পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রতিহিংসা ' eం: ঘরে পালন করিয়া নিজের অর্থে শিক্ষাদান করিতে লাগিলেন। h সেই কুলমদগবিত পিতামহের পৌত্রী ইন্দ্রাণী তাহার প্রভুগহে গিয়া আহার করিল না; ইহাতে তাহার প্রভুপত্নী নয়নতারার অন্তঃকরণে সমধর প্রীতিরস উদবেলিত হইয়া উঠে নাই সে কথা বলা বাহুল্য। তখন ইন্দ্রাণীর অনেকগুলি পধা নয়নতারার বিবেষকষায়িত কল্পনাচক্ষে প্রকাশ পাইতে লাগিল। প্রথম, ইন্দ্রণী অনেক গহনা পরিয়া অত্যন্ত সসজিত হইয়া আসিয়াছিল। মনিব-বাড়িতে এত ঐশ্বয্যের আড়ম্বর করিয়া প্রভুদের সহিত সমকক্ষতা দেখাইবার কণী আবশ্যক ছিল। দ্বিতীয়, ইন্দ্রাণীর রাপের গব। ইন্দ্রাণীর রপেটা ছিল সে বিষয়ে সন্দেহ নাই, এবং নিম্নপদস্থ ব্যক্তির এত অধিক রােপ থাকা অনাবশ্যক এবং অন্যায় হইতে পারে, কিন্তু তাহার গবটা সম্পণে নয়নতারার কল্পনা। রাপের জন্য কাহাকেও দোষী করা যায় না, এইজন্য নিন্দা করিতে হইলে অগত্যা গবের অবতারণা করিতে হয়। তৃতীয়, ইন্দ্রাণীর দাম্ভিকতা, চলিত ভাষায় বাহকে বলে দেমাক। ইন্দ্রাণীর একটি স্বাভাবিক গাভীষ ছিল । অত্যন্ত প্রিয় পরিচিত ব্যক্তি ব্যতীত সে কাহারও সহিত মাখামাখি করিতে পারিত না । তাহা ছাড়া গায়ে পড়িয়া একটা সোরগোল করা, অগ্রসর হইয়া সকল কাজে হস্তক্ষেপ করিতে যাওয়া, সেও তাহার স্বভাবসিন্ধ झिठन मा । } এইরুপ নানাপ্রকার অমলেক ও সমলেক কারণে নয়নতারা ক্রমশ উত্তপ্ত হইয়া উঠিতে লাগিল । এবং অনাবশ্যক সত্র ধরিয়া ইন্দ্রাণীকে “আমাদের ম্যানেজারের সত্ৰী” “আমাদের দেওয়ানের নাতনি” বলিয়া বারবার পরিচিত ও অভিহিত করিতে লাগিল। তাহার একজন প্রিয় মুখরা দাসীকে শিখাইয়া দিল— সে ইন্দ্রাণীর গায়ের উপর পড়িয়া সখীভাবে তাহার গহনাগুলি হাত দিয়া নাড়িয়া-নাড়িয়া সমালোচনা করিতে লাগিল- কণ্ঠী এবং বাজবেন্দের প্রশংসা করিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “হাঁ ভাই ७ कि फ्रान्तर्राप्ले-कच्ना ।” ইন্দ্রাণী পরম গভীরমুখে কহিল, “না, এ পিতলের ।” নয়নতারা ইন্দ্রাণীকে সম্বোধন করিয়া কহিল, “ওগো, তুমি ওখানে একলা দাঁড়িয়ে কী করছ, এই খাবারগুলো হাটখোলার পালকিতে তুলে দিয়ে এসো-না।” অদরে বাড়ির দাসী উপস্থিত ছিল। মেলিয়া নয়নতারার মাখের দিকে চাহিল এবং পরক্ষণেই নীরবে মিষ্টান্নপশে সরা খরি তুলিয়া লইয়া হাটখোলার পালকির উদ্দেশে নীচে চলিল। যিনি এই মিষ্টান্ন উপহার প্রাপ্ত হইয়াছেন তিনি শশব্যস্ত হইয়া কহিলেন, “তুমি কেন ভাই কষ্ট করছ, দাও-না ঐ দাসীর হাতে দাও।” ইন্দ্রাণী তাহাতে সম্মত না হইয়া কহিল, “এতে আর কষ্ট কিসের।” অপরা কহিলেন, “তবে ভাই, আমার হাতে দাও।” ऐब्छणी कर्णाश्ल, “मा, आश्रिद्दे नटझ शाझि ।” বলিয়া, অন্নপ্রণা যেমন নিপথগভীর মুখে সমক্ষে নেহে ভক্তকে বহুতে অন্ন তুলিয়া দিতে পারিতেন, তেমনি অটল স্নিগ্ধ ভাবে ইন্দ্রাণী পালকিতে মিষ্টান্ন রাখিয়া