকে চাহিয়া হরসন্দেরী প্রতি মহেতে যে একটি আনন্দরস পান করিতে লাগিল তাহার অকিঞ্চিৎকর জীবনে এমন সে আর কখনো করে নাই। গ্রীষ্মকালে স্রোতোবেগ মন্দ হইয়া ক্ষুদ্র গ্রামানদীটি যখন বালশয্যার উপরে শীর্ণ হইয়া আসে তখন সে যেমন অত্যন্ত স্বচ্ছতা লাভ বায়পেশ তাহার সবাঙ্গ পুলকিত করিয়া তোলে, এবং আকাশের তারা তাহার সফটিকদপণের উপর সংখসমতির ন্যায় অতি সপেষ্টভাবে প্রতিবিন্বিত হয়, তেমনি হরসন্দরীর ক্ষীণ জীবনতন্তুর উপর আনন্দময়ী প্রকৃতির প্রত্যেক অঙ্গলি যেন পশ করিতে লাগিল এবং অন্তরের মধ্যে যে একটি সংগীত উঠিতে লাগিল তাহার ঠিক ভাবটি সে সম্পণে বকিতে পারিল না। এমন সময় তাহার স্বামী যখন পাশে বসিয়া জিজ্ঞাসা করিত “কেমন আছ’ তখন তাহার চোখে যেন জল উছলিয়া উঠিত। রোগশীর্ণ মুখে তাহার চোখ দটি অত্যন্ত বড়ো দেখায়, সেই বড়ো বড়ো প্রেমাদ্র সঙ্কতজ্ঞ চোখ বামীর মাখের দিকে তুলিয়া শীণহস্তে স্বামীর হস্ত ধরিয়া চুপ করিয়া পড়িয়া থাকিত, স্বামীর অন্তরেও যেন কোথা হইতে একটা নতন অপরিচিত আনন্দরশ্মি প্রবেশলাভ করিত। এই ভাবে কিছু দিন যায়। একদিন রাত্রে ভাঙা প্রাচীরের উপরিবতী খব অশথগাছের কম্পমান শাখাতরাল হইতে একখানি বাহং চাঁদ উঠিতেছে এবং সন্ধ্যাবেলাকার গমট ভাঙিয়া হঠাৎ একটা নিশাচর বাতাস জাগ্রত হইয়া উঠিয়াছে, এমন সময় নিবারণের চুলের মধ্যে অঙ্গলি বলাইতে বলাইতে হরসন্দেরী কহিল, “আমাদের তো ছেলেপলে কিছুই হইল না, তুমি আর-একটি বিবাহ করো।” হরসন্দেরী কিছুদিন হইতে এই কথা ভাবিতেছিল। মনে যখন একটা প্রবল আনন্দ একটা বহৎ প্রেমের সন্টার হয় তখন মানুষ মনে করে, আমি সব করিতে পারি। তখন হঠাৎ একটা আত্মবিসজনের ইচ্ছা বলবতী হইয়া উঠে । স্রোতের উচ্ছাস যেমন কঠিন তটের উপর আপনাকে সবেগে মাছি"ত করে তেমনি প্রেমের আবেগ, আনন্দের উচ্ছনাস, একটা মহং ত্যাগ, একটা বহৎ দঃখের উপর আপনাকে যেন নিক্ষেপ করিতে চাহে। সেইরাপ অবস্থায় অত্যন্ত পলকিত চিত্তে একদিন হরসঙ্গেরী স্থির করিল, आधाव्र व्याप्रौग्न छना श्राधि थट्रु वटफ़ा ७को किइ कब्रिव । किन्छू शङ्ग. यउथानि সাধ ততখানি সাধা কাহার আছে। হাতের কাছে কী আছে, কণী দেওয়া যায়। ঐশ্বৰ"