পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মন্তির উপায় ●○ একজন উত্তর করিল, “আশচয* আর কী। শাসের আছে, ভীম যখন হনুমানের লেজ ধরে তুলতে গেলেন কিছতেই তুলতে পারলেন না। সে কী করে হল। সে তো যোগবলে।" এ কথা সকলকেই স্বীকার করিতে হইল । হেনকালে ষষ্ঠীচরণ আসিয়া ফকিরকে বলিল, “বাবা, একবার বাড়ির ভিতরে যেতে হচ্ছে।” এ সম্পভাবনাটা ফকিরের মাথায় উদয় হয় নাই— হঠাৎ বজ্রাঘাতের মতো মস্তিকে প্রবেশ করিল। অনেক ক্ষণ চুপ করিয়া, পাড়ার লোকের বিস্তর অন্যায় পরিহাস পরিপাক করিয়া অবশেষে বলিল, “বাবা, আমি সন্ন্যাসী হয়েছি, আমি অন্তঃপারে ঢুকতে পারব না।” ষাঠীচরণ পাড়ার লোকদের সবোধন করিয়া বলিল, “তা হলে আপনাদের একবার গা তুলতে হচ্ছে । বউমাদের এইখানেই নিয়ে আসি । তাঁরা বড়ো ব্যাকুল হয়ে আছেন।” সকলে উঠিয়া গেল। ফকির ভাবিল, এইবেলা এখান হইতে এক দৌড় মারি ' কিন্তু বাস্তায় বাহির হইলেই পাড়ার লোক কুক্কারের মতো তাহার পশ্চাতে ছটিবে, ইহাই কল্পনা কবিয়া তাহাকে নিস্তথভাবে বসিয়া থাকিতে হইল । যেমনি মাখনলালের দুই সন্ত্রী প্রবেশ করিল, ফকির অমনি নতশিরে তাহাদিগকে প্রণাম করিয়া কহিল, “মা, আমি তোমাদের সন্তান ।” অমনি ফকিরের নাকের সম্মুখে একটা বালা-পরা হাত খঙ্গের মতো খেলিয়া গেল এবং একটি কাংস্যবিনিন্দিত কণ্ঠে বাজিয়া উঠিল, “ওরে ও পোড়াকপালে মিনাস, তুই মা বললি কাকে ” অমনি আর-একটি কন্ঠ আরও দুই সরে উচ্চে পাড়া কাঁপাইয়া ঝংকার দিয়া উঠিল, "চোখের মাথা খেয়ে বসেছিস ; তোর মবল হয় না ?” নিজের সম্প্রীর নিকট হইতে এরুপ চলিত বাংলা শোনা আভাস ছিল না, সতরাং একান্ত কাতর হইয়া ফকির জোড়হ স্তে কহিল, “আপনার ভুল বুঝছেন। আমি এই আলোতে দাঁড়াচ্ছি, আমাকে একট: ঠাউরে দেখনে ৷” BBB BBBB BB BB BDDS HHBB BBBS BBB BB BBB BB গেছে। তুমি কচি খোকা নও, আজ নতন জন্মাও নি । তোমার দধের দাঁত অনেক দিন ভেঙেছে । তোমার কি বয়সের গাছ-পাথর আছে । তোমায় যম ভুলেছে বলে কি আমরা ভুলল ।” এরপে একতরফা দাম্পতা আলাপ কতক্ষণ চলিত বলা যায় না— কারণ, ফকির একেবারে বাকশক্তিরহিত হইয়া নতশিরে দাঁড়াইয়া ছিল। এমন সময় অত্যন্ত কোলাহল শনিয়া এবং পথে লোক জমিতে দেখিয়া ষষ্ঠীচরণ প্রবেশ করিল। यजिल. “nडन्निन श्राप्राद्र घद निभ्टश झिल, azकदारह प्ले:णच् झिल ना । आख মনে হচ্ছে বটে, আমার মাখন ফিরে এসেছে।” ফকির কবজোড়ে কহিল, “মশায় আপনার পতবধদের হাত থেকে আমাকে রক্ষে করুন।” ষষ্ঠী। বাবা, অনেক দিন পরে এসেছ, তাই প্রথমটা একট, অসহ্য বোধ হচ্ছে। তা, মা, তোমরা এখন যাও । বাবা মাখন তো এখন এখানেই রইলেন, ওঁকে আর