পাতা:গল্পলহরী-নবম বর্ষ.djvu/৪৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অগ্রহায়ণ ১৩৪e } তীরন্থ গ্রামগুলি বোধ করি এতক্ষণ স্বপ্তিময়। কচিং বহুদূরে কোথায় কুকুরের কর্কশ চীংকারে নৈশ স্তব্ধতা যথিত হইতেছে । সহুলা খগেনের মাথায় খেয়াল চাপিল আমাকে একখানি গান গাঁহিস্তে হইবে । অনিলও সে প্রস্তাৰ সমৰ্থন কলি । বন্ধু-বান্ধবের আসরে এ কাজটা প্রায়ই আমাকে করিতে হয়। স্থতরাং মামুলী ভণিতা ভূমিকা না করিয়া গান একখানি ধরিতেই ইঙ্গ । श्रान, हेऊ:शूर्ति दरुनिंन श्राश्ब्रिाझि किद्ध aজপ তন্ময় হইয়া বিমুগ্ধচিত্তে কখনও গাহিয়াছি বলিয়া স্মরণ হয় না। অথবা পারিপার্থিক আবহাওয়ার সহিত গানের স্বর এমন নিবিড়ভাবে মিলিয়াছিল বলিয়াই সেদিন সত্যই স্বর-সরস্বতী আমার গলে যেন ধরা দিয়াছিলেন । গান থামিলে সকলের জ্ঞান হুইল । বতাস তখন বেশ প্রবলভাবে বহিতে সুরু করিয়াছে। এতক্ষণের অভ্যস্ত চক্ষে স্তিমিত আলোকের যে আভাসটুকু ছিল, এখন আর ভহিীও লাই ৷ মাঝে মাঝে তীব্র মিন্থতোলোক আকাশের বুক বিদীর্ণ করিয়া দিতেছে। সেই ক্ষণস্থী আলোকে বেশ দেখা যায় আকাশ ঘন কৃষ্ণস্থেঘে আচ্ছন্ন হুইয়া গিয়াছে। নৌকা তাঁর ঘেষিয়া চলিয়াছিল । নদীর পড়ের নীচে গাছগুল ঝড়ের ঝাপটে প্রবলবেগে আঙ্গোলিত হইতেছে। সহসা তীরের উপর ফিলের যেন একটা কর্কশ শৰ শ্ৰত হুইল। অনিল টর্চের আলো সেইদিকে ফেলিতেই দুইটা শৃগাল পার্শ্ববর্তী বনের মধ্যে চুকিয়া পড়িল । বুঝিলাম, গ্রাম্যস্মশানে কোন পরলোকগত মানবের অস্থি-পগ্রন্থ লইয়া তাহারা বিবাদ বঁiধাইআছিল। ৰুদ্ধ মাৰি পুত্রকে উদ্দেশ করিয়া বলিল,— বদর বাবু, দাড় যার জোরে। সঙ্গে সঙ্গে দ্বীড়ের ছলং ছলাং শষ্য ক্রততর হুইয়া উঠিল । কমলিড়াভীয় ভিটে 8kr& খগেন বলিল,—কি রকম বুঝছে। মাঝি ? না হয়--- ৰূদ্ধ আশ্বাস দিল,—ড়বৃতিসেন ক্যানে বাবুরা ? ৰসেন না ধির হইয়া। কিন্তু স্থির হইবার জায় উপায় ব্লছিল মা দেখিতে দেখিতে প্রকৃতির তাগুব-লীলা গুরু হইয়া গেল। মুহমূহ মেঘগর্জন ও বিদ্যুৎ চমকের মধ্যে মূষলধারে বৃষ্টি নানিল । আমরা তিনজনে তাড়াতাড়ি নৌকার ছ'য়ের মধ্যে ঢুকিয়া পড়িলাম। কিন্তু ঢুকিলে কি হইবে ? সে ছয়ের অবস্থা এমন জীর্ণ যে, সেই দুৰ্য্যোগে উহার মধ্যে নিরাপদে আছি বলিয়া নিজের মনকে প্রবোধ দেণ্ডয়া হয় তা চলিতে পারে, কিন্তু বৃষ্টি হইতে প্রকুড় আত্মিপ্রক্ষণ ক্রী চলে ল ৷ অনিল চিরকালই একটু ভীরু স্বভাবের। সে বলিল,-নৌকা কোথাও বঁধিতে বল্‌ না । বলিতে কি আমি এবং বোধ করি পগেলও সেই কথাই ভাবিতেছিলাম। মাঝি বিশেষ অনিচ্ছাস্বত্ত্বেও স্বামীদের পীড়াপীড়িতে অবশেষে ণেীক্ষা বাধিতে রাস্ত্রী হুইল । বলিল,—করুতার ঘহন বলডিসেন, তহুন না হয় ল স্থই “বাঘের থালে" মধ্যিই ভিড়াই ; কম্‌লিভাঙার ঘাটে নোঙর কবৃতি হবে। কিন্তু করত। ভাটার আগে ডালে আর পৌঁছুতি ধারাবাৰে ন-উত্তোন ঠেলপ্তি হবে। নৌকা নোঙর করার কথায় জানিলের ধড়ে যেন প্রাণ খাশিয়াছে। সে ব্যস্তভাবে বলিয়া উঠিল,—তা হোক মাঝি, সে পরের কথা পরে হৰে । তুমি এখন নোঙরের বলোবও কর । এই সময়ে সহসা অনতিদূর হইতে বিপুল মুজ্ঞমান জলশ্লোভের একটা শঙ্ক প্রতিগোচর হইল এবং জামাদের নৌকা যতই অগ্রসর হইয়া চলিল, সেই শৰও ম্বেল তত স্পষ্ট হইতে স্পষ্টতর হইয় উঠতে লাগিল ।