পাতা:গল্পলহরী-নবম বর্ষ.djvu/৪১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8&8 যতদূর দৃষ্টি যায় প্রতি অলকের গাড়ীর দিকে চেয়ে রইল, তারপর মিলিয়ে গেলে সেই চলা পথের দিকে চেয়ে চেয়ে তার চোখ দুটো টনটন করে উঠল। অনেকক্ষণ পরে ছোট একটা নিঃশ্বাস ফেলে সে সরে' এল। গৃহস তাঁর দৃষ্টি পড়ল অলকেশ্ব রেখে যাওয়া জামাটায় দিকে । ধীরে ধীরে এগিয়ে গেল সে গ্রামাটার কাছে । আলকের হাতে রাখা জ্বামী । কিদের আবেশে সে শিউরে উঠে সেখান থেকে সক্সে এল ৷ স্থার প্রসারি নীল আকাশের দিকে ক্ষে চেয়ে রইল। ক্রমে পৃথিবীর বুকে সন্ধ্যার প্তাব ছা অন্ধকার জমা হয়ে উঠলু । তার কিছু BB BBB BS BBBB BBB BBB BB মনের গোপন জাগঙ্গে স্থা দিয়ে গেল । ফাগুনের রঙিন রাগে তার ব্যথার কুসুমে যেন রং ধরেছে । লে আয় নিজেকে সীমলাতে পারলে ল’, গভীর বেদনায় বিছানায় লুটিয়ে পড়ল । অনেকদিন পরে শরভের এক প্লিখোজ ল গ্রভাতে অবাক ৰাষ্ট্ৰী ফিরল। সকলে তাকে সাদরে বরণ করে নিলে। খ্ৰীতি ফেগলে অলকের তরুণ মুপ্তি। তার সৗর দেহে যেন ছন্ম নেচে চলেছে । আলক প্রীতিকে দেখলে যেন শরতের শিশির-সিক্ত শুভ্ৰ শেষণী । অপণা অলকের গায়ে হাত বুলুতে বুলুতে বললেন-বড় রোগ হয়ে গেছি। বাবা ? অার কত দিন পড়বি ? অলঙ্ক কিছু বললে না, শুধু হাসলে একটু। আলকের সঙ্গে প্রতি আর পূৰ্ব্বেকার মত মিশতে পারলে না । সে যেন জ্ঞাপনা হতে দূরে দূরে সয়ে যেতে লাগল। [নবম বর্ষ জলকেরও সনে জাগল কেন সে অতীতের সবুজ শ্বশ্ব । সেদিন না বুঝলেও হয় ত আজ বুঝতে পেরেছে। প্রতির সঙ্গে কথা বলতে গেল, কিন্তু পাৰ্বলে না । অলকেশ্ব ছুটি ফুরিয়ে এল, সে আবার চলে’ গেল কোলকাতায় । প্রতির নিঃসঙ্গ, একাকী জীবনের মাঝে শুধু ব্যবধানের প্রাচীর তুলে দিয়ে । বছর চায়েক পুরের কথা । অলঙ্ক এখন দেশে । তার মা আর নেই। মাত্র ছুটি প্রাণী । সে আয় প্রতি। পত্তির যুগের দিকে চেয়ে সে কি দেশে। হুঙ্করী প্রতি, রূহুস্তামী প্লাণ্ডি । কারণে অকারণে প্রডিঞ্জ মালোকের মুপের দিকে চায়, তার মন যেন সন্দেহের দোহল গোলায় স্থলে গুঠে, সাদাকথায় জোর দিয়ে गएल-कि-झे ॥ তার বলার ভঙ্গীতে অলক চমকে ওঠে, কথা খুজে পাম্ব না । হয় ত প্রতি তার চোখের স্তাম্বা ধরতে পেরেছে—হয় ত পায়ে নি। সে মাথা নড় করে’ সামনে থেকে ঘরে চলে" স্থায় । গীতির বুকে কিন্তু আমার জোল লাগল না ; ক্ষণে ক্ষণে সে শিউরে উঠতে লাগল। এ লে কোথায় নেমে চলেছে । তাঁকে ত যৌবনের ৱঞ্জিন নেশীয় গা ঢেলে দিলে চলবে না । সে ষে পৃথিবীর বুকে নেমে এসেছে বাঙালীর মেয়ে হয়ে —ও কল্পনাটাও যে তাকে নরকগামী করবে। প্রাণপণে সে অস্পষ্ট স্থতিকে স্থম্পষ্ট করে তুলতে চাইলে । কবে কোন শুভলগ্নে ভরি জীবনে এসেছিল,—অনস্থিত এক অতিথি, কণ্ঠে ছিল তার ফুলের মালা, চোখে ছিল