পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* ** * প্রতিহিংসা ○>● করিয়াছিলেন, কখনও কৃতকায হইতে পারেন নাই। এবারে অনেক অননয়-বিনয় করিয়া, অনেক কদিয়া-কাটিয়া, অনেক দীনতা স্বীকার করিয়া গহনাগুলি ভিক্ষা চাহিলেন । নয়নতারা কিছুতেই দিলেন না; তিনি মনে করিলেন, তাঁহার চারি দিক হইতে সকলই খসিয়া পড়িবার উপক্রম হইয়াছে, এখন এই গহনাগুলি তাঁহার একমাত্র শেষ অবলম্ববনস্থল— এবং ইহা তিনি অন্তিম আগ্রহ-সহকারে প্রাণপণে চাপিয়া ধরিলেন । যখন কোথা হইতেও কোনো টাকা পাওয়া গেল না তখন ইন্দ্রাণীর প্রতিহিংসাদ্রকুটির উপরে একটা তীব্র আনন্দের জ্যোতি পতিত হইল। সে তাহার স্বামীর হাত চাপিয়া ধরিয়া কহিল, “তোমার যাহা কতব্য তাহা তো করিয়াছ, এখন তুমি ক্ষান্ত হও ; যাহা হইবার তা হউক ।” স্বামীর অবমাননায় উদ্দীপত, সতীর রোষানল এখনও নিবাপিত হয় নাই দেখিয়া অবিকা মনে মনে হাসিলেন। বিপদের দিনে অসহায় বালকের ন্যায় বিনোদ তাঁহার উপরে এমন একান্ত নিভার করিয়াছে যে, তাহার প্রতি তাঁহার দয়ার উদ্ৰেক হইয়াছে— এখন তাহাকে তিনি কিছুতেই ত্যাগ করিতে পারেন না । তিনি মনে করিতেছিলেন, তাহার নিজের বিষয় আবদ্ধ রাখিয়া টাকা উঠাইবার চেষ্টা করিবেন । কিন্তু ইন্দ্রাণী তহিকে মাথার দিব্য দিয়া বলিল, “ইহাতে আর তুমি হাত দিতে পারবে না।” অম্বিকাচরণ বড়ো ইতস্ততের মধ্যে পড়িয়া ভাবিতে বসিয়া গেলেন। তিনি ইন্দ্রাণীকে আস্তে আস্তে বক্সাইবার যতই চেষ্টা করিতে লাগিলেন ইন্দ্রাণী কিছতেই তাঁহাকে কথা কহিতে দিল না। অবশেষে অম্বিকা কিছু বিমৰ্ষ হইয়া, গম্ভীর হইয়া, নিঃশব্দে বসিয়া রহিলেন । তখন ইন্দ্রাণী লোহার সিন্দকে খুলিয়া তাহার সমস্ত গহন: একটি বহৎ থালায় সতপোকার করিল এবং সেই গর্ভার থালাটি বহ কষ্টে দই হতে তুলিয়া ঈষৎ হসিয়া তাহার স্বামীর পায়ের কাছে রাখিল । পিতামহের একমাত্র মেহের ধন ইন্দ্রাণী পিতামহের নিকট হইতে জমাবধি বৎসরে বৎসরে অনেক বহমতুল্য অলংকার উপহার পাইয়া আসিয়াছে: মিতাচারী স্বামীরও জীবনের অধিকাংশ সঞ্চয় এই সন্তানহীন রমণীর ভাণ্ডারে অলংকাররুপে রুপান্তরিত SBBBBS B BBBB BBBBBBB BBBB BBB BBBBB DBB BBBB BDDS আমার এই গহনাগুলি দিয়া আমার পিতামহের দত্ত দীন উম্মধার করিয়া আমি পনবার ং হার প্রভুবংশকে দান করিব।” এই বলিয়া সে সঙ্কল চক্ষ মুদ্রিত করিয়া মস্তক নত করিয়া কম্পনা করিল, তাহার BB BBBBBBBBBS BBBBBBBBBBS BBBBBBBBBBBS BBBBBB BDDDS গীরকাশিত বন্ধ পিতামহ এই মহতে এখানে উপস্থিত আছেন, এবং তাহার নত মস্তকে শীতল স্নেহহস্ত রাখিয়া তাহাকে নীরবে আশীবাদ করিতেছেন। বাঁকাগাড়ি পরগনা পনশ্চ ক্ৰয় হইয়া গেলে, তখন প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করিয়া গতভূষণা ইন্দ্রাণী আবার নয়নতারার অন্তঃপরে নিমন্ত্রণে গমন করিল ; আর তাহার মনে কোনো অপমান-বেদনা রহিল না। আষাঢ় ১৩০২ ৷ ২১