পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫৬৬ গল্পগুচ্ছ বশ করিয়া লইয়াছে যে, ছেলে বিষয়ের অধিকারী হইলে তাহারাই সবে সব হইয়া ছেলেকে স্বেচ্ছামতো চালাইয়াছে। হরলালের প্রতিই ইশারা করিয়া যে এসকল কথা বলা হইতেছিল তাহা হরলালের বঝিতে বাকি ছিল না। তব সে চুপ করিয়া সমস্ত সহ্য করিয়া গিয়াছিল। কিন্তু, আজ বেণর মার কথা শুনিয়া তাহার ব্যক ভাঙিয়া গেল। সে বঝিতে পারিল, বড়োমানষের ঘরে মাস্টারের পদবীটা কী। গোয়ালঘরে ছেলেকে দন্ধ জোগাইবার যেমন গোর আছে তেমনি তাহাকে বিদ্যা জোগাইবার একটা মাস্টারও রাখা হইয়াছে— ছাত্রের সঙ্গে স্নেহপণ আত্মীয়তার সম্ববন্ধ-পথাপন এতবড়ো একটা পধা ষে বাড়ির চাকর হইতে গহিণী পর্যন্ত কেহই তাহা সহ্য করিতে পারে না, এবং সকলেই সেটাকে সবাথ সাধনের একটা চাতুরী বলিয়াই জানে। হরলাল কম্পিতকণ্ঠে বলিল, “মা, বেণকে আমি কেবল পড়াইব, তাহার সঙ্গে আমার আর-কোনো সম্পক থাকিবে না।” f সেদিন বিকালে বেণর সঙ্গে তাহার খেলিবার সময়ে হরলাল কলেজ হইতে ফিরিলই না। কেমন করিয়া রাস্তায় রাস্তায় ঘুরিয়া সে সময় কাটাইল তাহা সেই জানে। সন্ধ্যা হইলে যখন সে পড়াইতে আসিল তখন বেণ মখ ভার করিযা রহিল। হরলাল তাহার অনুপস্থিতির কোনো জবাবদিহি না করিয়া পড়াইয়া গেল— সেদিন পড়া সুবিধামতো হইলই না। হরলাল প্রতিদিন রাত্রি থাকিতে উঠিয়া তাহার ঘরে বসিয়া পড়া করিত। বেণ সকালে উঠিয়াই মুখ ধুইয়া তাহার কাছে ছটিয়া যাইত। বাগানে বাঁধানো চৌবাচ্ছায মাছ ছিল। তাহাদিগকে মুড়ি খাওয়ানো ইহাদের এক কাজ ছিল। বাগানের এক কোণে কতকগলা পাথর সাজাইয়া, ছোটো ছোটো রাস্তা ও ছোটো গেট ও বেড়া তৈরি করিয়া বেণ বালখিল্য ঋষির আশ্রমের উপযুক্ত একটি অতি ছোটো বাগান বসাইয়াছিল। সে বাগানে মালির কোনো অধিকার ছিল না। সকালে এই বাগানের চফা করা তাহাদের দ্বিতীয় কাজ। তাহার পরে রৌদ্র বেশি হইলে বাড়ি ফিরিয়া বেণ হরলালের কাছে পড়িতে বসিত। কাল সায়াহ্নে যে গল্পের অংশ শোনা হয় নাই সেইটে শনিবার জন্য আজ বেণ যথাসাধ্য ভোরে উঠিয়া বাহিরে ছটিয়া আসিয়াছিল। সে মনে করিয়াছিল, সকালে ওঠায় সে আজ মাস্টারমশায়কে বুঝি জিতিয়াছে। ঘরে আসিয়া দেখিল মাস্টারমশায় নাই। দরোয়ানকে জিজ্ঞাসা করিয়া জানিল, মাস্টারমশায় বাহির হইয়া গিয়াছেন। সেদিনও সকালে পড়ার সময় বেণ ক্ষুদ্র হদয়ট কুর বেদনা লইয়া মুখ গম্ভীব করিয়া রহিল। সকালবেলায় হরলাল কেন যে বাহির হইয়া গিয়াছিল তাহা জিজ্ঞাসাও করিল না। হরলাল বেণর মখের দিকে না চাহিয়া বইয়ের পাতার উপর চোখ রাখিয় পড়াইয়া গেল। বেণ বাড়ির ভিতরে তাহার মার কাছে যখন খাইতে বসিল তখন তাহার মা জিজ্ঞাসা করিলেন, “কাল বিকাল হইতে তোর কী হইয়াছে বল দেখি। মখ হাড়ি করিয়া আছিস কেন— ভালো করিয়া খাইতেছিস না— ব্যাপারখানা কণী।” বেণ কোনো উত্তর করিল না। আহারের পর মা তাহাকে কাছে টানিয়া আনিয়া তাহার গায়ে হাত বলাইয়া অনেক আদর করিয়া যখন তাহাকে বার বার প্রশ্ন করিতে लागिzलन, ठथन टन ठान्न थाकिट्ठ नाव्रिळ ना, श:नाट्टेग्ना काँीनग्ना छेठिळ । वाऊल, “মাস্টারমশায়— *