38 يلي দীপ্তি ! লোকান্তরিক্ত পঞ্জীর সাহচৰ্য্য কামনায় অপুৰ্ব্বর বিরহী মন উন্মাদ হইয়া যায় । বৎসরের এই একটি দিলে, ও যেন বুঝিতে পারে, কল্যাণী স্বর্গ হইতে ফিরিয়া আসিয়াছে ৷ সজপ্রত্যাগতাঁর পদধ্বনি শুর কাণে বাজে । কল্যাণীর কণ্ঠে যেন স্বর-সমারোহ,-ও হাসির সঙ্গে নন্দনের পারিজীত স্বধৰ্মী ! গুস্তু নিশ্বাসেনিশ্বাসে সমস্ত ঘর-ছুয়ার ধেল শুরভি গন্ধে ভরপুর ?--.এবার কল্যাণী আসিয়া দেখিবে, তার পোকা আর গোক নাই, অপুৰ্ব্বত্ব বক্ত ক্লেশাঞ্জিত অর্থকে সে পরমাৰ্থ বলিয়া চিলিতে শিথিয়াছে ! কল্যাণীর অহঙ্কার হইবে । ১৬ই শ্রাবণ । বিষ্ণাঙ্গ হইতে পাশার জীড়া জমিঘltছ । কিন্তু পেলার দিকে অপূর্লর মমোম্বো নাই। ওর কেবলই মনে হয়—আগামী কল্যস্থায় তিথি...কল্যাণী ছাড়িম্ব গেল স্বপন, মাণিক কচি শিশু-একদিনের মাত্র। কী যে ও হারাইয়াছিল বোঝে নাই, অ্যঞ্জো হয় তে। ৰুধিতে পারে না, কিন্তু পুজের হক্টর পিত। বুঝিতে পারিস্কাছে মর্শ্বে-মৰ্ম্মে । অপুর্ব পাশার ধান ফেলিয়। ‘ছ-তিন-মঞ্চ দেখে, কিন্তু মুখে বলে –"কচে বারে । হাতের ছকটার ঘন-ঘন টfন দেয় । খেলা বেশীক্ষণ চলে না জায় । অপুৰ্ব্ব উঠিয়া ৰাষ্ট্ৰীয় দিকে অগ্রসর হয়।--দলগুদ্ধ সকলকে নিমন্ত্রণ করা হইয়াছে, অথচ যোগাঞ্জপত্র কি কতদূর হইল কে জানে বউমা বাড়ীতে এক -se পথের মাঝে দেখা হইয়া যার ইস্থলের সেক্রেটারী মাথনবাবুর সঙ্গে । ম্যানেজিং কমিটিৰু সচা ছিল, শেষ করিয়া বাড়ী ফিরিতেছেন। —কে ?--অপুদা f [नक्षि वर्षे —-ইস্কুলের মিটিং ছিল । --আজ সকাল সন্মীল ফিরলেন নে ? পেল ভেঙে গেল ? —ন, শেল চলছে । বাড়ীতে আমাৰ কাজ ..ভাই— —ষ্ট্যা-প্ত্য, শুনেছিলাম বটে। আমাকেও তে মেমঙ্গল্প করেছেন । • মিটিংএর পর এতক্ষ৭ এই সব হচ্ছিল । অপূৰ্ব্বর বুক ঠেলিঙ্গ কান্না আসিতেছিল। ভূমিষাশুদ্ধ লোক আজ তাহার প্রতি সহস্থভূতি সম্পন্ন । খ্রিজ্ঞাপ করিল—কি কথা হচ্ছিস ? --আপনার পত্নী বাংলল্যের কথ। অক্স কেউ হ’লে, আৰাৱ বিয়ে-শা করতে, কত ছেলে মেয়ে হ’ক্ত ? তা ছাড়া বছর বছর এই যে শ্রীষ্মের আltয়াজন, লোকজন গাওয়ানো-কটা লো+ে করে আজকাল -- স্ত্রীর জাভাব শেষ বয়সেষ্ট বেশী জল বার স্বপূদ"। আমি জানি— অপূৰ্ব আর দ্বাঞ্চাইতে চাছে না। চলিতে চলিতেই মাখনবাবু বলিলেন– কিন্তু এ সব না ক'রে একটা কাজের মত কাঞ্জ করুন অপুদা । মনে শাস্থি পাবেন, দেশগুদ্ধ লোক দু’হাত তুলে আশীৰ্ব্বাদ করবে । অপূৰ্ব্ব জিজ্ঞাহু দৃষ্টিতে চাহিল । মাখনধাৰু বলিতে লাগিলেন--কল্যাণী ঘেৰীয় স্থতি রক্ষার জন্যে আমাদের ইস্থল ঘরট। পাক ক’রে দিন । বেশী কিছু লাগবে না ; আমার মনে হয়, হাজারখালেক টাকা হ’লেই হ’য়ে স্বাবে । মাৰ্ব্বেল পাথরের ওপর বড়-বড় অক্ষরে লেখা থাকবে—‘ক্সপূৰ্ব্বমোহন চক্রবর্তীর পরলোকগভা পত্নী কল্যাণীদেবীর স্থতিরক্ষা কল্পে এই বিদ্যামজির নিৰ্ম্মিত হুইল ।...টাকাট দিয়ে, কাল কল্যাণী দেবীর মৃত্যুতিথিতেই কাজ স্থরু হয়ে থাকৃ । এই আপনাদের বামুন-ভোজন কুটুম্বভোজন করানো-ফী হয় এতে ? ভৰ্ম্মে ধি চালা ! এ হবে একটা কাজের মত কাজ ।
