পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* હ૪૦’ গল্পগুচ্ছ তাহার বিপদ যে সম্পণে নিরপোয়রপে চড়ান্ত হইয়া উঠিবে, এ কথা সে কোনোমতেই বিশ্ববাস করিতে পারিল না। ভাড়াতাড়ি গাড়ির কাছে আসিয়া দেখিল, গাড়ির ভিতবে তাহাদের আপিসের একজন সাহেব বসিয়া আছে। সাহেব হরলালকে দেখিয়াই গাড়ি হইতে নামিয়া তাহার হাত ধরিয়া বাড়িতে প্রবেশ করিল। জিজ্ঞাসা করিল, “আজ মফস্বলে গেলে না কেন ।” আপিসের দরোয়ান সন্দেহ করিয়া বড়োসাহেবকে গিয়া জানাইয়াছে—তিনি ইহাকে পাঠাইয়াছেন। হরলাল বলিল, “তিন হাজার টাকার নোট পাওয়া যাইতেছে না।” সাহেব জিজ্ঞাসা করিল, “কোথায় গেল ?” হরলাল জানি না এমন উত্তরও দিতে পারিল না, চুপ করিয়া রহিল । সাহেব কহিল, “টাকা কোথায় আছে দেখিব চলো।” হরলাল তাহাকে উপরের ঘরে লইয়া গেল। সাহেব সমস্ত গনিয়া চারি দিক খ:জিয়া-পাতিয়া দেখিল। বাড়ির সমস্ত ঘর তন্ন-তন্ন করিয়া অনুসন্ধান করিতে লাগিল। এই-সমসত ব্যাপার দেখিয়া মা আর থাকিতে পারিলেন না— তিনি সাহেবের সামনেই বাহির হইয়া ব্যাকুল হইযা জিজ্ঞাসা কবিলেন, “ওরে হরলাল, কী হইল রে।” হরলাল কহিল, "মা, টাকা চুরি গেছে।" মা কহিলেন, "চুরি কেমন করিয়া যাইবে । হবলাল, এমন সবনাশ কে করিল !" হরলাল কহিল, "মা, চুপ করো।" সন্ধান শেষ করিয়া সাহেব জিজ্ঞাসা করিল, “এ ঘরে রাতে কে ছিল ।” হরলাল কহিল, "বার বন্ধ করিয়া আমি একলা শ্যইয়াছিলাম- আর-কেহ ছিল 六言!” সাহেব টাকাগলো গাড়িতে তুলিয়া হরলালকে কহিল, “আচ্ছা, বড়োসাহেবের কাছে চলো ।” হরলালকে সাহেবের সঙ্গে চলিয়া যাইতে দেখিযা মা তাহাদের পথ রোধ করিয়া কহিল, “সাহেব, আমার ছেলেকে কোথায় লইয়া যাইলে । আমি না থাইয়া এ ছেলে মানুষ করিয়াছি— আমার ছেলে কখনোই পরের টাকায় হাত দিবে না।" সাহেব বাংলা কথা কিছ না বঝিয়া কহিল, "আচ্ছা, আচ্ছা।” হরলাল কহিল, “মা, তুমি কেন ব্যস্ত হইতেছ। বড়োসাহেবের সঙ্গে দেখা করিয়া আমি এখনই আসিতেছি।” মা উদবিগ্ন হইয়া কহিলেন, “তুই যে সকাল থেকে কিছুই খাস নাই।” সে কথার কোনো উত্তর না দিয়া হরলাল গাড়িতে উঠিয়া চলিয়া গেল। মা মেজের উপরে লটাইয়া পড়িয়া রহিলেন। বড়োসাহেব হরলালকে কহিলেন, “সত্য করিয়া বলো ল্যাপারখানা কণী ।” श्ब्रळाठ्न कठ्ठिळ, “ठाभि प्लेाका व्नई नाहै।" বড়োসাহেব। সে কথা আমি সম্পণে বিশ্বাস করি। কিন্তু তুমি নিশ্চয় জান কে লইয়াছে।