পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৭৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

46.8 গল্পগাছ নামঞ্জর গল্প আমাদের আসর জমেছিল পোলিটিক্যাল লঙ্কাকাণ্ডের পালায়। হাল আমলের উত্তরকাণ্ডে আমরা সম্পণে ছয়টি পাই নি বটে, কিন্তু গলা ভেঙেছে, তা ছাড়া সেই অগ্নিদাহের খেলা বন্ধ । বঙ্গভঙ্গের রঙ্গভূমিতে বিদ্রোহীর অভিনয় শরে হল। সবাই জানেন, এই নাট্যের পঞ্চম অঙ্কের দশ্য আলিপুর পেরিয়ে পৌছল আণ্ডামানের সমন্দ্রকুলে। পারানির পাথেয় আমার যথেষ্ট ছিল, তব গ্রহের গণে এ পারের হাজতেই আমার ভোগসমাপ্তি। সহযোগীদের মধ্যে ফাঁসিকাঠ পর্যন্ত যাদের সবোচ্চ প্রোমোশন হয়েছিল, তাদের প্রণাম করে আমি পশ্চিমের এক শহরের কোণে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় পসার জমিয়ে তুললেম। তখনো আমার বাবা বেচে । তিনি ছিলেন বাংলাদেশের এক বড়ো মহকুমার সরকারি উকিল। উপাধি ছিল রায়বাহাদর। তিনি বিশেষ-একটা ঘটা করেই আমার বাড়ি আসা বন্ধ করে দিলেন। তাঁর হৃদয়ের সঙ্গে আমার যোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছিল কি না অন্তৰ্যামী জানেন, কিন্তু হয়েছিল পকেটের সঙ্গে। মনি-অডারের সম্পক পৰ্যন্ত ছিল না। যখন আমি হাজতে তখনই মায়ের মৃত্যু হয়েছিল। আমার পাওনা শাসিতটা গেল তাঁর উপর দিয়েই । আমার পিসি বলে যিনি পরিচিত তিনি আমার বোপাঙ্গিত কিবা আমার পৈতৃক, তা নিয়ে কারও কারও মনে সংশয় আছে। তার কারণ, আমি পশ্চিমে যাবার প্রবে: তাঁর সঙ্গে আমার সম্বন্ধ সম্পণেই অব্যক্ত ছিল। তিনি আমার কে তা নিয়ে সন্দেহ থাকে তো থাক, কিন্তু তাঁর স্নেহ না পেলে সেই আত্মীয়তার অরাজকতা-কালে আমাকে বিষম দুঃখ পেতে হত। তিনি আজন্ম পশ্চিমেই কাটিয়েছেন ; সেইখানেই বিবাহ, সেইখানেই বৈধব্য। সেইখানেই সবামীর বিষয়সম্পত্তি । বিধবা তাই নিয়েই বন্ধ ছিলেন । তাঁর আরও-একটি বন্ধন ছিল। বালিকা অমিয়া । কন্যাটি স্বামীর বটে, সাণীর নয় । তার মা ছিল পিসিমার এক যাবতী দাসী, জ্ঞাতিতে কাহার। স্বামীর মৃত্যুর পর মেয়েটিকে তিনি ঘরে এনে পালন করছেন—সে জানেও না যে, তিনি তার মা নন । এমন অবস্থায় তাঁর আর-একটি বন্ধন বাড়ল, সে হচ্ছে আমি বরং । যখন জেলথানার বাইরে আমার পথান অত্যন্ত সংকীপ তখন এই বিধবাই আমাকে তাঁর ঘরে এবং হাদয়ে আশ্রয় দিলেন। তার পরে বাবার দেহাস্তে যখন জানা গেল, উইলে তিনি আমাকে বিষয় থেকে বঞ্চিত করেন নি, তখন সুখে দুঃখে আমার পিসির চোখে জল পড়ল। বকেলেন, আমার পক্ষে তাঁর প্রয়োজন ঘচল। তাই বলে নেহ তো স্বচল না। उिनि वञ८ठन, “वाता. ट्यथाटनई शाक आश्राद्र श्राव्नौय“भ ब्रहेन ।” আমি বললেম, “সে তো থাকবেই, সেই সঙ্গে তোমাকেও থাকতে হবে, নইলে আমার চলবে না। হাজত থেকে বেরিয়ে যে মাকে আর দেখতে পাই নি তিনিই আমাকে পথ দেখিয়ে তোমার কাছে নিয়ে এসেছেন।” পিসিমা তাঁর এতকালের পশ্চিমের ঘর-সংসার তুলে দিয়ে আমার সঙ্গে কলকাতার