পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৭৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তপস্বিনী Ał Q发● রঙের মতো সম্পণে গেরয়ো হইয়া উঠিতে পারে নাই। আজ ভোর বেলাটাতে ঐ-বে ঝির ঝির করিয়া ঠাণ্ডা হাওয়া দিতেছিল সেটা যেন তার সমস্ত দেহমনের উপর কোন একজনের কানে কানে কথার মতো আসিয়া পেপছিল। উঠিতে আর ইচ্ছা করিতেছিল না। জোর করিয়া উঠিল, জোর করিয়া কাজ করিতে গেল। ইচ্ছা করিতেছিল, জানালার কাছে বসিয়া তার মনের দরে দিগন্ত হইতে যে বাঁশির সরে আসিতেছে সেইটে চুপ করিয়া শোনে। এক-একদিন তার সমস্ত মন যেন অতিচেতন হইয়া ওঠে, রৌদ্রে নারিকেলের পাতাগুলো ঝিলমিল করে, সে যেন তার বকের মধ্যে কথা কহিতে থাকে। পণ্ডিতমশায় গীতা পড়িয়া ব্যাখ্যা করিতেছেন, সেটা ব্যথ হইয়া যায়; অথচ সেই সময়ে তার জানালার বাহিরের বাগানে শুকনো পাতার উপর দিয়া যখন কাঠবিড়ালি খস খস করিয়া গেল, বহদের আকাশের হৃদয় ভেদ করিয়া চিলের একটা তীক্ষ ডাক আসিয়া পেশছিল, ক্ষণে ক্ষণে পাকুরপাড়ের রাস্তা দিয়া গোরুর গাড়ি চলার একটা ক্লান্ত শব্দ বাতাসকে আবিষ্ট করিল, এই-সমস্তই তার মনকে পশ* করিয়া অকারণে ব্যাকুল করে। একে তো কিছুতেই বৈরাগ্যের লক্ষণ বলা যায় না। যে BBBBB BBB BB BBBB BBBS BB BBBB BB BBB DBB BB আদিম বাপ আকাশকে ছাইয়া ফেলিতেছিল, যা তাঁর চতুমুখের বেদবেদান্ত-উচ্চারণের অনেক পাবে'র সৃষ্টি, যার রঙের সঙ্গে ধবনির সঙ্গে গন্ধের সঙ্গে সমস্ত জীবের নাড়ীতে নাড়ীতে বোঝাপড়া হইয়া গেছে, তারই ছোটো বড়ো হাজার হাজার দত জীবহৃদয়ের খাসমহলে আনাগোনার গোপন পথটা জ্ঞানে— ষোড়শী তো কৃচ্ছসাধনের কাঁটা গাড়িয়া আজও সে পথ বন্ধ করিতে পারিল না । কাজেই গেরয়া রঙকে আরও ঘন করিয়া গলিতে হইবে। ষোড়শী পণ্ডিতমশায়কে ধরিয়া পড়িল, “আমাকে যোগাসনের প্রণালী বলিয়া দিন ।” পণ্ডিত বলিলেন, “মা, তোমার তো এ-সকল পন্থার প্রয়োজন নাই। সিধি তো পাকা আমলকীর মতো আপনি তোমার হাতে আসিয়া পৌছিয়াছে।” তার পণ্যপ্রভাব লইয়া চারি দিকে লোকে বিস্ময় প্রকাশ করিয়া থাকে, ইহাতে ষোড়শীর মনে একটা স্তবের নেশা জমিয়া গেছে। এমন একদিন ছিল, বাড়ির কিচাকর পর্যন্ত তাকে কৃপাপাত্রী বলিয়া মনে করিয়াছে। তাই আজ যখন তাকে পণ্যেবতী বলিয়া সকলে ধন্য-ধন্য করিতে লাগিল তখন তার বহুদিনের গৌরবের তুফা মিটিবার সযোগ হইল। সিন্ধি যে সে পাইয়াছে এ কথা অস্বীকার করিতে তার মুখে বাবে— তাই পণ্ডিতমশায়ের কাছে সে চুপ করিয়া রহিল। মাখনের কাছে ষোড়শী আসিয়া বলিল, “বাবা, আমি কার কাছে প্রাণায়াম অভ্যাস করিতে শিখি বলো তো ।” মাখন বলিলেন, “সেটা না শিখিলেও তো বিশেষ অসুবিধা দেখি না। তুমি যত দরে গেছ সেইখানেই তোমার নাগাল কঞ্জন লোকে পায় ।” তা হউক, প্রাণায়াম অভ্যাস করিতেই হইবে। এমনি দদৈবি যে, মানুষও জটিয়া গেল। মাখনের বিশ্বাস ছিল, আধনিক কালের অধিকাংশ বাঙালিই মোটামুটি তাঁরই মতো— অর্থাৎ খায়-দায়, ঘামায়, এবং পরের কুৎসাঘটিত ব্যাপার ছাড়া জগতে আরকোনো অসম্ভবকে বিশ্বাস করে না। কিন্তু, প্রয়োজনের তাগিদে সন্ধান করিতে গিয়া দেখিল, বাংলাদেশে এমন মানুষও আছে ষে বান্তি খলনা জেলায় ভৈরব নদের ধারে 8