পাতা:গল্পলহরী-নবম বর্ষ.djvu/৫৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নৌকায় উঠিয়া চৈতী শৈলেশের পায়ের উপর গড় হইয়া প্রণাম করিয়া উঠিয়া বলিল— এত ঘটা করে আমাকে অভ্যর্থনা জানাবার কি দরকার ছিল বল ত ? বাড়ীর বৃদ্ধ গোমস্ত ত্ৰৈলোক্যনাথ চৈতীকে তাহার বীপের বাড়ী হইতে আনিভে গিয়াছিলেন । ষ্টীমার-ঘাট হইতে বাড়ী লইয়া যাইবার জন্তু দুঃখীরাম একখানি ৰভু দেখিয়া নৌকা ইতিমধ্যে ভাড়া করিয়৷ তাঁহাদেৰ অপেক্ষায় বসিয়াছিল । কিন্তু শৈলেশের আগমন ক্ৰেন্থ প্রত্যাশ করে নাই । ত্ৰৈলোকালাণ কাজেই ব্যবস্থাটা একটু পাল্টাইতে বাধা হুইলেম । তিনি নিজেই খাচিয়া বুদ্ধি শিলেন,— যখন এসেই পড়েছ, তখন এক কাজ করে। বাবা, छूभि याब्र नदखांब cबोमाहक भिरग्न खड़े ऊाम्नाटके নৌকোখানায় মাও । দুঃখী বাড়ীর নৌকোগান। খাটে পৌছে দিক্ । আর আমি টেটে গিয়ে খবরট আগেই জানিয়ে দি"-কেমন, সেই ভাল ত ? ীিমার আসতেও আজ দেরী কয়ে” ফেলেছে ; সবাই এতগণে হস্থ ও ভাবতে বসে গেছেন । শৈলেশ ত্ৰৈলোক্যনাথের প্রস্তাবে অনেক জাপত্তি জানাইল ; কিন্তু কোনটাই টিকিল না। আসল কথা, বৃদ্ধকে সে কিছুতেই এই পথ ইটার কষ্ট দিতে রাঙ্গী হইতেছিল না । শেষ পৰ্য্যস্ত ত্ৰৈলোক্যনাথের প্রস্তাবই বহাল বুহিয়৷ গেল । শৈলেশ মনে মনে আশীৰ্ব্বচন উচ্চারণ করিয়া প্রকাশ্বে বলিল—ঘট আমি কিছুই করি নি। বাড়ীর সবার কাছে এর জন্তে আমাকে লজ্জাও পেতে হবে অনেক জমি ; কিন্তু তোমার এই ঠাকুরপোটি কিছুতেই ছাড়লে না। চৈতী সন্তোষের পানে প্রশংস-সৃষ্টিতে একবার চাহিয়া জানত মুখে বলিল-এ ভালই হলে, নবম বং তোমাকেই সবার অাগে প্রণাম করতে পেলাম। লাজুক চৈতী যে এমন করিয়া কথা কহিতে পারে, তাহা ইতঃপূৰ্ব্বে সন্তোষের জানা ছিল না। কিন্তু কোপা হইতে এত বিস্ময়, এত শ্রদ্ধা, এত সস্ত্রম একসঙ্গে আসিয়া তাহাকে মুহূৰ্ত্তে অভিভূত করিয়া ফেলিল, তাহা সে কিছুতেই ভাবিয়া পাইতেছিল না । মাহুষ কোন অসাবধান মুহূৰ্ত্তে যে নিজের সত্য পরিচয় দিয়; আর এক জনের চোপে সন্মাণ শ্রদ্ধার অভিষিক্ত হইয় উঠে, তাহা সে যেমন নিজেও বোঝে না, ভেমনই বিশ্মিড অভিভূত লোকটিও ঠান্থর কখ্রিস্থা উঠিতে পাঝে ; যে, কেমন করিধা, কোথা য়ি, কোন যাদুমন্ত্রে সে এতখানি সন্মান শ্রদ্ধা আদায় করিয়া লইল । একটা আৰ্যক্ত বিস্ময়ে সে মুহূৰ্ত্তটি এমন ভাবে ঢাকা পড়িয়া ধায় যে, কোনদিনই তাহাকে আর টামিস্থা বাহিল্পে জানা চলে না : স্মরণের স্বর্তীতে লে মুহূৰ্ত্ত ছিৰুদ্ধিনের ৰম্ভ মিলাইয়া যায়-কিস্থ উদ্বুদ্ধ সন্মান শ্রদ্ধা তেমনই অটুট অবিছিন্নভাবে তাহাকে লক্ষ্য করিয়া হালক্ষিতে বহুিতে থাকে। ...এমনই একটি মুক্লপ্ত হয় ত কাটিয়া গেল । সম্ভোষ নীরব থাকিছু লে-মুহূৰ্ত্তটিকে নিজের শ্বরণের গ্রন্থির মধ্যে ৰাপিয়া লইতে বুখাই চেষ্ট করিগ হয় ত। কিন্তু সে-মূৰ্ত্তি অন্ধকার যবনিকর জন্তরালে চিরদিনের মত বিলীন বিলুপ্ত হইয়৷ গেল।... এই অর্থশূন্ত চঞ্চল নীরবতা প্রথম চৈতীই ভাঙিম্বা দিয়া বলিল—ঠাকুরপো! সন্তোষ চম্‌কাইৱা উঠিল। মুহূৰ্ত্তে আবার নিজেকে সামূলাইয়া লইয়। বলিল—আচ্ছা চৈতী ৰেীদি, আর ছুটো দিল আগে আসতে কি হয়েছিল গুলি ? অামাদের ছুটির আর ক'দিনই বা বাকী আছে ? এ দু’দিনের জন্তে না এলেও চলছো ।