পাতা:গল্পলহরী-নবম বর্ষ.djvu/৫৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

భీపిణీ যায়। খুযায় মলিন নয়পদের ধুলিভরা অঙ্গরাগে সে ক্ষতকে ঢেকে দেয় না । অপুর্ণ ভাবে—সেই উপেক্ষিভ অনাহুতের দল, অৰ্দ্ধছিন্ন অৰ্দ্ধমলিন বসনে স্বার। আজকের এই উৎসবে নিতান্ত অনাবশ্বকের মত ভিড় করে” এলে দাড়িয়েছে--তারা কী গুই ভোরণ-স্বারের বাইরে থেকেই ফিরে চলে বাবে –ওরা বৃদি আজি দুয়ারের কাছে পুঞ্জীভূত হতাশ্ব স সঞ্চিত রেখে চলে যায়—তবে সে ধার্থতা কোন মাঙ্গলিকের সূচনা জানাবে ? —“রাস্তা ছেড়ে, রাস্তু ছেড়ে—” একটা সোরগোল থেকে উঠতে অপূর্ণ লিড়ি ছেড়ে একটু তফাক্তে সত্বে আসে। একটা প্রকাগু মোটর সাম্নে এসে গাড়াতেই কাল্প জম্মুট কণ্ঠঞ্চনি কানে অসে—"ল্পৰীক্সনাথ ।” তার সারা দেহে পুলকের শিহরণ স্বয়ে স্থা । ল্পনতার ওপর ঝুকে পড়ে নিমেষে সে কবিকে দেখে নেয়। ক্ষণিকের দেখা-সিড়ি যেয়ে ভিতরে প্রবেশ করতে যেটুকু সময় লাগে। किरू ७३ भगटक्ब्र ८मधीcउद्धे कविद्र मूथब्र প্রত্যেক রেখাটি যেভাবে তার মনের পটে এসে ধরা দেয়-হাজার দেখাতেও তার চেয়ে বেশী কিছু জাকা যায় না । অপুর্ণ জীবনে বিশ্বকবিকে এই প্রথম দেখলে । শুধু ছবি হ'য়ে এতদিন মনের স্তলে যা ঢাকা ছিল—আজ এই মুহুর্তে প্রাণ পেয়ে সে যেন জীবন্ত হয়ে উঠল । সে ভাবে-এই সেই শূন্তমন কাঙালিনী মেয়ে'র কবি । তার চিত্ত কৃতজ্ঞতায় ভরে ওঠে । আজকের দিনের ধ্ৰুত লঙ্গা—যত ব্যর্থতার অপমান—সৰ কবিকে দেখার আনন্দে বর্ষণ-সিক্ত রৌদ্রের মত মধুর উজ্জ্বল্যে পরিপূর্ণ হ’য়ে ওঠে। নবম বর্ষ সভা শেষ হ'তে সকলের চলে যাওয়ার পর চারিদিকের নির্জনত অপুর্ণকে অবসাদগ্ৰস্তু করে তোলে। কিছুক্ষপ স্থায়ুর মত দাড়িয়ে থেকে সে একাই পথ চলতে থাকে। জনকোলাহল-মুখরিত সহাডস, হাসি-আনন্দ সকল fকছুই অপূর্ণর স্বপ্ন ঠেকে। এক পথচল,— এইটুকুই তার কাছে চিরন্তন সত্য বলে মনে হয় । জনেকখানি পথ ইেটে এসে পয়ের শিরা যন্ত্রণাঙ্গ টন্‌টন্‌ করে । বুভূক্ষায় জঠরে আগুন জলে । স্বাস্তার কল হ’তে আকণ্ঠ জলপান করেন্থ সে ক্ষুধ স্তল হয় ন৷ পকেটে একটি যাত্র পয়সা । তিনদিন টিফিন না ধেয়ে ক্ষুধার সঙ্গে অবিরত যুদ্ধ করে’ বাfচয়ে রেখেছে ! আজ এক মুহূৰ্ত্তে—ন। এত দুর্বল, এত্যু অব্যবস্থচিন্তু সে নয় ? এখন যে কষ্টকে দুঃসহ বলে মনে হচ্ছে, কাল কৰ্ম্মেয় চাপে এ ক্ষুধার উত্তেজনা আরো বিগুণ হয়ে যখন জলে উঠবে, তখন তার তুলনায় এ কষ্ট নিতান্ত অকিঞ্চিৎকর বলে’ বনে হৰে । তখন এই একটি পয়সা ভিন্ন আর গতি নেই ? সে জানে এমনি কত ‘কালের পর ‘কাল’ কেটে গেছে, তবুও প্রাণ ধত্বে পশ্বলাটা সে খরচ করতে পারে নি । “চিত্রা’র ফোর্থ-ক্ষীল বুকিং-অফিসের খানিক প্তঞ্চাতে লোহার দরজার পাশে কারবাইড়ের আলো জেলে চীনের বাদামশুরান শূন্ত স্নানদৃষ্টিতে চেয়ে থাকে । তার চোখে চোখ মিলতেই বলে—“ক্যাচাইছে বাৰু?” অপূর্ণ নি:শঙ্গে ঘাড় নেড়ে ফুটপাথের সীমান্তে এলে ধাড়ায় । সমস্ত আরো ঘোরালো হ’য়ে ওঠে । প্রতিষ্কারের উপায় থাকুতে অমর্থক এ কষ্ট সয়ে’ গ্ৰাক্ষায় কী প্রয়োজন ? দেহের পীড়ার