পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

880 গল্পগুচ্ছ সেই প্রতিজ্ঞা কি এমনি একটা অদ্ভুত পরিহাসে অদষ্ট তুড়ি দিয়া ভাঙিয়া দিল । কত ভালো ভালো বিবাহের প্রস্তাব অগ্রাহ্য করিয়াছেন, কত আত্মীয়বন্ধবোন্ধবদের সাননেয় অনুরোধ অবহেলা করিয়াছেন; উচ্চকুটবিতার আকষণ, অর্থের প্রলোভন, রাপখ্যাতির মোহ, সমস্ত কাটাইয়া অবশেষে কোন-এক অজ্ঞাত পল্লীগ্রামে বিলের ধারে এক অজ্ঞাত দরিদ্রের ঘরে এতবড়ো বিড়ম্ববনা, লোকের কাছে মুখ দেখাইবেন কী कर्गब्रम्ना । শবশরের উপরে প্রথমটা রাগ হইল। "প্রতারক এক মেয়ে দেখাইয়া আর-এক মেয়ের সহিত আমার বিবাহ দিল। কিন্তু ভাবিয়া দেখিলেন, নবীন তো তাঁহাকে বিবাহের পবে কন্যা দেখাইতে চান নাই এমন নয়, তিনি নিজেই দেখিতে অসম্মত হইয়াছিলেন। বধির দোষে যে এতবড়ো ঠকাটা ঠকিয়াছেন সে লন্জার কথাটা কাহারও কাছে প্রকাশ না করাই শ্রেয়ঃ বিবেচনা করিলেন। ঔষধ যেন গিলিলেন কিন্তু মুখের তারটা বিগড়াইয়া গেল। বাসরঘরের ঠাট্টা আমোদ কিছুই তাহার কাছে রুচিল না। নিজের এবং সবসাধারণের প্রতি রাগে তাঁহার সবাঙ্গ জলিতে লাগিল । এমনসময় হঠাৎ তাঁহার পাশববতিনী বধ অব্যন্ত ভীত স্বরে চমকিয়া উঠিল। সহসা তাহার কোলের কাছ দিয়া একটা খরগোসের বাচ্ছা ছটিয়া গেল। পরক্ষণেই সেদিনকার সেই মেয়েটি শশকশিশর অনুসরণ-পবেক তাহাকে ধরিয়া গালের কাছে রাখিয়া একান্ত সেনহে আদর করিতে লাগিল। “ঐ রে, পাগলি আসিয়াছে" বলিয়া সকলে তাহাকে চলিয়া যাইতে ইঙ্গিত করিল। সে ভক্ষেপমাত্র না করিয়া ঠিক বরকন্যার সম্মুখে বসিয়া শিশুর মতো কৌতুহলে কী হইতেছে দেখিতে লাগিল। বাড়ির কোনো দাসী তাহার হাত ধরিয়া টানিয়া লইবার চেষ্টা করিলে বর ব্যস্ত হইয়া কহিলেন, “আহা, থাক-না, বসাক।” মেয়েটিকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “তোমার নাম কী।” সে উত্তর না দিয়া দলিতে লাগিল । * ঘরসদ্ধে রমণী হাসিয়া উঠিল। কান্তি আবার জিজ্ঞাসা করিলেন, “তোমার হাসদুটি কতবড়ো হইল।” অসংকোচে মেয়েটি নীরবে তাঁহার মুখের দিকে চাহিয়া দেখিতে লাগিল । হতবধি কান্তি সাহসপবাক আবার জিজ্ঞাসা করিলেন, “তোমার সেই ঘাঘ আরাম হইয়াছে তো?” কোনো ফল পাইলেন না। মেয়েরা এমনভাবে হাসিতে লাগিল ষেন বর ভারি ঠকিয়াছেন। অবশেষে প্রশ্ন করিয়া খবর পাইলেন, মেয়েটি কালা এবং বোবা, পাড়ার যত পশুপক্ষীর প্রিয়সঙ্গিনী। সেদিন সে যে সন্ধা ডাক শনিয়া উঠিয়া ঘরে গিয়াছিল সে তাঁহার অনমানমার, তাহার আর-কোনো কারণ ছিল। কান্তি তখন মনে-মনে চমকিয়া উঠিলেন। যাহা হইতে বঞ্চিত হইয়া পথিবীতে তাঁহার কোনো সুখ ছিল না, শাভদৈবক্রমে তাহার নিকট হইতে পরিমাণ পাইয়া নিজেকে ধন্য জ্ঞান করিলেন। মনে করিলেন, “যদি এই মেয়েটির বাপের কাছে যাইতাম এবং সে ব্যক্তি আমার প্রার্থনা-অনুসারে কন্যাটিকে কোনোমতে আমার হাতে সমপণ করিয়া निभ्कृठि लाzख्द्र ८ळचत्रैो कर्गब्रष्ठ !'