পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭ মাল্যদান & O2 শরীর আড়স্ট। যতীন ঔষধ আনিতে পাঠাইরা বোতলে করিয়া গরম জল আনিতে হকুম করিল। পটল কহিল, “ভারি মস্ত ডাক্তার হইয়াছ, পারে একট, গরম তেল মালিশ করিয়া দাও-না। দেখিতেছি না, পায়ের তেলো হিম হইয়া গেছে।” যতীন রোগিণীর পায়ের তলায় গরম তেল সবেগে ঘষিয়া দিতে লাগিল। চিকিৎসাব্যাপারে রাত্রি অনেক হইল। হরকুমার কলিকাতা হইতে ফিরিয়া আসিয়া বারবার কুড়ানির খবর লইতে লাগিলেন। যতীন বুঝিল, সন্ধ্যাবেলায় কম হইতে ফিরিয়া আসিয়া পটল-অভাবে হরকুমারের অবস্থা অচল হইয়া উঠিয়াছে—ঘন ঘন কুড়ানির খবর লইবার তাৎপয তাই। যতীন কহিল, “হরকুমারবাব ছটফট করিতেছেন; তুমি যাও, পটল ।” পটল কহিল, “পরের দোহাই দিবে বইকি। ছটফট কে করিতেছে তা বকিয়াছি। আমি গেলেই এখন তুমি বাঁচ। এ দিকে কথায় কথায় লক্ষজায় মুখচোখ লাল হইয়া উঠে- তোমার পেটে যে এত ছিল তা কে বুঝিবে ।” যতীন। আচ্ছা, দোহাই তোমার, তুমি এইখানেই থাকো। রক্ষা করো— তোমার ম,খ বন্ধ হইলে বাঁচ। আমি ভুল বুঝিয়াছিলাম— হরকুমারবাব বোধ হয় শাস্তিতে আছেন, এরকম সুযোগ তাঁর সবাদা ঘটে না । কুড়ানি আরাম পাইয়া যখন চোখ খলিল পটল কহিল, “তোর চোখ খোলাইবার জন্য তোর বর ষে আজ অনেকক্ষণ ধরিয়া তোকে পায়ে ধরিয়া সাধিয়াছে— আজ তাই বঝি এত দেরি করিলি । ছি ছি, ওঁর পায়ের ধলে নে ৷” কুড়ানি কতব্যবোধে তৎক্ষণাং গভীরভাবে যতীনের পায়ের ধলা লইল । যতীন দ্রুত পদে ঘর হইতে চলিয়া গেল । তাহার পরদিন হইতে যতীনের উপরে রীতিমত উপদ্রব আরশভ হইল। যতীন খাইতে বসিয়াছে, এমনসময় কড়ানি আসিয়া অম্বলানবদনে পাখা দিয়া তাহার মাছি তাড়াইতে প্রবত্ত হইল। যতীন বাস্ত হইয়া বলিয়া উঠিল, “থাক থাক, কাজ নাই।” কুড়ানি এই নিষেধে বিস্মিত হইয়া মুখ ফিরাইয়া পশ্চাদবতী ঘরের দিকে একবার চাহিয়া দেখিল— তাহার পরে আবার পনশ্চ পাখা দোলাইতে লাগিল। যতীন অন্তরালবতিনীর উদ্দেশে বলিয়া উঠিল, “পটল, তুমি যদি এমন করিয়া আমাকে জবালাও তবে আমি খাইব না – আমি এই উঠিলাম।” বলিয়া উঠিবার উপক্ৰম করিতেই কুড়ানি পাখা ফেলিয়া দিল। যতীন বালিকার বধিহীন মুখে তাঁর বেদনার রেখা দেখিতে পাইল: তৎক্ষণাৎ অন্তত হইয়া সে পতনবার বসিয়া পড়িল। কুড়ানি ষে কিছু বোঝে না, সে যে লঙ্গজা পায় না, বেদনা বোধ করে না, এ কথা যতীনও বিশ্বাস করিতে আরম্ভ করিয়াছিল। আজ চকিতের মধ্যে দেখিল, সকল নিয়মেরই ব্যতিক্রম আছে, এবং ব্যতিক্রম কখন হঠাৎ ঘটে আগে হইতে তাহা কেহই বলিতে পারে না। কুড়ানি পাখা ফেলিয়া দিয়া চলিয়া গেল। পরদিন সকালে যতীন বারান্দায় বসিয়া আছে, গাছপালার মধ্যে কোকিল অত্যন্ত ডাকাডাকি আরম্ভ করিয়াছে, আমের বোলের গন্ধে বাতাস ভারাক্রান্ত—এমনসময় সে দেখিল, কুড়ানি চায়ের পেয়ালা হাতে লইয়া যেন একটা ইতস্তত করিতেছে। তাহার হরিণের মতো চক্ষে একটা সকরণ ভয় ছিল—সে চা লইয়া গেলে যতীন বিরক্ত হইবে कि ना. ऐश cयन एन दर्राषज्ञा डेठेिरठ आब्रिटडाइल मा । वडौन बाधिष्ठ शईब्रा लेठेिन्ना ●●