পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনধিকার প্রবেশ ミミ○ অনাচারী ব্যক্তি পরমাত্মীয় হইলেও দেবালয়ের প্রাঙ্গণে প্রবেশ করিতে পাইত না। জয়কালীর একটি যবনকরপক্ক-কুক্কটমাংস-লোলপে ভগিনীপতি আত্মীয়সন্দশন উপলক্ষ্যে গ্রামে উপস্থিত হইয়া মন্দির-অঙ্গনে প্রবেশ করিবার উপক্ৰম করিয়াছিলেন, জয়কালী তাহাতে ত্বরিত ও তীব্র আপত্তি প্রকাশ করাতে সহোদরা ভগিনীর সহিত তাহার বিচ্ছেদ-সম্পভাবনা ঘটিয়াছিল। এই দেবালয় সম্বন্ধে বিধবার এতই অতিরিক্ত অনাবশ্যক সতকতা ছিল যে, সাধারণের নিকট তাহা অনেকটা বাতুলতারপে প্রতীয়মান হইত। জয়কালী আর-সব তই কঠিন উন্নত স্বতন্ত্র, কেবল এই মন্দিরের সম্মুখে তিনি পরিপন্ণভাবে আত্মসমপণ করিয়াছিলেন । এই বিগ্রহটির নিকট তিনি একান্তরপে জননী, পত্নী, দাসী— ইহার কাছে তিনি সতক’, সকোমল, সন্দের এবং সম্পণে অবনম। এই প্রস্তরের মন্দির এবং প্রস্তরের মতিটি তাঁহার নিগঢ়ে নারীস্বভাবের একমাত্র চরিতার্থতার বিষয় ছিল । ইহাই তাঁহার স্বামী, পত্র, তাঁহার সমস্ত সংসার । ইহা হইতেই পাঠকেরা বুঝিবেন, যে বালকটি মন্দিরপ্রাগণ হইতে মাধবীমঞ্জরী আহরণ করিবার প্রতিজ্ঞা করিয়াছিল তাহার সাহসের সীমা ছিল না । সে জয়কালীর কনিষ্ঠ ভ্রাতুঙ্গপত্র নলিন। সে তাহার পিসিমাকে ভালো করিয়াই জানিত, তথাপি তাহার দদাত প্রকৃতি শাসনের বশ হয় নাই। যেখানে বিপদ সেখানেই তাহার একটা আকর্ষণ ছিল, এবং যেখানে শাসন সেখানেই লঙ্কন করিবার জন্য তাহার চিত্ত চঞ্চল হইয়া থাকিত। জনশ্রুতি আছে, বাল্যকালে তাহার পিসিমার স্বভাবটিও এইরুপ ছিল । জয়কালী তখন মাতৃস্নেহমিশ্রিত ভক্তির সহিত ঠাকুরের দিকে দৃষ্টি নিবন্ধ করিয়া দালানে বসিয়া একমনে মালা জপিতেছিলেন । বালকটি নিঃশব্দপদে পশ্চাৎ হইতে আসিয়া মাধবীতলায় দাঁড়াইল । দেখিল, নিম্নশাখার ফলগুলি পজার জন্য নিঃশেষিত হইয়াছে। তখন অতি ধীরে ধীরে সাবধানে মঞ্চে আরোহণ করিল। উচ্চ শাখায় দটি-একটি বিকচোমুখ কুড়ি দেখিয়া যেমন সে শরীর এবং বাহ প্রসারিত করিয়া তুলিতে যাইবে অমনি সেই প্রবল চেষ্টার ভরে জীর্ণ মঞ্চ সশব্দে ভাঙিয়া পড়িল। আশ্রিত লতা এবং বালক একত্রে ভূমিসাং হইল। জযকালী তাড়াতাড়ি ছটিয়া আসিয়া তাঁহার ভ্রাতুপত্রটির কীতি দেখিলেন, সবলে বাহ ধরিয়া তাহাকে মাটি হইতে তুলিলেন। আঘাত তাহার যথেষ্ট লাগিয়াছিল, কিন্তু সে আঘাতকে শাসিত বলা যায় না, কারণ, তাহা অজ্ঞান জড়ের আঘাত। সেইজন্য পতিত বালকের ব্যথিত দেহে জয়কালীর সজ্ঞান শাসিত মহামহের সবলে বষিত হইতে লাগিল। বালক একবিন্দ আশ্রপাত না করিয়া নীরবে সহা করিল। তখন তাহার পিসিমা তাহাকে টানিয়া লইয়া ঘরের মধ্যে রন্ধ করিলেন। তাহার সেদিনকার বৈকালিক আহার নিষিদ্ধ হইল । আহার বন্ধ হইল শুনিয়া দাসী মোক্ষদা কাতরকণ্ঠে ছলছলনেত্রে বালককে ক্ষমা করিতে অননয় করিল। জয়কালীর হৃদয় গলিল না। ঠাকুরানীর অজ্ঞাতসারে গোপনে ক্ষধিত বালককে কেহ যে খাদ্য দিবে, বাড়িতে এমন দুঃসাহসিক কেহ ছিল না। বিধবা মণ্যসংস্কারের জন্য লোক ডাকিতে পাঠাইয়া পনবার মালা হতে দালানে श्रानिग्ना बनिएलन । ८भाकमा किझ्दकण नरव्र नखरग्न निकरप्ले आनिम्ना कश्लि, “ठाकूब्रभा, কাকাবাব ক্ষধার কাঁদতেছেন, তাঁহাকে কিছর দধে আনিয়া দিব কি।”