পাতা:গল্পলহরী-নবম বর্ষ.djvu/৫৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

છ૨૨ হাসিতে কহিল : পালালুম, না ? হঠাৎ পাঞ্চলের ওপর দুই পড়িতেই সে অবাকৃ হইয়া গেল ! ছিন্ন হষ্টলেণ্ড একখানি আধময়লা পরিয়া এলং ভাবছিলে, ফেলে বুঝি aালপাড় সাড়ি চিরুণীতে চুলগুলি পরিপাটি করির স্বাচড়াইয়া চৌকির উপর সে চুপ করিয়া বলিয়ছিল । পরিহাস করিয়া স্বধীন কলিল ঃ স্তরে নী বলেছিলে, এক কাপড়ে লেখ্রিয়ে এসেছি ? তা যাই হো, বেশ ম:মিয়েছে কিন্তু তোমায় ? কৃত্রিম অভিমানের স্বরে পাঙ্কণ কছিল - খুব হয়েছে, খালে । সব বিদো টের পেরেছি তোমার । এখন সতীনটী কোথায়, তাই বল fাকি শুনি ? বিস্ময়ের উপর বিশ্নঃ আসিয। রবীনকে অভিভূত করিয়া ফেলিল বলিল কী সব বলচ তুমি । —কি আর I আসল কথাটা বলষ্ট ন৷ ন শুনি ? এই কাপড় ও গুষ্ট লোচক থেকে বেকুল ? রবীনের হঠাৎ মনে পড়িয় গেল, কিছুদিন পূর্বে এক গৃহস্থ বাটীতে ম্যাজিক দেখাইবার পুরস্কার-স্বরূপ সে ওই ব্যবহৃত কাপড়খানি এবং অন্যান্য জামা ইত্যাদি উপহীর পাইয়াছিল । ঈষৎ হাসিয়া সে কহিল ; এর মধ্যে খুঁটিনাটি সব দেখা হয়ে গেছে ? ধন তোমরা ? পারুল একথা পূৰ্ব্বেই অনুসান করিয়াছিল । হাসিয়া বলিল : তোমরাই ব -ধন্য কম কিসে ! রবীন কহিল ; চলে, এখুনি নতুন ঘরে যেতে হবে ; সব ঠিক হয়ে গেছে। এ ঘরে জামরা চারজনে থাকি । পারুল হাসিয়া বলিল ৰাক্সগুলোই ও স্বাক্ষী রয়েছে ; ও আল্প শুনিয়ে লাভ নাই । এখন এক [ নবম বর্ষ করে, এক পয়সার -সিদূর এনে দাও । ৰাথায় শিদূর না দিয়ে তোমার সঙ্গে আর এক পাণ্ড নড়ছি না আমি । বিশ্বাস কি ? রবীনও হাসির উত্তর দিল : একটু সিদূর ঞ্জিলেই বিশ্বাল আসবে ত ? লগৰ্ব্বে পারুল কহিল ; নিশ্চয়ই-হিন্দুর সেয়েন্ত্র এই-ই ত মূব চেয়ে বড় বিশ্বাস : কালেক্স কেঙ্গে চলিতে ভুলিতে আটমাস কাটি গেল্প । চির-সাধনার সতীত্ব অঙ্কুঞ্জ রাখিয়া মনোমভ স্বামী পাইয়া স্বপে দুঃখে পাকলের দিনগুগি কাটিয়া যাইতেছিল। কিন্তু ঞ্জিন থিম উপার্জনের জঙ্ক কৃমিয়া আসিতে এবং বাজারের অবস্থা মুম্বা দেপিয় রবীন্ত্ৰ মনে যনে অত্যন্ত্র শুীত হইগু পড়িল। সত্য বটে, মাত্র ফুষ্ট অনান্থ সে পত্নীয় যেরূপ সহাস্ত প্রফুল্ল বন্ধন থেথিয়াছে, দুই বা ততোধিক টাকা দিয়াণ্ড তাহা অপেক্ষ বেশী কিছুই তাহার নিকট হইতে পায় নাই । অশেষ গুণবতী এবং বৃদ্ধিমতী স্ত্রী পাইয় সে মনে মনে শান্তি জন্থগুব ৰুব্লিন্ত । কিন্তু ক্রমশঃই তাহার সংলার অচল হইয়া উঠিতে লাগিল্প। প্ৰায়ূ এক প্রকার নাই বলিলেই চলে। এদিকে পুত্র-সম্ভাবনার লক্ষণগুলি পাকলের দেহে পরিস্ফুট হই উঠিয়াছে। এক্সপ ক্ষেত্রে কি করিখে ভাবিয়া ব্লবীন্দ্র প্রমাদ গণিল । ইদানীং সে বন্ধু-বান্ধবের নিকট হইতে নানা অজুহাক্তে কর্জ করিয় তাহ দিনাস্তে পুীরুলের হাতে গুজিয়া দিত। ঐ-অবস্থায় শুনাহারে থাকিলে সে বঁাচিবে কি করিয়া ! পারুল স্বামীর এই সব কথা কিছুই জানিত না । কথাটা সেদিন কিন্তু জলের মতই তাহার