পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○ミミ গল্পগুচ্ছ কথা নিশ্চয় সত্য যে, আমি বরণীচের হাটে তুলার মাশলে আদায় করিয়া মাসে সাড়ে চার শো টাকা বেতন লইয়া থাকি। তখন আবার আমার প্রবক্ষণের অদ্ভুত মোহ স্মরণ করিয়া কেরোসিন-প্রদীপ্ত ক্যাপটেবিলের কাছে খবরের কাগজ লইয়া সকৌতুকে হাসিতে লাগিলাম। খবরের কাগজ পড়িয়া এবং মোগলাই খানা খাইয়া একটি ক্ষুদ্র কোণের ঘরে প্রদীপ নিবাইয়া দিয়া বিছানায় গিয়া শয়ন করিলাম। আমার সম্মুখবতী খোলা জানালার ভিতর দিয়া অন্ধকার বনবেষ্টিত অরালী পবতের উধৱদেশের একটি অত্যুজৰল নক্ষত্র সহস্ৰ কোটি যোজন দর আকাশ হইতে সেই অতিতুচ্ছ ক্যাম্পাখাটের উপর শ্ৰীষন্ত মাশল-কালেক্টরকে একদষ্টে নিরীক্ষণ করিয়া দেখিতেছিল— ইহাতে আমি বিস্ময় ও কৌতুক অনুভব করিতে করিতে কখন ঘন্মাইয়া পড়িয়াছিলাম বলিতে পারি না। কতক্ষণ ঘমোইয়াছিলাম তাহাও জানি না। সহসা এক সময় শিহরিয়া জাগিয়া উঠিলাম— ঘরে যে কোনো শব্দ হইয়াছিল তাহা নহে, কোনো যে লোক প্রবেশ করিয়াছিল তাহাও দেখিতে পাইলাম না। অন্ধকার পবতের উপর হইতে অনিমেষ নক্ষত্রটি অস্তমিত হইয়াছে এবং কৃষ্ণপক্ষেব ক্ষীণচন্দ্রলোক অনধিকারসংকুচিত লানভাবে আমার বাতায়নপথে প্রবেশ করিয়াছে। কোনো লোককেই দেখিলাম না। তব যেন আমার পল্ট মনে হইল, কে একজন আমাকে আস্তে আস্তে ঠেলিতেছে। আমি জাগিয়া উঠিতেই সে কোনো কথা না বলিয়া কেবল যেন তাহার অঙ্গরীখচিত পাঁচ অগলির ইঙ্গিতে অতি সাবধানে তাহার অনুসরণ করিতে আদেশ করিল। আমি অত্যন্ত চুপিচুপি উঠিলাম। যদিও সেই শতকক্ষপ্রকোঠময়, প্রকাণ্ডশন্যতাময়, নিদ্ৰিত ধৰনি এবং সজাগ প্রতিধৰনি -ময় বহৎ প্রাসাদে আমি ছাড়া আর জনপ্রাণীও ছিল না, তথাপি পদে পদে ভয় হইতে লাগিল, পাছে কেহ জাগিয়া উঠে। প্রাসাদের অধিকাংশ ঘর রন্ধ থাকিত এবং সে-সকল ঘরে আমি কখনও যাই নাই । সে রাত্রে নিঃশব্দপদবিক্ষেপে সংযতনিশবাসে সেই অদশ্য আহবানরপিণীর অনুসরণ করিয়া আমি যে কোথা দিয়া কোথায় যাইতেছিলাম, আজ তাহা স্পষ্ট করিয়া DDBBB BB BS BB BBBB BBBB BBBS BB BBB BBBBS BB BBuB DBBB সবেহৎ সভাগহ, কত রুদ্ধবায় ক্ষুদ্র গোপন কক্ষ পার হইয়া যাইতে লাগিলাম তাহার ঠিকানা নাই । আমার অদশ্য দন্তীটিকে যদিও চক্ষে দেখিতে পাই নাই তথাপি তাহার মতি আমার মনের অগোচর ছিল না। আরব রমণী, ঝোলা আস্তিনের ভিতর দিয়া শ্বেতপ্রস্তররচিতবৎ কঠিন নিটোল হস্ত দেখা যাইতেছে, টপির প্রান্ত হইতে মুখের উপরে একটি সক্ষম বসনের আবরণ পড়িয়াছে, কটিবন্ধে একটি বাঁকা ছরি বাঁধা। আমার মনে হইল, আরব্য উপন্যাসের একাধিক সহস্র রজনীর একটি রজনী আজ উপন্যাসলোক হইতে উড়িয়া সুসিয়াছে। আমি যেন অন্ধকার নিশীথে সতিমান বোগদাদের নিবাপিতদীপ সংকীর্ণ পথে কোনো-এক সংকটসংকুল অভিসারে যাত্রা