গল্পগুচ্ছ ミ>> ঠাকুরদা প্রথম পরিচ্ছেদ নয়নজোড়ের জমিদারেরা এক কালে বাব বলিয়া বিশেষ বিখ্যাত ছিলেন। তখনকার কালের বাবয়ানার আদশ বড়ো সহজ ছিল না। এখন যেমন রাজা-রায়বাহাদর খেতাব অজ’ন করিতে অনেক খানা নাচ ঘোড়দৌড় এবং সেলাম-সপোরিশের শ্রান্ধ করিতে হয়, তখনও সাধারণের নিকট হইতে বাবা উপাধি লাভ করিতে বিস্তর দুঃসাধ্য তপশ্চরণ করিতে হইত। আমাদের নয়নজোড়ের বাবরা পাড় ছিড়িয়া ফেলিয়া ঢাকাই কাপড় পরিতেন, কারণ পাড়ের ককশতায় তাঁহাদের সুকোমল ববয়ানা ব্যথিত হইত। তাঁহারা লক্ষ টাকা দিয়া বিড়ালশাবকের বিবাহ দিতেন এবং কথিত আছে, একবার কোনো উৎসব উপলক্ষ্যে রাত্রিকে দিন করিবার প্রতিজ্ঞা করিয়া অসংখ্য দীপ জনালাইয়া সত্যকিরণের অনুকরণে তাঁহারা সচ্চি রুপার জরি উপর হইতে বর্ষণ করাইয়াছিলেন । ইহা হইতেই সকলে বুঝিবেন, সেকালে বাবদের ববয়ানা বংশানুক্ৰমে স্থায়ী হইতে পারিত না । বহুবতিকাবিশিষ্ট প্রদীপের মতো নিজের তৈল নিজে অব কালের ধুমধামেই নিঃশেষ করিয়া দিত । আমাদের কৈলাসচন্দ্র রায়চৌধুরী সেই প্রখ্যাতযশ নয়নজোড়ের একটি নিবপিত বাব, । ইনি যখন জন্মগ্রহণ করিয়ছিলেন তৈল তখন প্রদীপের তলদেশে আসিয়া ঠেকিয়াছিল : ই হার পিতার মৃত্যু হইলে পর নয়নজেড়ের ববয়ানা গোটাকতক eBBBB BBBBBBB BBBB ttBSB BBB BBS DDD DBBBB BBS BBBB বিষয-আশয় ঋণের দায়ে বিক্রয় হইল : যে অলপ অবশিষ্ট রহিল তাহাতে পরপর ষের খ্যাতি রক্ষা করা সসম্ভব । সেইজনা নয়নজোড় ত্যাগ করিয়া পতকে সঙ্গে লইয়া কৈলাসবাব কলিকাতায় আসিয়া বাস করিলেন-- পত্রটিও একটি কন্যামাত্র রাখিয়া এই হত:গৗরব সংসার পরিত্যাগ করিয়া পরলোকে গমন করিলেন । আমরা তাঁহার কলিকাতার প্রতিবেশী । আমাদের ইতিহাসটা তাঁহাদের হইতে সম্পণে বিপরীত। আমার পিতা নিজের চেষ্টায় ধন উপাজন করিয়াছিলেন ; তিনি কখনও হটির নিনে কাপড় পরিতেন না, কড়াক্তাতির হিসাব রাখিতেন, এবং বাব উপাধি লাভের জন্য তাঁহার লালসা ছিল না। সেজন্য আমি তাঁহার একমাত্র পত্র তাঁহার নিকট কৃতজ্ঞ আছি । আমি যে লেখাপড়া শিখিয়াছি এবং নিজের প্রাণ ও মান -রক্ষার উপযোগী যথেষ্ট অর্থ বিনা চেষ্টায় প্রাপ্ত হইয়াছি, ইহাই আমি পরম গৌরবের বিষয় বলিয়া জ্ঞান করি— শন্যভাণ্ডারে পৈতৃক বাবয়ানার উজল ইতিহাসের অপেক্ষা লোহার সিন্দকের মধ্যে পৈতৃক কোম্পানির কাগজ আমার নিকট অনেক বেশি মাল্যবান বলিয়া মনে হয় । বোধ করি সেই কারণেই, কৈলাসবাব তাঁহাদের পাব গৌরবের ফেল-করা ব্যাকের উপর যখন দেদার ল’বাচোঁড়া চেক চালাইতেন তখন তাহা আমার এত অসহ্য ঠেকিত । আমার মনে হইত, আমার পিতা স্বহস্তে অথ” উপাজন করিয়াছেন বলিয়া কৈলাস
