পাতা:গল্পলহরী-নবম বর্ষ.djvu/৪০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অগ্রহায়ণ, ১৩৪৪ I সঙ্গলাভের জন্যই যেন আমি এতদিন ধরে কঠোর তপস্তায় মগ্ন ছিলাম । “আমার স্ত্রীর সেবা খন্ত্রে বাবা আমার বোনের দুঃখ অনেকটা ভুলে গিয়েছিলেন মায়ের শোঙ্কও বোধ হয় অনেকট সামলে নিয়েছিলেন। জমির ঘন ঘন বাড়ীতে অ সার জন্তু তিনি মুখে কোনো অমৃযোগ করতেন না বটে, কিন্তু মাঝে মাঝে পড়াশুনার কথা মনে করিয়ে দিতেও উার মূল হ’ত না ! "এই সময়ে আমার একটা উপসর্গ জুটলো —সেট কবিতা রোগ। একদিন একখান মালিক-পত্রিক থেকে একটী ভালবাসার কবিতা রমণীকে পড়ে শোনাচ্ছিলাম । যুদ্ধচিত্তে কবিতাটা শুনে সে স্বামীর মুধের উপর তার আয়ত চোখ ছ’টা রেখে বললে –‘তুমি এমন ভালো কবিতা লিখতে পার না ?” “আমি হেসে উত্তর দিলাম—এর চেয়ে ড়ের ভুগলে কবিতা আমি লিখতে পারি। "রমলা আমার হােতপানাকে তার কোমঃ হাতের মুঠির মধ্যে চেপে ধরে বললে—“ত হ’লে লিখে, লক্ষ্মীটি ! আমি সকলকে দেখাবো * "সেই থেকে এই মূতন ব্যাধির উৎপত্তি। প্রথম প্রথম কবিতা লিখতে ভারী কষ্ট হ’ত । শেষে যা হোক কিছু অভ্যাল হয়ে এলো । "কবিতা আর বনিত এই ছন্থের আকর্ষণে পড়ে, পাঠ্যপুস্তকের দিন দিন দুর্দশা ঘটতে লাগলো । যাদের সঙ্গে এক সময় ছিল জামার অবিচ্ছেদ্য সাহচৰ্য্য, ক্রমে ক্রবে তার দূর হতে দুরতর, দূরতম হয়ে উঠলো । “বি-এ পরীক্ষার ফল যখন বের হ’ল, পাশের তালিকায় আমার নাম আর দেখা গেল না । লজ্জায় খ্রিয়মান হয়ে পড়লাম। ছুঃখে চোখ ফেটে জল এলে 1 জামি যেন লকলের অপরাধী gê* দয়ার পাঞ্জ। যে দেখে সেই সাখন দেয়, এবার ভালভাৰে পাশ হবে। য়মলার চিঠিতেও ঐ কথা, বাৰ'র চিঠিতেও ভাই । “আণষি বুক বেঁধে আবার পড়তে বুক করলাম ; কিন্তু সে উৎসাহ আর আমার ছিল না । ইতিমধ্যে বাৰার পত্রে একদিন সংবা পেলাম, আমার একটী পুত্র হয়েছে। এই খবরে আনশ্বের চেয়ে বিমাদ-ই হয়েছিল আমার বেশী। অামার এক পয়সা উপার্জন নেই, বুড়ে বীপের হুড়িভাঙ্গ খাটলির পয়গায় জালি একবার বি-এ ফেল ৰুক্সে জাবাব পড়ছি, অথচ, এরই মধ্যে সংসারের ভার আসার ঘাড়ে ষোলশন এসে চেপ্ৰেছে । আমি শুধু স্বামী নই, আমি এখন সন্তানেরও পিতা । “হয় ত এভাবেই আসার দিন একরকম ক’রে চলে যেত।--হয় ত সেবারে আমি ভালভাবেই भा* रूद्ररउ नाब्रऊाम -किरू जहूर्यहेब्र श्रठि অন্তরূপ। আমার পরীক্ষার একমাস আগে হঠাৎ আমার পিতার মৃত্যু হ’ল । আমি বুঝলাম, আশাক্তত্ব হওয়াতেই তার স্বরণ এত শীঘ্র এগিয়ে এসেছে। কোমোল্লকমে টার শ্ৰাদ্ধশক্তি শেষ করে জমি দেখলাম পড়াশুনা স্বামার পক্ষে এপন স্বপ্নের কল্পনা । লামস্ক্যি চাকুরির উপর নির্ভর করে বাবা কোনোরঞ্চমে ঞ্জিন কাটিয়ে গেছেন ; এধট পয়সাগু সঞ্চয় করে” ক্ষেতে পারেন্স নি। আমার নিজের, স্ত্রীর ও শিশুপুজের ভরণপোষণের জন্ম তখনই সঙ্ক সুস্থ আমার অর্থ উপার্জনের প্রয়োজন । পাশের বাড়ীর ঠান্‌লি'কে জনেক বলে-কল্পে রমলাজের দেখবার ভার তার উপর দিয়ে, স্বাবার কোলকাতার দিকে রওনা হলাম—নতুন উদ্ধেশ্ব নিয়ে, অর্থোপার্জনের আশায়। “পাঠ্যপুস্তকগুলি বিক্ৰী কঙ্গে’ যা কিছু পেলাম, তাই থেকে একবেলা করে হেক্টলে