পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्राखछेिका 'ෆb‘A ভারতবষীয় ইংরাজমহলে কিঞ্চিৎ প্রতিপত্তি লাভ করিলেন। এমনকি মধ্যে মধ্যে সসীক ইংরাজের চা, ডিনার, খেলা এবং হাস্যকৌতুকের কিঞ্চিৎ কিঞ্চিৎ ভাগ পাইতে লাগিলেন। সৌভাগ্যমদমত্ততায় ক্রমশই তাঁহার শিরা-উপশিরাগুলি অলপ অলপ রীরী করিতে শরে করিল। এমন সময়ে একটি নতন রেলওয়ে লাইন খোলা উপলক্ষ্যে রেলওয়ে কোম্পানির নিমন্ত্রণে ছোটোলাটের সঙ্গে দেশের অনেকগুলি রাজপ্রসাদগবিত সম্প্রান্তলোকে গাড়ি বোঝাই করিয়া নবলৌহপথে যাত্রা করিলেন। প্রমথনাথও তাহার মধ্যে ছিলেন। ফিরিবার সময় একটা ইংরাজ দরোগা দেশীয় বড়োলোকদিগকে কোনো-এক বিশেষ গাড়ি হইতে অত্যন্ত অপমানিত করিয়া নামাইয়া দিল । ইংরাজবেশধারী প্রমথনাথও মানে মানে নামিয়া পড়িবার উপক্ৰম করিতেছেন দেখিয়া দারোগা কহিল, “আপনি উঠিতেছেন কেন, আপনি বসনে-না।” এই বিশেষ সমানে প্রমথনাথ প্রথমটা একটা সফীত হইয়া উঠিলেন। কিন্তু যখন গাড়ি ছাড়িয়া দিল, যখন তৃণহীন কযপধসর পশ্চিম প্রান্তরের প্রান্তসীমা হইতে মলান সন্যাসত-আভা সকরণেরন্তিম লন্জার মতো সমস্ত দেশের উপর বেন পরিব্যাপ্ত হইয়া পড়িল এবং যখন তিনি একাকী বসিয়া বাতায়নপথ হইতে অনিমেষনয়নে বনান্তরালবাসিনী কুষ্ঠিতা বঙ্গভূমির প্রতি নিরীক্ষণ করিয়া ভাবিতে লাগিলেন, তখন ধিক্কারে তাঁহার হদয় বিদীপ হইল এবং দুই চক্ষ দিয়া অনিজৰালাময়ী অশ্রদ্ধারা পড়িতে লাগিল। তাঁহার মনে একটা গল্পের উদয় হইল। একটি গদভ রাজপথ দিয়া দেবপ্রতিমার রথ টানিয়া চলিতেছিল, পথিকবগ তাহার সম্মুখে ধলায় লুণ্ঠিত হইয়া প্রতিমাকে প্রণাম করিতেছিল এবং মড় গদাভ আপন মনে ভাবিতেছিল, “সকলে আমাকেই সম্মান করিতেছে।” প্রমথনাথ মনে-মনে কহিলেন, “গদাভের সহিত আমার এই একট প্রভেদ দেখিতেছি, আমি আজ বকিয়াছি, সম্মান আমাকে নহে, আমার কন্ধের বোঝাগলোকে ৷” প্রমথনাথ বাড়ি আসিয়া বাড়ির ছেলেপলে সকলকে ডাকিয়া একটা হোমানি জনালাইলেন এবং বিলাতি বেশভূষাগুলো একে একে আহরতিস্বরপে নিক্ষেপ করিতে লাগিলেন । শিখা যতই উচ্চ হইয়া উঠিল ছেলেরা ততই উচ্ছসিত আনন্দে নতা করিতে লাগিল। তাহার পর হইতে প্রমথনাথ ইংরাজঘরের চায়ের চুমকে এবং রাটির টকেরা পরিত্যাগ করিয়া পনশ্চ গাহকোপদগের মধ্যে দগম হইয়া বসিলেন, এবং পবোন্ত লাঞ্ছিত উপাধিধারীগণ পববং ইংরাজের ঘারে বারে উকীৰ আন্দোলিত করিয়া सििर्गब्रट्ठ लाक्रिाठा । দৈবদ যোগে দভাগ্য নবেন্দশেখর এই পরিবারের একটি মধ্যমা ভগিনীকে বিবাহ করিয়া বসিলেন। বাড়ির মেয়েগুলি লেখাপড়াও যেমন জানে দেখিতে শুনিতেও তেমনি; নবেন্দ ভাবিলেন, “বড়ো জিতিলাম।” কিন্তু আমাকে পাইয়া তোমরা জিতিয়াছ" এ কথা প্রমাণ করিতে কালবিলম্ব করিলেন না। কোন সাহেব তাঁহার বাবাকে কবে কী চিঠি লিখিয়াছিল তাহা যেন নিতান্ত ভ্রমবশত দৈবক্রমে পকেট হইতে বাহির করিয়া শালীদের হতে চালান করিয়া