পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ミ80 গল্পগুচ্ছ ঝিকা করিতে লাগিল, নিকটের আমশাখায় একটা পাপিয়া উচ্ছসিত কণ্ঠে মহেমহৈ গান গাহিয়া মনের আবেগ কিছুতেই নিঃশেষ করিতে পারিল না, খেয়ানৌকা লেক বোঝাই লইয়া পারাপার হইতে লাগিল, মেয়েরা ঘাটে জল লইতে আসিয়া উচ্চ কলম্বরে গিরির শবশরোলয়যাত্রার আলোচনা তুলিল, শশিভূষণ চশমা খালিয়া চোখ মছিয়া সেই পথের ধারে সেই গরাদের মধ্যে সেই ক্ষুদ্র গহে গিয়া প্রবেশ করিলেন। হঠাৎ একবার মনে হইল যেন গিরিবালার কন্ঠ শনিতে পাইলেন ! “শশীদাদা !"— কোথায় রে কোথায় ? কোথাও না! সে গহে না, সে পথে না, সে গ্রামে না— তাঁহার আশ্রজেলাভিষিক্ত অন্তরের মাঝখানটিতে। অস্টম পরিচ্ছেদ শশিভূষণ পুনরায় জিনিসপত্র বধিয়া কলিকাতা-অভিমুখে যাত্র করিলেন। কলিকাতায় কোনো কাজ নাই, সেখানে যাওয়ার কোনো বিশেষ উদ্দেশ্য নই ; সেইজন্য রেলপথে না গিয়া বরাবর নদীপথে যাওয়াই সিথর করিলেন । তখন পর্ণবষায় বাংলাদেশের চারি দিকেই ছোটো বড়ে অাঁকাবাক সহস্ৰ জলময় জাল বিস্তীণ হইযা পড়িয়াছে। সরস শ্যামল বংগভূমির শিরা-উপশিরাগুলি পরিপািণ হইয়া, তরলতা তৃণগলেম ঝোপঝাড় ধান পাট ইক্ষতে দশ দিকে উন্মত্ত যৌবনের প্রাচুর্য যেন একেবারে উদ্দাম উচ্ছৃঙ্খল হইয়া উঠিয়াছে। শশিভূষণের নৌকা সেই-সমস্ত সংকীর্ণ বক্ত জলস্রোতের মধ্য পিয়া চলিতে লাগিল। জল তখন তীরের সহিত সমতল হইয়া গিয়ছে। কাশবন শরবন এবং পথানে BB BBBB BBBB BBBB S BBB BBS BBBB B BBBBB BB BBBB BBB অব্যবহিত ধারে আসিয়া দাঁড়াইয়াছে— দেবকন্যরা যেন বাংলাদেশের তরমেলবতী আলবালগুলি জলসেচনে পরিপণ করিয়া দিয়াছেন । যাত্রার আরম্ভকালে সনানচিক্কণ বনশ্রী রৌদ্রে উক্তনল হাস্যময় ছিল, অনতিবিলম্বেই মেঘ করিয়া ব্যটি আরম্ভ হইল। তখন ষে দিকে দস্টি পড়ে সেই দিকই বিষন্ন এবং অপরিচ্ছন্ন দেখাইতে লাগিল। বন্যর সময়ে গোরুগলি যেমন জলবেষ্টিত মলিন পকিল সংকীর্ণ গোঠপ্রাঙ্গণের মধ্যে ভিড় কবিয়া কবণনেতে সহিকভাবে দাঁড় ইয়া শ্রাবণের ধারাবষণে ভিজিতে থাকে, বাংলাদেশ আপন:র কদমপিচ্ছিল ঘনসিক্ত রন্ধ জঙ্গলের মধ্যে মকেবিষন্নমুখে সেইরপে পীড়িত ভাবে অবিশ্রাম ভিজিতে লাগিল। চাষিরা টোকা মাথায় দিযা বাহির হইয়াছে ; স্ত্রীলোকেরা ভিঞ্জিতে ভিজিতে বাদলার শীতল বায়তে সংকুচিত হইয়া কুটীর হইতে কটরান্তরে গতক যে যাতায়াত করিতেছে ও পিছল ঘাটে অত্যন্ত সাবধানে পা ফেলিয়া সিক্তবস্তে জল তুলিতেছে, এবং গহস্থ পরে ষেরা দাওয়ায় বসিয়া তামাক খাইতেছে, নিতান্ত কাজের দায় থাকিলে কোমরে চাদর জড়াইয়া, জনতা হতে, ছাতি মাথায়, বাহির হইতেছে--- অবলা রমণীর মস্তকে ছাতি এই রৌদ্রদগধ বৰ্ষাপলাবিত বঙ্গদেশের সনাতন পবিত্র প্রথার মধ্যে নাই। বষ্টি যখন কিছুতেই থামে না তখন রন্ধ নৌকার মধ্যে বিরগু হইয়া উঠিয়া শশিভূষণ পনশ্চ রেলপথে যাওয়াই স্থির করিলেন। এক জায়গায় একটা প্রশস্ত মোহানার মতো জায়গায় আসিয়া শশিভূষণ নৌকা বধিয়া আহারের উদ্যোগ করিতে