পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ややミ গল্পগুচ্ছ fमझे ना । এখনকার কালের ছোঁয়াচ আমাকে লাগিয়াছে। আমি গীতা পড়িয়া থাকি এবং বিবান লোকদের দ্বারস্থ হইয়া তাহাদের কাছে ধমতিত্ত্বের অনেক সক্ষম ব্যাখ্যা শুনিয়াছি। কেবল শনিয়া শুনিয়াই বয়স বহিয়া যাইবার জো হইল, কোথাও তো কিছল প্রত্যক্ষ দেখিলাম না। এতদিন পরে নিজের দটির অহংকার ত্যাগ করিয়া এই শাস্ত্রহীনা সত্ৰীলোকের দুই চক্ষর ভিতর দিয়া সত্যকে দেখিলাম। ভক্তি করিবার ছলে শিক্ষা দিবার এ কী আশচষ" প্রণালী। পরদিন সকালে বোষ্টমী আসিয়া আমাকে প্রণাম করিয়া দেখিল, তখনো আমি লিখিতে প্রবত্ত। বিরক্ত হইয়া বলিল, “তোমাকে আমার ঠাকুর এত মিথ্যা খাটাইতেছেন কেন। যখনি আসি দেখিতে পাই লেখা লইয়াই আছ!” আমি বলিলাম, “ষে লোকটা কোনো কমেরই নয় ঠাকুর তাহাকে বসিয়া থাকিতে দেন না, পাছে সে মাটি হইয়া যায়। যত রকমের বাজে কাজ করিবার ভার তাহারই উপরে।” আমি যে কত আবরণে আবত তাহাই দেখিয়া সে অধৈৰ্য হইয়া উঠে। আমার সঙ্গে দেখা করিতে হইলে অনুমতি লইয়া দোতলায় চড়িতে হয়, প্রণাম করিতে আসিয়া হাতে ঠেকে মোজাজোড়া, সহজ দুটো কথা বলা এবং শোনার প্রয়োজন কিন্তু আমার মনটা কোন লেখার মধ্যে তলাইয়া। হাত জোড় করিয়া সে বলিল, “গেীর, আজ ভোরে বিছানায় যেমনি উঠিয়া বসিয়াছি অমনি তোমার চরণ পাইলাম। আহা, সেই তোমার দখনি পা, কোনো ঢাকা নাই— সে কী ঠাণ্ডা। কী কোমল। কতক্ষণ মাথায় ধরিয়া রাখিলাম। সে তো খুব হইল। তবে আর আমার এখানে আসিবার প্রয়োজন কী। প্রভু, এ আমার মোহ নয় তো ? ঠিক করিয়া বলো।” লিখিবার টেবিলের উপর ফলদানিতে পর্বদিনের ফলে ছিল। মালী আসিয়া সেগুলি তুলিয়া লইয়া নতন ফল সাজাইবার উদযোগ করিল। বোস্টমী যেন ব্যথিত হইয়া বলিয়া উঠিল, “বাস ? এ ফলগুলি হইয়া গেল ? তোমার আর দরকার নাই ? তবে দাও দাও, আমাকে দাও।” এই বলিয়া ফলগুলি অঞ্জলিতে লইয়া, কতক্ষণ মাথা নত করিয়া, একান্ত নেহে এক দটিতে দেখিতে লাগিল। কিছুক্ষণ পরে মুখ তুলিয়া বলিল, “তুমি চাহিয়া দেখ না বলিয়াই এ ফল তোমার কাছে মলিন হইয়া যায়। যখন দেখিবে তখন তোমার লেখাপড়া সব ঘনচিয়া যাইবে।” এই বলিয়া সে বহন যত্নে ফলগুলি আপন অচিলের প্রান্তে বধিয়া লইয়া মাথায় ঠেকাইয়া বলিল, “আমার ঠাকুরকে আমি লইয়া যাই।” কেবল ফলদানিতে রাখিলেই যে ফলের আদর হয় না, তাহা বকিতে আমার বিলাব হইল না। আমার মনে হইল, ফলগুলিকে যেন ইস্কুলের পড়া-না-পারা ছেলেদের মতো প্রতিদিন আমি বেঞ্চের উপর দাঁড় করাইয়া রাখি। সেইদিন সন্যর সময় যখন ছাদে বসিয়াছি বেষ্টমী আমার পায়ের কাছে আসিয়া বসিলা কহিল, “আজ সকালে নাম শনাইবার সময় তোমার প্রসাদী ফলগুলি ঘরে शरब्र मिग्ना आनिग्नाइ । त्राभाग्न छाढ एर्नाथग्ना ध्वमौ कक्लवङौ* शनिग्ना वजिल, ‘नार्णाल,