পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাস্টারমশায় ●●● করিলেন–কিন্তু তিনি নাকি বরাবর ছাত্রদিগকে কড়া শাসনে চালাইয়া আজ পর্যন্ত प्रान्छेँच्नि प्रयामा अकब्ज ब्राथिम्रा त्रानिम्नाटझन, ८नदेजना ठाँशत्व छाबाच्न भिष्झेठा G আচারের শিষ্টতায় কেবলই বেসর লাগিল—সেই শাক সাধনায় ছেলে ভুলিল না। ননীবালা অধরলালকে কহিলেন, “ও তোমার কেমন মাস্টার। ওকে দেখিলেই ষে ছেলে অস্থির হইয়া উঠে । ওকে ছাড়াইয়া দাও।” বড়ো মাস্টার বিদায় হইল। সেকালে মেয়ে যেমন বয়-বরা হইত তেমনি ননীবালার ছেলে স্বয়ম্মাস্টার হইতে বসিল— সে যাহাকে না বরিয়া লইবে তাহার সকল পাস ও সকল সাটিফিকেট ব্যথা। এমনি সময়টিতে গায়ে একখানি ময়লা চাদর ও পায়ে ছোড়া ক্যাবিসের জনতা পরিয়া মাস্টারির উমেদারিতে হরলাল আসিয়া জটিল। তাহার বিধবা মা পরের বাড়িতে রধিয়া ও ধান ভানিয়া তাহাকে মফস্বলের এনট্রেন্স স্কুলে কোনোমতে এনট্রেন্স পাস করাইয়াছে। এখন হরলাল কলিকাতায় কলেজে পড়িবে বলিয়া প্রাণপণ প্রতিজ্ঞা করিয়া বাহির হইয়াছে। অনাহারে তাহার মুখের নিম্ন অংশ শুকাইয়া ভারতবর্ষের কন্যাকুমারীর মতো সর হইয়া আসিয়াছে, কেবল মস্ত কপালটা হিমালয়ের মতো প্রশস্ত হইয়া অত্যন্ত চোখে পড়িতেছে। মরভূমির বাল হইতে সায্যের আলো যেমন ঠিকরিয়া পড়ে তেমনি তাহার দুই চক্ষ হইতে দৈন্যের একটা অস্বাভাবিক দীপিত বাহির হইতেছে । দরোয়ান জিজ্ঞাসা করিল, “তুমি কী চাও। কাহাকে চাও।” হরলাল ভযে ভয়ে বলিল, “বাড়ির বাবরে সঙ্গে দেখা করিতে চাই ।” দরোয়ান কহিল, “দেখা হইবে না।” তাহার উত্তরে হরলাল কী বলিবে ভাবিয়া না পাইয়া ইতস্তত করিতেছিল, এমন সময় সাত বছরের ছেলে বেণগোপাল বাগানে খেলা সারিয়া দেউড়িতে আসিয়া উপস্থিত হইল। দরোয়ান হরলালকে বিধা করিতে দেখিয়া আবার কহিল, “বাব, চলা যাও ।” বেণর হঠাৎ জিদ চড়িল— সে কহিল, “নেহি যায় গা।" বলিয়া সে হরলালের হাত ধরিয়া তাহাকে দোতলার বারান্দায় তাহার বাপের কাছে লইয়া হাজির করিল। বাব তখন দিবানিদ্রা সারিয়া জড়ালসভাবে বারান্দায় বেতের কেদারায় চুপচাপ বসিয়া পা দোলাইতেছিলেন ও বন্ধ রতিকান্ত একটা কাঠের চৌকিতে আসন হইয়া বসিয়া ধীরে ধীরে তামাক টানিতেছিল। সেদিন এই সময়ে এই অবস্থায় দৈবক্রমে হরলালের মাস্টারি বাহাল হইয়া গেল । রতিকাত জিজ্ঞাসা করিল, “আপনার পড়া কিপর্যন্ত ।” হরলাল একটখানি মখ নিচু করিয়া কহিল, “এনট্রেস পাস করিয়াছি।” রতিকাত শ্ৰত তুলিয়া কহিল, “শধ্যে এনট্রেস পাস ?” আমি বলি কলেজে পড়িয়াছেন। আপনার বয়সও তো নেহাত কম দেখি না।” হরলাল চুপ করিয়া রহিল। আশ্রিত ও আশ্রয়প্রত্যাশীদিগকে সকল রকমে পীড়ন করাই রতিকাতের প্রধান আনন্দ ছিল। ब्राउकाब्ठ आमन्त्र कब्रिब्रा त्वष्टक त्काट्लज्ञ काट्इ छैनिम्ना लद्देवान्न रुष्को कब्रिग्ना কহিল, “কত এম-এ বি-এ আসিল ও গেল, কাহাকেও পছন্দ হইল না— আর শেষকালে কি সোনাবাব এনট্রেন্স-পাস-করা মাস্টারের কাছে পড়িবেন ।”