পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নন্টনীড় 836 তখন আপনার জীবনকে চারার জীবন হইতে দরে সরাইয়া লইয়া— ডাক্তার যেমন সাংঘাতিক ব্যাধিগ্রস্ত রোগীকে দেখে, ভূপতি তেমনি করিয়া নিঃসম্পক লোকের মতো চারকে দরে হইতে দেখিল। ঐ একটি ক্ষীণশক্তি নারীর হদয় কী প্রবল সংসারের স্বারা চারি দিকে আক্রান্ত হইয়াছে। এমন লোক নাই যাহার কাছে সকল কথা ব্যক্ত করিতে পারে, এমন কথা নহে যাহা ব্যক্ত করা যায়, এমন স্থান নাই যেখানে সমস্ত হৃদয় উদঘাটিত করিয়া দিয়া সে হাহাকার করিয়া উঠিতে পারে—অথচ এই অপ্রকাশ্য অপরিহার্য অপ্রতিবিধেয় প্রত্যহপঞ্জীভূত দুঃখভার বহন করিয়া নিতান্ত সহজ সম্পন্ন করিতে হইতেছে। ভূপতি তাহার শয়নগহে গিয়া দেখিল, জানালার গরাদে ধরিয়া আশ্রহেীন অনিমেষ দটিতে চার বাহিরের দিকে চাহিয়া আছে। ভূপতি আস্তে আস্তে তাহার কাছে আসিয়া দাঁড়াইল—কিছ: বলিল না, তাহার মাথার উপরে হাত রাখিল। বিংশ পরিচ্ছেদ বন্ধর ভূপতিকে জিজ্ঞাসা করিল, “ব্যাপারখানা কী। এত ব্যস্ত কেন।” ভূপতি কহিল, “খবরের কাগজ—” বন্ধ । আবার খবরের কাগজ ? ভিটেমাটি খবরের কাগজে মড়ে গঙ্গার জলে ফেলতে হবে নাকি । ভূপতি। না, আর নিজে কাগজ করছি নে । বন্ধ। তবে ? 崛 ভূপতি। মৈশরে একটা কাগজ বের হবে, আমাকে তার সম্পাদক করেছে। বন্ধ । বাড়িঘর ছেড়ে একেবারে মৈশরে যাবে ? চারকে সঙ্গে নিয়ে বাছ ? ভূপতি। না, মামারা এখানে এসে থাকবেন। বন্ধ । সম্পাদক নেশা তোমার আর কিছুতেই ছটল না। ভূপতি । মানুষের যা হোক একটা-কিছু নেশা চাই । বিদায়কালে চার জিজ্ঞাসা করিল, “কবে আসবে।” ভূপতি কহিল, “তোমার যদি একলা বোধ হয়, আমাকে লিখো, আমি চলে আসব।” বলিয়া বিদায় লইয়া ভূপতি যখন বারের কাছ পৰ্যন্ত আসিয়া পেশছিল তখন হঠাৎ চার ছটিয়া আসিয়া তাহার হাত চাপিয়া ধরিল, কহিল, “আমাকে সঙ্গে নিয়ে যাও। আমাকে এখানে ফেলে রেখে যেয়ো না।” छ्°उि थर्धाकज्ञा माँफ़ाईब्रा काग्नदग्न भद्रथव्र मिश्क ऽाशित्वा ब्राश्ल। भर्दाच शिथिल হইয়া ভূপতির হাত হইতে চারীর হাত খালিয়া আসিল। ভূপতি চায়ার নিকট হইতে नद्भिग्ना याब्रान्माग्न उप्रानिग्ना भाँफ़ाईल । ভূপতি ব্যকিল, অমলের বিচ্ছেদসমতি যে বাড়িকে বেষ্টন করিয়া জনলিতেছে, চার দাবানলগ্রস্ত হরিণীর মতো সে বাড়ি পরিত্যাগ করিয়া পালাইতে চায়।–“কিন্তু, আমার কথা সে একবার ভাবিয়া দেখিল না ? আমি কোথায় পালাইব। যে পল্লী হাদয়ের