পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্যাগ Q & দুই হাতের মধ্যে কাতরে মুখ লকোইয়া আপনার সমস্ত বল এবং ইচ্ছা দিয়া আপনাকে যেন লন্ত করিয়া দিতে চেষ্টা করিল। দক্ষিণে বাতাসে পাপিয়ার বর ঘরে প্রবেশ করিতে লাগিল, কাহারও কানে গেল না। পৃথিবী এমন অসীম সন্দের, অথচ এত সহজেই সমস্ত বিকল হইয়া যায়। দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ হেমন্ত বাহির হইতে ফিরিয়া আসিয়া সত্ৰীকে জিজ্ঞাসা করিল, “সত্য কি ” সী কহিল, “সত্য।” "এতদিন বল নাই কেন ।” “অনেকবার বলিতে চেষ্টা করিয়াছি, বলিতে পারি নাই। আমি বড়ো পাপিষ্ঠা ।” “তবে আজ সমস্ত খুলিয়া বলো।” কুসুম গম্ভীর দৃঢ় সবার সমস্ত বলিয়া গেল— যেন আটলচরণে ধীরগতিতে আগনের মধ্যে দিয়া চলিয়া গেল, কতখানি দগধ হইতেছিল কেহ বুঝিতে পারিল না । সমস্ত শুনিয়া হেমন্ত উঠিয়া গেল। কুসুম বঝিল, যে স্বামী চলিয়া গেল সে স্বামীকে আর ফিরিয়া পাইবে না। কিছ আশ্চৰ্য মনে হইল না; এ ঘটনাও যেন অন্যান্য দৈনিক ঘটনার মতো অত্যন্ত সহজ ভাবে উপস্থিত হইল, মনের মধ্যে এমন একটা শকে অসাড়তার সঞ্চার হইয়াছে। কেবল, পথিবীকে এবং ভালোবাসাকে আগাগোড়া মিথ্যা এবং শান্য বলিয়া মনে হইল । এমনকি, হেমন্তের সমস্ত অতীত ভালোবাসার কথা স্মরণ করিয়া অত্যন্ত নীরস কঠিন নিরানন্দ হাসি একটা ধরধার নিষ্ঠর ছুরির মতো তাহার মনের এক ধার হইতে আর-এক ধার পর্যন্ত একটি দাগ রাখিযা দিয়া গেল। বোধ করি সে ভাবিল, যে ভালোবাসাকে এতখানি বলিয়া মনে হয়, এত আদর, এত গাঢ়তা— যাহার তিলমাত্র বিচ্ছেদ এমন মমান্তিক, যাহার মহেতামাত্র মিলন এমন নিবিড়ানন্দময়, যাহাকে অসীম অনন্ত বলিয়া মনে হয়, জন্মজ্ঞামান্তরেও যাহার অবসান কল্পনা করা যায় না--সেই ভালোবাসা এই " এইটুকুর উপর নিভার! সমাজ যেমনি একটা আঘাত করিল অমনি অসীম ভালোবাসা চল হইয়া একমষ্টি ধলি হইয়া গেল! হেমন্ত কল্পিত বরে এই কিছর পবে কানের কাছে বলিতেছিল, “চমৎকার রাত্রি !" সে রাত্রি তো এখনো শেষ হয় নাই ; এখনো সেই পাপিয়া ডাকিতেছে, দক্ষিণের বাতাস মশারি কপিাইযা যাইতেছে, এবং জ্যোংনা সুখশ্রাত সপত সন্দেরীর মতো বাতায়নবতী পালঙ্কের এক প্রান্তে নিলীন হইয়া পড়িয়া আছে। সমস্তই মিথ্যা। ভালোবাসা আমার অপেক্ষাও মিথ্যাবাদিনী, মিথ্যাচারিণী । তৃতীয় পরিচ্ছেদ পরদিন প্রভাতেই অনিদ্রাশকে হেমন্ত পাগলের মতো হইয়া প্যারিশংকর ঘোষালের याफ़िरठ शिग्ना फेर्नाभ्थऊ शईल । नाङ्गिणरकद्र खिख्लामा कब्रिज, “कौ tश् यान्ए. कौ খবর।”