পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কম ফল G 여 সম্বন্ধে কী বলতে পার বলো— আমি তোমাকে পাঁচ মিনিট সময় দিলেম । সতীশ । যা বলব তাতে ঐ ডগাটুকু লাল হয়ে উঠবে। নলিনী। বেশ বেশ, ভূমিকাটা মন্দ হয় নি। আজকের মতো ঐটুকুই থাক, বাকি টুকু আর-একদিন হবে। এখনই কান ঝাঁ ঝাঁ করতে শরে হয়েছে । নবম পরিচ্ছেদ বিধ। আমার উপর রাগ কর বা কর, ছেলের উপর কোরো না। তোমার পায়ে ধরি, এবারকার মতো তার দেনাটা শোধ করে দাও । মন্মথ । আমি রাগারগি করছি নে, আমার যা কতব্য তা আমাকে করতেই হবে । আমি সতীশকে বার বার বলেছি, দেনা করলে শোধবার ভার আমি নেব না। আমার সে কথার অন্যথা হবে না। বিধ । ওগো, এতবড়ো সত্যপ্রতিজ্ঞ যুধিষ্ঠির হলে সংসার চলে না। সতীশের এখন বয়স হয়েছে, তাকে জলপানি যা দাও তাতে ধার না করে তার চলে কী করে বলা দেখি । মন্মথ। যার যেরপে সাধ্য তার চেয়ে চাল বড়ো করলে কারোই চলে না= ফকিরেরও না, বাদশারও না । বিধ। তবে কি ছেলেকে জেলে যেতে হবে। মন্মথ। সে যদি যাবার আয়োজন করে এবং তোমরা যদি তার জোগাড় দাও তবে আমি ঠেকিয়ে রাখব কী করে । মঙ্গমথর প্রশথান । শশধরের প্রবেশ শশধর । আমাকে এ বাড়িতে দেখলে মন্মথ ভয় পায় । ভাবে, কালো কোত" ফরমাশ দেবার জন্য ফিতা হাতে তার ছেলের গায়ের মাপ নিতে এসেছি । তাই কদিন আসি নি। আজ তোমার চিঠি পেয়ে সবুে কান্নাকাটি করে আমাকে বাড়িছাড়া করেছে। বিধ। দিদি আসেন নি ? শশধর । তিনি এখনি আসবেন । ব্যাপারটা কণী । বিধ। সবই তো শুনেছ। এখন ছেলেটাকে জেলে না দিলে ওঁর মন সুস্থির হচ্ছে না। রাঙ্কিন-হামানের পোশাক তাঁর পছন্দ হল না, জেলখানার কাপড়টাই বোধ হয় তাঁর মতে বেশ সসভা। শশধর। আর যাই বল, মন্মথকে বোঝাতে যেতে আমি পারব না। তার কথা আমি বঝি নে, আমার কথাও সে বোঝে না, শেষকালে— বিধ। সে কি আমি জানি নে ! তোমরা তো তাঁর শী নও যে মাথা হেট করে সমস্তই সহ্য করবে। কিন্তু এখন এ বিপদ ঠেকাই কী করে। শশধর । তোমাক হাতে কিছ কি বিধা। কিছুই নেই– সতীশের ধার শধেতে আমার প্রায় সমস্ত গহনাই বাঁধা পড়েছে, হাতে কেবল বালাজোড়া আছে। সতীশের প্রবেশ শশধর । কী সতীশ, খরচপত্র বিবেচনা করে কর না, এখন কী মাশকিলে পড়েছ