পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S ミO গল্পগুচ্ছ হাত বাড়াইবামার সে অন্য সকলের কোল হইতেই ঝাঁপাইয়া পড়িয়া সবেগে তাহার বকের উপর আসিয়া পড়িত, এবং তাহার ঝাঁকড়া চুল ধরিয়া টানাটানি করিত, তাহার নাক ধরিয়া দন্তহীন মুখের মধ্যে পরিবার চেষ্টা করিত, সে-সমস্তই সম্পস্ট মনে পড়িয়া বংশীর প্রাণের ভিতরটাতে হাহা করিতে লাগিল। সে আর শাইয়া থাকিতে পারিল না। রসিকের নাম ধরিয়া বার-কয়েক করণকন্ঠে ডাকিল। সাড়া না পাইয়া তাহার জবর লইয়াই সে উঠিল। গিয়া দেখিল, সেই হামোনিয়মটা পাশে পড়িয়া আছে, অন্ধকারে দাওয়ায় রসিক চুপ করিয়া একলা বসিয়া। তখন বংশী কোমর হইতে সাপের মতো সর লব এক থলি খলিয়া ফেলিল, রন্ধপ্রায়কণ্ঠে কহিল, "এই নে, ভাই— আমার এ টাকা সমস্ত তোরই জন্য। তোরই বউ ঘরে আনিব বলিয়া আমি এ জমাইতেছিলাম। কিন্তু, তোকে কাঁদাইয়া আমি জমাইতে পারিব না, ভাই আমার, গোপাল আমার— আমার সে শক্তি নাই— তুই চাকার গাড়ি কিনিস, তোর যা খুশি তাই করিস।” রসিক দড়িাইয়া উঠিয়া শপথ করিয়া কঠোরস্বরে কহিল, "চাকার গাড়ি কিনিতে হয়, বউ আনিতে হয়, আমার নিজের টাকায় করিব— তোমার ও টাকা আমি ছ:ইব না।” বলিয়া বংশীর উত্তরের অপেক্ষা না করিয়া ছটিয়া চলিয়া গেল। উভয়ের মধ্যে আর এই টাকার কথা বলার পথ রহিল না— কোনো কথা বলাই অসম্ভব হইয়া উঠিল। রসিকের ভক্তশ্রেষ্ঠ গোপাল আজকাল অভিমান করিয়া দুরে দুরে থাকে। রসিকের সামনে দিয়া তাহাকে দেখাইয়া দেখাইয়া একাই মাছ ধরিতে যায়, আগেকার মতো তাহাকে ডাকাডাকি করে না। আর, সৌরভীর তো কথাই নাই। রসিকদাদার সঙ্গে তাহার আড়ি, একেবারে জন্মের মতো আড়ি– অথচ সে যে এত বড়ো একটা ভয়ংকর আড়ি করিয়াছে, সেটা রসিককে স্পষ্ট করিয়া জানাইবার সুযোগ না পাইয়া-আপন-মনে ঘরের কোণে অভিমানে ক্ষণে ক্ষণে কেবলই তাহার দুই চোখ ভরিয়া উঠিতে লাগিল । এমন সময় একদিন রসিক মধ্যাহ্নে গোপালদের বাড়িতে গিয়া তাহাকে ডাক দিল । আদর করিয়া তাহার কান মলিয়া দিল, তাহাকে কাতুকুতু দিতে লাগিল। গোপাল প্রথমটা প্রবল আপত্তি প্রকাশ করিয়া লড়াইয়ের ভাব দেখাইল, কিন্তু বেশিক্ষণ সেটা রাখিতে পারিল না; দুইজনে বেশ হাস্যালাপ জমিয়া উঠিল। রসিক কহিল, “গোপাল, আমার হামোনিয়মটি নিবি ?" হামোনিয়ম ! এত বড়ো দান! কলির সংসারে এও কি কখনো সম্ভব। কিন্তু, যে জিনিসটা তাহার ভালো লাগে বাধা না পাইলে সেটা অসংকোচে গ্রহণ করিবার শক্তি গোপালের যথেষ্ট পরিমাণে ছিল। অতএব হামোনিয়মটি সে অবিলবে অধিকার काँग्नग्ना लईल: यलिग्ना ब्राथिल, शिब्रिग्रा कर्णाश्रल आद्र किन्ट्र नाईटय ना । গোপালকে যখন রসিক ডাক দিয়াছিল তখন নিশ্চয় জানিয়াছিল, সে ডাক অন্তত আরও একজনের কানে গিয়া পেপছিয়াছে। কিন্তু, বাহিরে আজ তাহার কোনো প্রমাণ পাওয়া গেল না। তখন রসিক গোপালকে বলিল, “সৈরি কোথায় আছে