পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৭৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

● গল্পগুচ্ছ চোরাই ধন । মহাকাব্যের যাগে সাঁকে পেতে হত পৌরুষের জোরে; যে অধিকারী সেই লাভ করত রমণীরত্ন। আমি লাভ করেছি কাপর্ষতা দিয়ে, সে কথা আমার স্ত্রীর জানতে বিলম্ব ঘটেছিল। কিন্তু, সাধনা করেছি বিবাহের পরে ; যাকে ফাঁকি দিয়ে চুরি করে পেয়েছি তার মল্যে দিয়েছি দিনে দিনে। দাপত্যের স্বত্ব সাব্যস্ত করতে হয় প্রতিদিনই নতুন করে, অধিকাংশ পরিষে ভুলে থাকে এই কথাটা। তারা কাস্টম হোসে মাল খালাস ক’রে নিয়েছে সমাজের ছাড়চিঠি দেখিয়ে, তার পর আছে বেপরোয়া । যেন পেয়েছে পাহারওয়ালার সরকারি প্রতাপ উপরওয়ালার দেওয়া তকমার জোরে ; উদিটা খালে নিলেই অতি অভাজন তারা। বিবাহটা চিরজীবনের পালাগান; তার ধয়ো একটমাত্র, কিন্তু সংগীতের বিস্তার প্রতিদিনের নব নব পৰ্যায়ে। এই কথাটা ভালোরকম করে বুঝেছি সনেত্রার কাছ থেকেই। ওর মধ্যে আছে ভালোবাসার ঐশ্বয, ফরোতে চায় না তার সমারোহ ; দেউড়িতে চার-প্রহর বাজে তার সাহানা রাগিণী । আপিস থেকে ফিরে এসে একদিন দেখি আমার জন্যে সাজানো আছে বরফ-দেওয়া ফলসার সবরং, রঙ দেখেই মনটা চমকে ওঠে; তার পাশেই ছোটো রপোর থালায় গোড়ে মালা, ঘরে ঢোকবার আগেই গন্ধ আসে এগিয়ে। আবার কোনোদিন দেখি আইসল্লীমের যন্তে জমানো, শাঁসে রসে মেশানো, তালশসি এক-পেয়ালা, আর পিরিচে একটিমাত্র সন্যমধেী। ব্যাপারটা শনতে বেশি কিছ নয়, কিন্তু বোঝা যায় দিনে দিনে নতুন করে সে অনুভব করেছে আমার অস্তিত্ব। এই পরোনোকে নতুন করে অনুভব করার শক্তি আটিস্টের। আর, ইতরে জনাঃ প্রতিদিন চলে দস্তুরের দাগা বলিয়ে। ভালোবাসার প্রতিভা সনেবার, নবনবোন্মেষশালিনী সেবা। আজ আমার মেয়ে অরণ্যের বয়স সতেরো, অর্থাৎ ঠিক যে বয়সে বিয়ে হয়েছিল সনেহার। ওর নিজের বয়স আটত্রিশ, কিন্তু সযত্নে সাজসজ্ঞা করাটাকে ও জানে প্রতিদিন পঙ্গোর নৈবেদ্য-সাজানো, আপনাকে উৎসগ করবার আহিক অনুষ্ঠান। সনেত্রা ভালোবাসে শান্তিপরে সাদা শাড়ি কালো-পাড়-ওয়ালা। খন্দরপ্রচারকদের ধিক্কারকে বিনা প্রতিবাদে স্বীকার করে নিয়েছে, কিছুতেই স্বীকার করে नि थन्झब्रटक। e वट्ञ, निणि डाँठद्र शाड, र्मािण उॉटिब्र टाँड, aहे श्राभाद्र आनन्द्रग्न । তারা শিল্পী, তাদেরই পছন্দে সতো, আমার পছন্দ সমস্ত কাপড়টা নিয়ে। আসল কথা, সনেত্রা বোঝে হালকা সাদা রঙের শাড়িতে সকল রঙেরই ইশারা খাটে সহজে । ও সেই কাপড়ে নতনত্ব দেয় নানা আভাসে, মনে হয় না সেজেছে। ও বোঝে, আমার অবচেতন মনের দিগন্ত উদ্ভাসিত হয় ওর সাজে-আমি খুশি হই, জানি নে কেন খুশি হয়েছি। थरटाक भानवहे चारह 4कछन आभि, प्नहे अनौत्रप्मन्न ब्रश्नाद्र चनौभ भग জোগায় ভালোবাসায়। অহংকারের মেকি পয়সা তুচ্ছ হয়ে যায় এর কাছে। সনেয়া আপন মনপ্রাণ দিয়ে এই পরম মল্য দিয়ে এসেছে আমাকে, আজ একুশ বছর ধরে।