পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नणम्नेनौफ़ 8げ> তা হলে সিথর ? अभळ कश्लि, “झाँ।” চার। মেয়েটি ভালো কি মন্দ তাও বাকি একবার দেখতে যাবারও তর সইল না। তোমার যে এমন দশা হয়ে এসেছে তা তো একটা আভাসেও প্রকাশ কর নি। ভূপতি। অমল, মেয়ে দেখতে চাও তো তার বন্দোবস্ত করি। খবর নিয়েছি, মেয়েটি সন্দেরী। অমল। না, দেখবার দরকার দেখি নে । চার্য। ওর কথা শোন কেন। সে কি হয়। কনে না দেখে বিয়ে হবে ? ও না দেখতে চায় আমরা তো দেখে নেব । অমল । না দাদা, ঐ নিয়ে মিথ্যে দেরি করবার দরকার দেখি নে । চার। কাজ নেই, বাপন—দেরি হলে বক ফেটে যাবে। তুমি টোপর মাথায় দিয়ে এখনি বেরিয়ে পড়ে । কী জানি, তোমার সাত রাজার ধন মানিকটিকে যদি আর কেউ কেড়ে নিয়ে যায় ! অমলকে চার কোনো ঠাট্রাতেই কিছুমাত্র বিচলিত করিতে পারিল না। চার। বিলেত পালাবার জন্যে তোমার মনটা বুঝি দৌড়চ্ছে ? কেন, এখানে আমরা তোমাকে মারছিলাম না ধরছিলাম ? হ্যাট কোট পরে সাহেব না সাজলে এখনকার ছেলেদের মন ওঠে না। ঠাকুরপো, বিলেত থেকে ফিরে এসে আমাদের মতো কালা অসমিদের চিনতে পারবে তো ? অমল কহিল, “তা হলে আর বিলেত যাওয়া কী করতে ।” ভূপতি হাসিয়া কহিল, “কালো রপে ভোলবার জন্যেই তো সাত সমন্দ্রে পেরোনো । ত ভয় কী চার, আমরা রইলাম, কালোর ভক্তের অভাব হবে না।” ভূপতি খুশি হইয়া তখনই বধ মানে চিঠি লিখিয়া পঠাইল । বিবাহের দিন সিম্বর হইয়া গেল । স্বাদশ পরিচ্ছেদ ইতিমধ্যে কাগজখানা তুলিয়া দিতে হইল। ভূপতি খরচ আর জোগাইয়া উঠিতে পারিল ন ! লোকসাধারণ-নামক একটা বিপলে নিমাম পদার্থের যে সাধনায় ভূপতি দীঘকাল পিনরাঠি একান্তমনে নিযুক্ত ছিল সেটা একম হতে বিসজন দিতে হইল। ভূপতির জীবনের সমস্ত চেষ্টা যে অভ্যস্ত পথে গত বারো বৎসর অবিচ্ছেদে চলিয়া আসিতেছে সেটা হঠাৎ এক জায়গায় যেন জলের মাঝখানে আসিয়া পড়িল । ইহার জন্য ভূপতি ছিমাহ প্রস্তুত ছিল না। অকস্মাৎ-বাধাপ্রাপ্ত তাহার এতদিনকার সমস্ত উদ্যমকে সে কোথায় ফিরাইয়া লইয়া যাইবে। তাহারা যেন উপবাসী অনাথ শিশসন্তানদের মতো ভূপতির মাখের দিকে চাহিল, ভূপতি তাহাদিগকে আপন অতঃপরে করুণাময়ী *মিশ্রষেপরায়ণা নারীর কাছে আনিয়া দাঁড় করাইল । নারী তখন কী ভাবিতেছিল। সে মনে-মনে বলিতেছিল, “এ কী আশচষ", অমন্সের বিবাহ হইবে সে তো খব ভালোই। কিন্তু এতকাল পরে আমাদের ছাড়িয়া পরের Sর বিবাহ করিয়া বিলাত চলিয়া যাইবে, ইহাতে তাহার মনে একবারও একটুখানির