পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

प्रथादठिनौ ১৭৩৮ ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ ছোটোবউয়ের অসন্তোষ এবং অসখের আর শেষ নাই। সে কিছুতেই বঝিতে চায় না তাহার স্বামীর ক্ষমতা নাই। ক্ষমতা নাই যদি তো বিবাহ করিল কেন । উপরের তলায় কেবল দটিমাত্র ঘর। একটি ঘরে নিবারণ ও শৈলবালার শয়নগহে । আর-একটি ঘরে হরসুন্দরী থাকে। শৈলবালা খংখং করিয়া বলে, “আমি দিনরায়ি শোবার ঘরে কাটাইতে পারি না।” নিবারণ মিথ্যা আশ্বাস দিয়া বলিত, “আমি আর-একটা ভালো বাড়ির সন্ধানে आछि, भौष्ठ वाफ़ि वमन कर्गब्रव ।” শৈলবালা বলিত, “কেন, ওই তো পাশে আর-একটা ঘর আছে।” শৈলবালা তাহার পর্ব-প্রতিবেশিনীদের দিকে কখনো মুখ তুলিয়া চাহে নাই। নিবারণের বর্তমান দরবস্থায় ব্যথিত হইয়া তাহারা এক দিন দেখা করিতে আসিল; শৈলবালা ঘরে খিল দিয়া বসিয়া রহিল, কিছুতেই বার খলিল না। তাহারা চলিয়া গেলে রাগিয়া, কাঁদিয়া, উপবাসী থাকিয়া, হিসটিরিয়া করিয়া পাড়া মাথায় করিল। এমনতরো উৎপাত প্রায় ঘটিতে লাগিল । অবশেষে শৈলবালার শারীরিক সংকটের অবস্থায় গরতের পীড়া হইল, এমনকি গভর্ণপাত হইবার উপক্লম হইল । নিবারণ হরসন্দেরীর দুই হাত ধরিয়া বলিল, “তুমি শৈলকে বাঁচাও।” হরসন্দেরী দিন নাই, রান্তি নাই, শৈলবালার সেবা করিতে লাগিল। তিলমার কটি হইলে শৈল তাহাকে দবাক্য বলিত, সে একটি উত্তরমাত্র করিত না। শৈল কিছুতেই সাগ থাইতে চাহিত না, বাটিসন্ধে ছড়িয়া ফেলিত, জনরের সময় কাঁচা আমের অবল দিয়া ভাত খাইতে চাহিত। না পাইলে রাগিয়া, কাঁদিয়া, অনথ’পাত করিত। হরসন্দবী তাহাকে লক্ষয়ী আমার বোন আমার দিদি আমার বলিয়া শিশর মতো ভুলাইতে চেষ্টা করিত। কিন্তু শৈলবালা বাঁচিল না। সংসারের সমস্ত সোহাগ আদর লইয়া পরম অসুখ ও অসন্তোষে বালিকার ক্ষুদ্র অসম্পণে বাথ জীবন অকালে নষ্ট হইয়া গেল । সপ্তম পরিচ্ছেদ নিবারণের প্রথমে খুব একটা আঘাত লাগিল; পরক্ষণেই দেখিল তাহার একটা মস্ত বাঁধন ছিড়িয়া গিয়াছে। শোকের মধ্যেও হঠাৎ তাহার একটা মন্তির আনন্দ বোধ হইল। হঠাৎ মনে হইল এতদিন তাহার বকের উপর একটা দঃস্বপ্ন চাপিয়া ছিল। চৈতন্য হইয়া মহাতের মধ্যে জীবন নিরতিশয় লঘ্য হইয়া গেল। মাধবীলতাটির মতো এই-যে কোমল জীবনপাশ ছি-ড়িয়া গেল এই কি তাহার আদরের শৈলবালা । হঠাৎ নিশ্বাস টানিয়া দেখিল, না, সে তাহার উদবেন্ধনরজ। আয়, তাহার চিরজীবনের সঙ্গিনী হরসন্দেরী ? দেখিল সেই তো তাহার সমস্ত সংসার একাকিনী অধিকার করিয়া তাহার জীবনের সমস্ত সখদঃখের সমাতিমন্দিরের মাঝখানে বসিয়া আছে—কিন্তু তব মধ্যে একটা বিচ্ছেদ। ঠিক যেন একটি ক্ষদ্র