পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ஒன 总Q ডাকিয়া যাইত; আমি একখানি ধবধবে চাদর পাতিয়া নিজের হাতে বিছানা করিয়া শয়ন করিতাম ; একখানি অনাবত বাহন কোমল বিছানার উপরে যেন অনাদরে মেলিয়া দিয়া ভাবিতাম, এই হাতখানি এমনি ভঙ্গিতে কে যেন দেখিতে পাইল, কে যেন দইখানি হাত দিয়া তুলিয়া লইল, কে যেন ইহার আরম্ভ করতলের উপর একটি চুম্ববন রাখিয়া দিয়া আবার ধীরে ধীরে ফিরিয়া যাইতেছে – মনে করো এইখানেই গল্পটা যদি শেষ হয় তাহা হইলে কেমন হয়।" আমি বলিলাম, “মন্দ হয় না। একটা অসপণ থাকে বটে, কিন্তু সেইটুকু আপন মনে পরণ করিয়া লইতে বাকি রাতটুকু বেশ কাটিয়া যায়।" “কিন্তু তাহা হইলে গল্পটা যে বড়ো গভীর হইয়া পড়ে। ইহার উপহাসটুকু থাকে কোথায় । ইহার ভিতরকার ককালটা তাহার সমস্ত দাঁত-ক’টি মেলিয়া দেখা দেয় কই । "তার পরে শোনো। একটুখানি পসার হইতেই আমাদের বাড়ির একতলায় ডাক্তার তাঁহার ডাক্তারখানা খলিলেন। তখন আমি তাঁহাকে মাঝে মাঝে হাসিতে হাসিতে ঔষধের কথা, বিষের কথা, কী করিলে মানুষ সহজে মরে, এই-সকল কথা জিজ্ঞাসা করিতাম। ডাক্তারির কথায় ডাস্তারের মধে খালিয়া যাইত । শুনিয়া শুনিয়া মৃত্যু যেন পরিচিত ঘরের লোকের মতো হইয়া গেল। ভালোবাসা এবং মরণ কেবল এই দুটোকেই পৃথিবীময় দেখিলাম । “আমার গল্প প্রায় শেষ হইয়া আসিয়াছে, আর বড়ো বাকি নাই ।” আমি মন্দস্বেরে বলিলাম, “রাতিও প্রায় শেষ হইয়া আসিল ।” “কিছুদিন হইতে দেখিলাম, ডান্তরিবাব বড়ো অন্যমনস্ক, এবং আমার কাছে যেন ভারি অপ্রতিভ। একদিন দেখিলাম, তিনি কিছর বেশিরকম সাজসজ্ঞা করিয়া দাদার কাছে তাঁহার জড়ি ধার লইলেন, রাত্রে কোথায় যাইবেন । “আমি আর থাকিতে পারিলাম না। দাদার কাছে গিয়া নানা কথার পর জিজ্ঞাসা করিলাম, হাঁ দাদা, ডাক্তারবাব আজ জড়ি লইয়া কোথায় যাইতেছেন। “সংক্ষেপে দাদা বলিলেন, মরিতে । “আমি বলিলাম, না, সত্য করিয়া বলো-না।’ "তিনি পবোপেক্ষা কিঞ্চিং খোলসা করিয়া বলিলেন, বিবাহ করিতে। “আমি বলিলাম, সত্য নাকি ’- বলিয়া অনেক হাসিতে লাগিলাম । “আম্পে অম্পে শুনিলাম, এই বিবাহে ডাক্তার বারো হাজার টাকা পাইবেন । “কিন্তু আমার কাছে এ সংবাদ গোপন করিয়া আমাকে অপমান করিবার তাৎপৰ্য কী। আমি কি তাঁহার পায়ে ধরিয়া বলিয়াছিলাম যে, এমন কাজ করিলে আমি বকে মটিয়া মরিব । পর্যদের বিশ্বাস করিবার জো নাই। পথিবীতে আমি একটিমাত্র পরষে দেখিয়াছি এবং এক মহতে সমস্ত জ্ঞান লাভ করিয়াছি। “ডাঙ্কার রোগী দেখিয়া সন্ধ্যায় পাবে ঘরে আসিলে আমি প্রচুর পরিমাণে হাসিতে शामि८ड वळिालाय, ‘कौ छाखाग्न-प्रशालग्न, आछ नाकि आ*ानाद्र विवाश् !' "আমার প্রফুল্লতা দেখিয়া ডাঙ্কার যে কেবল অপ্রতিভ হইলেন তাহা নহে, ভারি বিমষ হইয়া গেলেন। "छिस्त्रामा कब्रिजाप्र, बाख्ना-बामा किइ माहे त्य ।'