পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ििन 있ty)이 ভাই-বোনকে চারি দিক হইতে ঘিরিয়া ধরিয়াছে। সে একা পত্রীলোক, অসহায় নীলমণিকে কেমন করিয়া রক্ষা করিবে ভাবিয়া কলেকিনারা পাইল না। যতই চিন্তা করিতে লাগিল ততই ভয়ে এবং ঘণায় এবং বিপন্ন বালক ভ্রাতাটির প্রতি অপরিসীম সেনহে তাহার হদয় পরিপণ হইয়া উঠিল। তাহার মনে হইতে লাগিল, সে যদি উপায় জানিত তবে লাটসাহেবের নিকট নিবেদন করিয়া, এমন কি, মহারানীর নিকট পত্র লিখিয়া তাহার ভাইয়ের সম্পত্তি রক্ষা করিতে পারিত। মহারানী কখনোই নীলমণির বাষিক সাত শত আটান্ন টাকা মনেফার হাসিলপর মহল বিক্রয় হইতে দিতেন না । এইরপে শশী যখন একেবারে মহারানীর নিকট দরবার করিয়া তাহার পিসতুতে দেবরকে সম্পণে জাদ করিয়া দিবার উপায় চিন্তা করিতেছে তখন হঠাৎ নীলমণির জর আসিয়া আক্ষেপ-সহকারে মছো হইতে লাগিল । জয়গোপাল এক গ্রাম্য নেটিভ ডাক্তারকে ডাকিল। শশী ভালো ডাক্তারের জন্য অনুরোধ করাতে জয়গোপাল কহিল, “কেন, মতিলাল মন্দ ডাক্তার কি।” শশী তখন তাহীর পায়ে পড়িল, মাথার দিব্য দিল ; জয়গোপাল বলিল, “আচ্ছা, শহর হইতে ডাক্তার ড:কিতে পাঠাইতেছি।” শশী নীলমণিকে কোলে করিয়া, বকে করিয়া পড়িয়া রহিল। নীলমণিও ৩;হাকে এক দণ্ড চোখের আড়াল হইতে দেয় না ; পাছে ফাঁকি দিয়া পালায় এই ভয়ে তাহাকে জুড়,ইয়া থাকে, এমন কি, ঘামাইয়া পড়িলেও অচিলটি ছাড়ে না। সমস্ত দিন এমনি ভালে কাটিলে সন্ধ্যার পর জয়গোপাল আসিয়া বলিল, শহরে ৬ান্তরিববি.কে পাওয়া গেল না, তিনি দরে কোথায় রোগী দেখিতে গিয়াছেন। ইহাও BBBS SBBBBBS BBBB BBBB BBB BBB BB BBBS BB BBBBBB বলিয়া গেলাম, সে নিয়মিত আসিয়া রোগী দেখিয়া যাইবে।” রাত্রে নীলমণি ঘমের ঘোরে প্রলপ বকিল। প্রাতঃকালেই শশী কিছুমাত্র বিচার না করিয়া রোগী ভ্রাতাকে লইয়া নৌকা চড়িয়া একেবারে শহরে গিয়া ডাক্তারের বাড়ি উপস্থিত হইল। ডাক্তার বাড়িতেই আছেন, শহর ছাড়িয়া কোথাও যান নাই। ভদ্রপীলোক দেখিয়া তিনি তাড়াতাড়ি বাসা ঠিক করিয়া একটি প্রাচীন বিধবার তত্ত্বাবধানে শশীকে প্রতিঠিত করিয়া দিলেন এবং ছেলেটির চিকিৎসা আরম্ভ করিলেন। পরদিনই জয়গোপাল আসিয়া উপস্থিত। ক্ৰোধে অগ্নিমতি হইয়া স্ত্রীকে তৎক্ষণাৎ তাহার সহিত ফিরিতে অনুমতি করিল। স্মী কহিল, “আমাকে যদি কাটিয়া ফেল তব আমি এখন ফিরিব না; তোমরা আমার নীলমণিকে মারিয়া ফেলিতে চাও ; উহার মা নাই, বাপ নাই, আমি ছাড় উহার আর কেহ নাই, আমি উহাকে রক্ষা করিব।” জয়গোপাল রাগিয়া কহিল, “তবে এইখানেই থাকো, তুমি আর আমার ঘরে ফিরিয়ো না।” শশী তখন প্রদীপ্ত হইয়া উঠিয়া কহিল, “ঘর তোমার কি! আমার ভাইয়ের তো ঘর।” জয়গোপাল কহিল, "আচ্ছা, সে দেখা যাইবে।” পাড়ার লোকে এই ঘটনায় কিছু দিন খাব আন্দোলন করিতে লাগিল।