পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

やbミ গল্পগুচ্ছ বলিলে একটা বেশি বলা হয়—আমরা ছাড়া আর সকলেই মানুষ, কেবল আমরা মানুষের দৃষ্টান্তস্থল। আমাদের খেলা ছিল কঠিন, ঠাট্রা বন্ধ, গল্প নীরস, বাক্য স্বল্প, হাসি সংযত, ব্যবহার নিখত। ইহাতে বাল্যলীলায় মস্ত যে-একটা ফাঁক পড়িয়াছিল লোকের প্রশংসায় সেটা ভতি হইত। আমাদের মাস্টার হইতে মনদি পর্যন্ত সকলেই স্বীকার করিত, দত্তবাড়ির ছেলেরা সত্যযুগ হইতে হঠাৎ পথ ভুলিয়া আসিয়াছে। পাথর দিয়া নিরেট করিয়া বাঁধানো রাস্তাতেও একটা ফাঁক পাইলেই প্রকৃতি তার মধ্য হইতে আপনার প্রাণশক্তির সবুজ জয়পতাকা তুলিয়া বসে। আমার নবীন জীবনে সকল তিথিই একাদশী হইয়া উঠিয়াছিল, কিন্তু উহারই মধ্যে উপবাসের একটা কোন ফাঁকে আমি একটুখানি সন্ধার সবাদ পাইয়াছিলাম। ষে কয়জনের ঘরে আমাদের যাওয়া-আসার বাধা ছিল না তার মধ্যে একজন ছিলেন অখিলবাব। তিনি ব্রাহাসমাজের লোক ; বাবা তাঁকে বিশ্বাস করিতেন। তাঁর মেয়ে ছিল অনসয়া, আমার চেয়ে ছয় বছরের ছোটো। আমি তার শাসনকতার পদ লইয়াছিলাম। তার শিশমুখের সেই ঘন কালো চোখের পল্লব আমার মনে পড়ে। সেই পল্লবের ছায়াতে এই পৃথিবীর আলোর সমস্ত প্রখরতা তার চোখে যেন কোমল হইয়া আসিয়াছিল। কী স্নিগ্ধ করিয়াই সে মুখের দিকে চাহিত । পিঠের উপরে দলিতেছে তার সেই বেণীটি সেও আমার মনে পড়ে ; আর মনে পড়ে সেই দইখানি হাত— কেন জানি না, তার মধ্যে বড়ো একটি করুণা ছিল। সে যেন পথে চলিতে আর-কারও হাত ধরিতে চায়; তার সেই কচি আঙুলগুলি যেন সম্পণে বিশ্বাস করিয়া কার মঠোর মধ্যে ধরা দিবার জন্য পথ চাহিয়া আছে। ঠিক সেদিন এমন করিয়া তাকে দেখিতে পাইয়াছিলাম এ কথা বলিলে বেশি বলা হইবে। কিন্তু আমরা সম্পণে বুঝিবার আগেও অনেকটা বাকি। অগোচরে মনের মধ্যে অনেক ছবি অাঁকা হইয়া যায়— হঠাং একদিন কোনো-এক দিক হইতে আলো পড়িলে সেগলা চোখে পড়ে। 劇 অনরে মনের দরজায় কড়া পাহারা ছিল না। সে যা-তা বিশ্বাস করিত। একে তো সে তার বড়ি দাসীর কাছ হইতে বিশ্বতত্ত্ব সম্বন্ধে যে-সমস্ত শিক্ষা লাভ করিয়াছিল তা আমার সেই ম্যাপ-টাঙানো পড়িবার ঘরের জ্ঞানভাণ্ডারের আবর্জনার মধ্যেও ঠাই পাইবার যোগ্য নয় ; তার পরে সে আবার নিজের কল্পনার যোগেও কত কী যে সন্টি করিত তার ঠিকানা নাই। এইখানে কেবলই তাকে আমার শাসন করিতে হইত। কেবলই বলিতে হইত, “অন. এ-সমস্ত মিথ্যা কথা, তা জান ! ইহাতে পাপ হয়।” শুনিয়া অনরে দই চোখে কালো পল্লবের ছায়ার উপর আবার একটা ভয়ের ছায়া পড়িত। অন্য যখন তার ছোটো বোনের কান্না থামাইবার জন্য কত কী বাজে কথা বলিত— তাকে ভুলাইয়া দধে খাওয়াইবার সময় যেখানে পাখি নাই সেখানেও পাখি আছে বলিয়া উচ্চৈঃস্বরে উড়ো খবর দিবার চেষ্টা করিত, আমি তাকে ভয়ংকর अन्छौद्र शईय़ा नावशान कब्रिग्ना मिग्नाइि; यलिग्नाइ, “फेशटक एष प्रिथा बलिष्ठछ् পরমেশবর সমস্ত শুনিতেছেন, এখনই তাঁর কাছে তোমার মাপ চাওয়া উচিত।” এমনি করিয়া আমি তাকে যত শাসন করিয়াছি সে আমার শাসন মানিয়াছে। সে