পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○ ○○ গল্পগুচ্ছ সতীশ। আবার ঠাট্টা! তুমি বড়ো নিষ্ঠর। সত্যই বলছি নেলি, আজ বিদায় নিতে এসেছি। নলিনী। দোকানে যেতে হবে ? সতীশ। মিনতি করছি নেলি, ঠাট্টা করে আমাকে দগধ কোরো না। আজ আমি চিরদিনের মতো বিদায় নেব। নলিনী। কেন, হঠাৎ সেজন্য তোমার এত বেশি আগ্রহ কেন। সতীশ। সত্য কথা বলি, আমি যে কত দরিদ্র তা তুমি জান না। নলিনী। সেজন্য তোমার ভয় কিসের। আমি তো তোমার কাছে টাকা ধার চাই নি । সতীশ । তোমার সঙ্গে আমার বিবাহের সম্প্ৰবন্ধ হয়েছিল— নলিনী। তাই পালাবে ? বিবাহ না হতেই হৎকপ ! সতীশ । আমার অবস্থা জানতে পেরে মিস্টার ভাদুড়ি আমাদের সম্প্রবন্ধ ভেঙে দিলেন। নলিনী। অমনি সেই অপমানেই কি নিরদেশ হয়ে যেতে হবে। এত বড়ো অভিমানী লোকের কারও সঙ্গে কোনো সম্প্ৰবন্ধ রাখা শোভা পায় না। সাধে আমি তোমার মুখে ভালোবাসার কথা শনলেই ঠাট্টা করে উড়িয়ে দি। সতীশ । নেলি, তবে কি এখনও আমাকে আশা রাখতে বল । নলিনী । দোহাই সতীশ, আমন নভেলি ছাঁদে কথা বানিয়ে বোলো না, আমার হাসি পায়। আমি তোমাকে আশা রাখতে বলব কেন। আশা যে রাখে সে নিজের গরজেই রাখে, লোকের পরামশ শরনে রাখে না। সতীশ । সে তো ঠিক কথা। আমি জানতে চাই, তুমি দারিদ্র্যকে ঘণা কর কি না। নলিনী। খুব করি, যদি সে দারিদ্র্য মিথ্যার বারা নিজেকে ঢাকতে চেষ্টা করে । সতীশ । নেলি, তুমি কি কখনো তোমার চিরকালের অভ্যস্ত আরাম ছেড়ে গরিবের ঘরের লক্ষয়ী হতে পারবে । নলিনী। নভেলে যেরকম ব্যারামের কথা পড়া যায়, সেটা তেমন করে চেপে ধরলে আরাম আপনি ঘরছাড়া হয় । সতীশ । সে ব্যারামের কোনো লক্ষণ কি তোমার— নলিনী। সতীশ, তুমি কখনো কোনো পরীক্ষাতেই উত্তীণ হতে পারলে না। স্বয়ং নদীসাহেবও বোধ হয় অমন প্রশ্ন তুলতেন না। তোমাদের একচুলও প্রশ্রয় দেওয়া চলে না। সতীশ । তোমাকে আমি আজও চিনতে পারলেম না, নেলি। নলিনী। চিনবে কেমন করে। আমি তো তোমার হাল ফ্যাশানের টাই নই, কলার নই—দিনরাত যা নিয়ে ভাব তাই তুমি চেন। नठौल। स्नाभि शउ ८छाख्न कन्न बर्लाइ हर्नाल, झंभ आछ आश्वाटक अश्वन कथा ठवाटला ना। आभि त्य कौ नठग्न स्नादि ठा डूबि निश्चाझम्न छान– নলিনী। তোমার সম্বন্ধে আমার অন্তদন্টি যে এত প্রখর তা এতটা নিঃসংশয়ে স্থির কোরো না। ঐ বাবা আসছেন। আমাকে এখানে দেখলে তিনি অনর্থক বিরক্ত श्वन, त्राभि याई। প্রস্থান