পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

प्रिर्गम्। aもf為 নীলমণি পতেক শব্দের অর্থ না বকিয়া নিস্তব্ধভাবে ম্যাজিপোটের মুখের দিকে চাহিয়া রহিল। ম্যাজিস্ট্রেট-সাহেবের সহিত এই পরিচয়ের কথা নীলমণি অত্যন্ত উৎসাহের সহিত তাহার দিদির নিকট বর্ণনা করিল। মধ্যহ্নে চাপকান প্যাণ্টলন পাগড়ি পরিয়া জয়গোপাল ম্যাজিস্ট্রেটকে সেলাম করিতে গিয়াছে। অথী প্রত্যথী চাপরাশি কনসেটবলে চারি দিক লোকারগ্য। সাহেব গরমের ভয়ে তবির বাহিরে খোলা ছায়ায় ক্যাম্প টেবিল পাতিয়া বসিয়াছেন এবং জয়গোপালকে চৌকিতে বসাইয়া তাহাকে স্থানীয় অবস্থা জিজ্ঞাসা করিতেছিলেন। জয়গোপাল তাহার গ্রামবাসী সবসাধারণের সমক্ষে এই গৌরবের আসন অধিকার করিয়া মনে মনে স্ফীত হইতেছিল এবং মনে করিতেছিল, “এই সময়ে চক্লবতীরা এবং নন্দীরা কেহ আসিয়া দেখিয়া যায় তো বেশ হয়।” এমন সময় নীলমণিকে সঙ্গে করিয়া অবগঠেনাবত একটি স্ত্রীলোক একেবারে ম্যাজিস্ট্রেটের সম্মুখে আসিয়া দাঁড়াইল কহিল, "সাহেব, তোমার হাতে আমার এই অনাথ ভাইটিকে সমপণ করিলাম, তুমি ইহাকে রক্ষা করে ।” সাহেব তাঁহার সেই পাব পরিচিত বহংমস্তক গভীরপ্রকৃতি বালকটিকে দেখিয়া এবং সত্রীলোকটিকে ভদ্রস্ত্রীলোক বলিয়া অনুমান করিয়া তৎক্ষণাৎ উঠিয়া দাঁড়াইলেন ; কহিলেন, “আপনি তাঁবুতে প্রবেশ করন ।” সন্ত্রীলোকটি কহিল, “আমার যাহা বলিবার আছে আমি এইখানেই বলিব ।” ক্তযগোপাল লিবণ মুখে ছটফট করিতে লাগিল। কৌতুহলী গ্রামের লোকেরা পরম কৌতুক অনুভব করিয়া চারি দিকে ঘেষিয়া আসিবার উপক্ৰম করিল। সাহেব বেত উচিাইবা মাত্ৰ সকলে দৌড় দিল । তখন শশী তাহার ভ্রাতার হাত ধরিয়া সেই পিতৃমাতৃহীন বালকের সমনত ইতিহাস BBBBBB BBB BBS BBBBBB BB BB BB BBBB BBBB BBB ম্যাজিস্ট্রেট রক্তবণম,খে গজন করিয়া বলিয়া উঠিলেন “চুপ রও” এবং বেতাগ্র বারা তাহাকে চৌকি ছাড়িয়া সম্মুখে দাঁড় ইতে নির্দেশ করিয়া দিলেন। জয়গোপাল মনে মনে শশীর প্রতি গক্তন করিতে করিতে চুপ করিয়া দাঁড়াইয়া রহিল। নীলমণি দিদির অত্যন্ত কাছে ঘোষিয়া অবাক হইয়া দাঁড়াইয়া শুনিতে লাগিল । শশাঁর কথা শেষ হইলে ম্যাজিস্ট্রেট জয়গোপালকে গুটিকতক প্রশ্ন করিলেন এবং তাহার উত্তর শনিয়া অনেক ক্ষণ চুপ করিয়া থাকিয়া শশীকে সবোধনপবক কহিলেন, "বাছা, এ মকদমা যদিও আমার কাছে উঠিতে পারে না তথাপি তুমি নিশ্চিত থাকো--- এ সম্বন্ধে যাহা কতব্য আমি করিব। তুমি তোমার ভাইটিকে লইয়া নিভয়ে বাড়ি ফিরিয়া যাইতে পার।" শশী কহিল, “সাহেব, যত দিন নিজের বাড়ি ও না ফিরিয়া পায় তত দিন আমার ভাইকে বাড়ি লইয়া যাইতে সাহস করি না। এখন নীলমণিকে তুমি নিজের কাছে না রাখিলে ইহাকে কেহ রক্ষা করিতে পারবে না।” সাহেব কহিলেন, “তুমি কোথায় যাইবে।” শশী কহিল, “আমি আমার স্বামীর ঘরে ফিরিয়া যাইব, আমার কোনো ভাবনা নাই।”