পাতা:গল্পলহরী-নবম বর্ষ.djvu/৪০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$4s মনে হ’ল,-ধৰ্ম্ম নেই, পাপ-পুণ্য নেই, ঈশ্বরও নেই! ভাবলাম, রোগাতুর কুৎসিং দেহটা মধ্য থেকে প্রাণটাকে যখন মুক্ত করে দিয়েছি, তখন দেহটাকেই বা এখানে ফেলে যাই কেন ? শেয়ালকুকুরে টানাটানি করে ছিড়ে থাবে—সে ভারী বীভৎস দেখাবে ! হয় ত কাল সকালে পথ চলতি লোক এই চির-অভিশপ্ত হতভাগ্যকে আবার নতুন করে অভিশাপ জেৰে । তার চেয়ে বরং গঙ্গার জলে ভালিয়ে দিই ; লোকটার হয় ত এক্ট সদগতিও হয়ে যেতে পারে। "এক্সপরের ঘটনা লেখা আমার পঙ্গে জনাবশ্যক। স্বাক্ষীদের মুখ থেকেই তা আপনার करनटाइन । उर्दू ७३ कशफै चमि दणष्ठ का३,অর্থের লোভে এই বুদ্ধকে আমি হতr করি নি । তার আসন্ন ও কষ্টদাৰক মৃত্যুকে শুধু স্বয়াপরবশ হয়ে সরল করে দিয়েছিলাম। “জার শেষ কথাটা এই—আমার গ্রেফতার না করলেও কোনো ক্ষতি ছিল না ; কারণ, নৱহত্যার যে চরম ও জাইনে জি-স্ত পারে, তা' আমি স্বেচ্ছায়ই গ্রহণ করতাম। বুদ্ধ ভিখারীর স্থতদেহকে জঁাকড়ে ধরে গঙ্গায় এমন স্কুৰ দিতাম যে, আর সেখান থেকে উঠ তাম না! হয় ত পরদিন লোকে দেখতে পেত, সমদু:খভাগী অমর। দুই ৰন্ধু পরস্পরের আলিঙ্গনে বন্ধ হয়ে ঢেউয়ের সাথে সাথে নেচে বেড়াচ্ছি ”ি পেশকারবাবুর পড়া শেষ হইলে চারিদিকে একটা অস্ফুট ধ্বনি ফুটিয়া উঠিল । প্রহরীর থাকিল,—“চুপ, চুপ ?” জুীদিগের দিকে চাহিদা জজ-সাহেৰ —-এ মামলায় শার কোন বিকৃতি বলে আমার মনে হয় না । আপনাজের মত তা পলুল হয় । , - - Δώδx. নবম বর্ষ কিছুক্ষণের জন্ম জুরীগণ পার্শ্ববর্তী কক্ষে উঠিয়া গেলেন। জঙ্গ-সাহেব গন্ধীর-মুখে বর্ণনা পত্রের পাতা উন্টাইতে লাগিলেন। আসামী অধীর আগ্রহে তাছার মুখের দিকে চাহিয়৷ রছিল। প্রায় কুড়িমিনিট বাদে জুয়ারগণ ফিরিয়৷ আসিলেন। ‘ফোর্ধ্যান বলিলেন—”এই আসামী যে নরহত্যার অপরাধে অপরাধী, এ বিষয়ে আমষের শশ্বেহুমাত্র নাই। মুম্বুকে হত্য করাআর হস্থ সবগ ব্যক্তিকে হত্যা করা আইনের চক্ষে তুল্য অপরাধ। নরহত্যার চরম শাস্তি প্রাণদণ্ড। সেই দণ্ডই আইনতঃ এই অপরাধীর প্রাপ্য। কিন্তু এর জীবনের পূর্বাপর ঘটনা এবং হত্যাকালীন মানসিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে জামরা আসামীর প্রাণদণ্ডের পরিবর্তে বাৰজীবন দ্বীপান্তরই সমীচীন বলে মনে করি।” জজ-গাঙ্কেৰ কিছুক্ষণ চিন্তা করিষার পর বলিলেন,—“মাননীয় জুরারগণ যে অভিমত প্রকাশ করেছেন, জামিও ঠিকৃ নেই মত পোষণ করি । সুতরাং, এই আসামীকে জাগি নরহত্যায় অপরাধে যাবজ্জীবন বীপান্তর যালের স্বাদেশ দিলাম।” ছকুম দেওয়ার লঙ্গে-সঙ্গেই জজ-সাহেব ও জুল্লারগণ উঠিস্থ পড়িলেন । দর্শকেরাও নানাঙ্গাপ জালোচনা করিডে করিতে এজলাল-গৃহের বাহিরে চলিম্বা গেল । কাঠগড়ার ভিতর অপরাধী তখন জাৰ্ত্তস্বরে চীৎকার করিয়া উঠিল—“আমি বঁাচতে চাই না,-আমার প্রাঞ্চলগু দিন—আমার বর্ণলির হুকুম দিন । বাচা এখন আমার পক্ষে চরম অভিশাপ—মৃত্যুই জামান পরম স্থাৎ—আমার শ্রীলঙ্গও জিন জজ-সাহেব !” বাহিরের কলকোলাহলে আসামীর জার্ড কণ্ঠৰন্থ জমে ক্রমে মিলাই। গেল ।