পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাল্যদান (&సి పి ভূমিতলে পঞ্জীভূত সেই খালতকেশা লাণ্ঠিতবসনা নারী যেন নীরব একাগ্রতার ভাষায় বলিতেছে, “লও, লও, আমাকে লও। ওগো, আমাকে লও।” * পটল বিস্মিত হইয়া কহিল, “ও কী হইতেছে, কুড়ানি।” कूफ़ान छैठल ना; cन एवभन *क्लिग्ना झ्नि ठर्थान *क्लिग्ना ब्राश्न । *ाप्लेज কাছে আসিয়া তাহাকে পশ করিতেই সে উচ্ছসিত হইয়া ফলিয়া ফলিয়া কাঁদতে লাগিল। পটল তখন চকিত হইয়া বলিয়া উঠিল, “ও পোড়ারমখি, সবনাশ করিয়াছিস । মরিয়াছিস !” হরকুমারকে পটল কুড়ানির অবস্থা জানাইয়া কহিল, “এ কী বিপদ ঘটিল। তুমি কী করিতেছিলে, তুমি আমাকে কেন বারণ করিলে না।” হরকুমার কহিল, “তোমাকে বারণ করা যে আমার কোনোকালে অভ্যাস নাই । বারণ করিলেই কি ফল পাওয়া যাইত ।” পটল। তুমি কেমন স্বামী। আমি যদি ভুল করি, তুমি আমাকে জোর করিয়া থামাইতে পার না ? আমাকে তুমি এ খেলা খেলিতে দিলে কেন। এই বলিয়া সে ছটিয়া গিয়া ভূপতিতা বালিকার গলা জড়াইয়া ধরিয়া কহিল, “লক্ষমা বোন আমার, তোর কী বলিবার আছে আমাকে খালিয়া বল।” হায়, কুড়ানির এমন কী ভাষা আছে যে, আপনার হৃদয়ের অব্যক্ত রহস্য সে কথা দিয়া বলিতে পারে। সে একটি অনিবাচনীয় বেদনার উপর তাহার সমস্ত বািক দিয়া চাপিয়া পড়িয়া আছে—সে বেদনাটা কী, জগতে এমন আর কাহারও হয় কি না, তাহাকে লোকে কী বলিয়া থাকে, কুড়ানি তাহার কিছুই জানে না। সে কেবল কান্না দিয়া বলিতে পারে ; মনের কথা জানাইবার তাহার আর কোনো উপায় নাই । পটল কহিল, “কুড়ানি, তোর দিদি বড়ো দন্টের; কিন্তু তার কথা যে তুই এমন করিয়া বিশ্বাস করিলি, তা সে কখনও মনেও করে নি। তার কথা কেহ কখনও বিশ্বাস করে না; তুই এমন ভুল কেন করিলি। কুড়ানি, একবার মখে তুলিয়া তোর দিদির মখের দিকে চা; তাকে মাপ কর।” কিন্তু কুড়ানির মন তখন বিমুখ হইয়া গিয়াছিল, সে কোনোমতেই পটলের মুখের দিকে চাহিতে পারিল না; সে আরও জোর করিয়া হাতের মধ্যে মাথা গজিয়া রহিল। সে ভালো করিয়া সমস্ত কথা না বুঝিয়াও একপ্রকার মঢ়েভাবে পটলের প্রতি রাগ করিয়াছিল। পটল তখন ধীরে ধীরে বাহপাশ খালিয়া লইয়া উঠিয়া গেল— এবং জানালার ধারে পাথরের মতি’র মতো তথভাবে দাঁড়াইয়া ফাগানের রৌদ্রীচরণ সপোরিগাছের পল্লবশ্রেণীর দিকে চাহিয়া পটলের দুই চক্ষ দিয়া জল পড়িতে লাগিল । পরদিন কুড়ানির আর দেখা পাওয়া গেল না। পটল তাহাকে আদর করিয়া ভালো ভালো গহনা এবং কাপড় দিয়া সাজাইত। নিজে সে এলোমেলো ছিল, নিজের সাজ সম্বন্ধে তাহার কোনো যত্ন ছিল না, কিন্তু সাজগোজের সমস্ত শখ কুড়ানির উপর দিয়াই সে মিটাইয়া লইত। বহুকালসঞ্চিত সেই-সমস্ত বসনভূষণ কুড়ানির ঘরের মেজের উপর পড়িয়া আছে। তাহার হাতের বালাচুড়ি, নাসান্ত্রের লবগফলটি পষত সে খালিয়া ফেলিয়া গিয়াছে। তাহার পটলদিদির এতদিনের সমস্ত আদর সে যেন গা হইতে