পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মন্তির উপায় Գ > কতব্যের বারা আবদ্ধ হইতে নিতান্ত নারাজ। একে তো ছেলেপলের ভার, তাহার পরে যখন দই কর্ণধার দই কণে ঝিকা মারিতে লাগিল, তখন নিতান্ত অসহ্য হইয়া সেও একদিন গভীর রাত্রে ডুব মারিল। বহুকাল তাহার আর সাক্ষাৎ নাই। কখনো কখনো শনা যায়, এক বিবাহে কিরাপ সখে তাহাই পরীক্ষা করিবার জন্য সে কাশীতে গিয়া গোপনে আর-একটি বিবাহ করিয়াছে ; শনা যায়, হতভাগ্য কথঞ্চিৎ শান্তি লাভ করিয়াছে। কেবল দেশের কাছাকাছি আসিবার জন্য মাঝে মাঝে তাহার মন উতলা হয়, ধরা পড়িবার ভয়ে আসিতে পারে না। උ কিছুদিন ঘুরিতে ঘুরিতে উদাসীন ফকিরচাঁদ নবগ্রামে আসিয়া উপস্থিত। পথপাশ্ববতী এক বটবৃক্ষতলে বসিয়া নিশ্বাস ছাড়িয়া বলিল, “আহা, বৈরাগ্যমেবাভয়ম । দারাপত্রে ধনজন কেউ কারও নয়। কা তব কাতা কতে পত্নঃ ” বলিয়া এক গান জড়িয়া দিল – “শোন রে শোনা, অবোধ মন । শেন সাধর উক্তি, কিসে মন্তি সেই সমযক্তি কর গ্রহণ। ভবের শক্তি ভেঙে মুক্তি-মন্তো কর অন্বেষণ । ওরে ও ভোলা মন, ভোলা মন রে ।” সহসা গান বন্ধ হইয়া গেল। " ও কে ও : বাবা দেখছি । সন্ধান পেয়েছেন বুঝি : তবে তো সবনাশ। আবার তো সংসারের অন্ধকাপে টেনে নিয়ে যাবেন। পালাতে হল ।” 8 ফকির তাড়াতাড়ি নিকটবতী এক গহে প্রবেশ করিল। বন্ধ গহমবামী চুপচাপ বসিয়া তামাক টানিতেছিল। ফকিরকে ঘরে ঢাকিতে দেখিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “কে হে टूमि ।” ফকির। বাবা, আমি সন্ন্যাসী । বন্ধ । সন্ন্যাসী ! দেখি দেখি বাবা, আলোতে এসো দেখি । এই বলিয়া আলোতে টানিয়া লইয়া ফকিরের মধের পরে কংকিয়া বড়োমানষে বহন কন্টে যেমন করিয়া পুথি পড়ে তেমনি করিয়া ফকিরের মখ নিরীক্ষণ করিয়া दिफूविज्र कब्रिग्ना यकिरठ लागिज “এই তো আমার সেই মাখনলাল দেখছি। সেই নাক, সেই চোখ, কেবল কপালটা বদলেছে, আর সেই চাঁদমখে গোঁফে দাড়িতে একেবারে আছন্ন করে ফেলেছে।” বলিয়া বন্ধ সনেহে ফকিরের মশ্রলে মুখে দই-একবার হাত বলাইয়া লইল, এবং প্রকাশ্যে কছিল, “বাবা মাখন!”