পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গল্পগুচ্ছ 883 উলখেড়ের বিপদ বাবদের নায়েব গিরিশ বসরে অন্তঃপরে প্যারী বলিয়া একটি নতন দাসী নিযুক্ত হইয়াছিল। তাহার বয়স অল্প; চরিত্র ভালো। দর বিদেশ হইতে আসিয়া কিছুদিন কাজ করার পরেই একদিন সে বন্ধ নায়েবের অনুরাগদটি হইতে আত্মরক্ষার জন্য গহিণীর নিকট কাঁদিয়া গিয়া পড়িল। গহিণী কহিলেন, “বাছা, তুমি অন্য কোথাও যাও; তুমি ভালোমানুষের মেয়ে, এখানে থাকিলে তোমার সুবিধা হইবে না।” বলিয়া গোপনে কিছু অর্থ দিয়া বিদায় করিয়া দিলেন। কিন্তু পালানো সহজ ব্যাপার নহে, হাতে পথখরচও সামান্য, সেইজন্য প্যারী গ্রামে হরিহর ভট্টাচাব মহাশয়ের নিকট গিয়া আশ্রয় লইল। বিবেচক ছেলেরা কহিল, “বাবা, কেন বিপদ ঘরে আনিতেছেন।” হরিহর কাঁহলেন, “বিপদ স্বয়ং আসিয়া আশ্রয় প্রার্থনা করিলে তাহাকে ফিরাইতে পারি না।” গিরিশ বস সান্টাঙ্গে প্রণাম করিয়া কহিল, “ভট্টাচাষ মহাশয়, আপনি আমার কি ভাঙাইয়া আনিলেন কেন। ঘরে কাজের ভারি অসুবিধা হইতেছে।” ইহার উত্তরে হরিহর দু-চারটে সত্য কথা খুব শক্ত করিয়াই বলিলেন। তিনি মানী লোক ছিলেন, কাহারও খাতিরে কোনো কথা ঘরাইয়া বলিতে জানিতেন না। নায়েব মনে-মনে উগতপক্ষ পিপীলিকার সহিত তাঁহার তুলনা করিয়া চলিয়া গেল। যাইবার সময় খব ঘটা করিয়া পায়ের ধলা লইল। দই-চারিদিনের মধ্যেই ভট্টাচায্যের বাড়িতে পলিসের সমাগম হইল। গহিণীঠাকুরানীর বালিশের নীচে হইতে নায়েবের দীর একজোড়া ইয়ারিং বাহির হইল। কি প্যারী চোর সাব্যস্ত হইয়া জেলে গেল। ভট্টাচাষ মহাশয় দেশবিখ্যাত প্রতিপত্তির জোরে চোরাই-মাল-রক্ষার অভিযোগ হইতে নিকুতি পাইলেন। নায়েব পনশ্চ ব্রাহরণের পদধলি লইয়া গেল। ব্ৰাহয়ণ বুঝিলেন, হতভাগিনীকে তিনি আশ্রয় দেওয়াতেই প্যারীর সবনাশ ঘটিল। তাঁহার মনে শেল বিধিয়া রহিল। ছেলেরা কহিল, “জমিজমা বেচিয়া কলিকাতায় যাওয়া যাক, এখানে বড়ো মুশকিল দেখিতেছি।” হরিহর কহিলেন, “পৈতৃক ভিটা ছাড়িতে পারিব না ; আদাষ্টে থাকিলে বিপদ কোথায় না ঘটে ।” ইতিমধ্যে নায়েব গ্রামে অতিমাত্রায় খাজনা বধির চেষ্টা করায় প্রজারা বিদ্রোহী হইল। হরিহরের সমস্ত ব্ৰহেনাত্তর জমা, জমিদারের সঙ্গে কোনো সম্বন্ধ নাই। নায়েব তাহার প্রভুকে জানাইল, হরিহরই প্রজাদিগকে প্রশ্রয় দিয়া বিদ্রোহী করিয়া তুলিয়াছে। জমিদার কহিলেন, “যেমন করিয়া পার ভট্টাচাষকে শাসন করে।” নায়েব ভট্টচাষের পদধলি লইয়া কহিল, “সামনের ঐ জমিট পরগনার ভিটার মধ্যে পড়িতেছে ; ওটা তো ছাড়িয়া দিতে হয়।” হরিহর কহিলেন, “সে কী কথা! ও যে আমার বহনকালের ব্রহমন্ত্র।” হরিহরের গহপ্রাগণের সংলগ্ন পৈতৃক জমি জমিদারের পরগনার অন্তগত বলিয়া নালিশ রজে হইল। হরিহর বলিলেন, “এ জমিটা তো তবে ছাড়িয়া দিতে হয়, আমি তো বন্ধ বয়সে আদালতে সাঙ্কি দিতে পারিব না।” ছেলেরা বলিল, “বাড়ির गरणभ्न अभिप्लेोई र्याम शक्लिग्ना मिउ शम्न उद्भव छिप्लेग्न प्लेि"किय कौ कब्रिग्ना ।” প্রাণাধিক পৈতৃক ভিটার মায়ায় বদ্ধ কম্পিতপদে আদালতের সাক্ষ্যমঞ্চে গিয়া