পাতা:গল্পলহরী-নবম বর্ষ.djvu/৬০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{989 পিতারই কাছে শিঙ্গা পাইয়া মাণিক হইয়াছে সুশিক্ষিত এবং শুযোগ্য পুত্র । পিতার কথাও কাণে শুনিতে চাহিল না, আজ রাঞ্জের মধ্যেই এগারে খালি খন্তের স্থা কম্বিয় রাখিম্ভে হইবে। ছুদিন পরে মাম্ল দ্বাস্থের করা চাই-ই। তাযাধির সময় হইয়া আসিয়াছে। আগামী কল্য বাড়ীতে লোকস্থন শ্বাগুয়ান হুইবে ; মাণিকের স্ত্রী অধিক রাজি পৰ্য্যন্থ পৱিশ্ৰেম করিয়া আয়োজন পয় ঠিক করিখ রাখিস্বাছে । মাণিক তখনো টাকায় হুধ কষিত্তেছে । ওর কাছে টাকা খাম+পাই ভিন্ন বিশ্বজগতে এগন আর কিছুই যেন বাচিয়া যাই। —ওগো, খlর কতক্ষণ জেয়ী হবে ? --বাবা খেয়েচে ? --বাবা-কোথায় ? —এই তো এখানেই ছিল । ধরে গিয়ে শুয়ে পড়েছে হয়তে। মাণিক কাজে মণ शिश । পুত্রবধূ ঘরে চুকিয়াই, খণ্ডরের অবস্থা দেখিয়া বিশ্মিত হুইয়া গেল। দেখিল, গুডথনি রাত্রেও ঘরে জালে৷ জলিতেছে, আলোর স্বমুখে বসিয়া, প্রকাও একখানা কাগজে অপুৰ্ব্ব আপন মনে কি সব লিখিতেছে ; লিখিবর ভগ্নী প্রজ্ঞ । —বাৰা ? অপূৰ্ব্ব মুখ তুলিয়া চাহিল, এবং শঙ্গে সঙ্গে কাগজখানা বিছানার লীচে ভাঁজ করিয়া ব্লাগিয়া দিয়া, উঠিয়া দঁাড়াইল । —অনেক রাত হ’য়েচে বাবা, চলুল । বাশের অলিন হুইতে চাদরখানা লইয়া, ছাতিটা লইতে লইতে অপূৰ্ব্ব বলিল-আমি থাবো না বউম, তোমরা খণ্ডিয়া-দ্বীগুম্বা সেরে নাও গে। মাণিক খেয়েচে । —না। কিন্তু ছাত-চাদর নিয়ে, এই রাত্রে কোথায় যাবেন ? ধীরেন [ নবম বর্ষ —যে স্কিকে ছ’চোখ যায়।--যেখানে নিজের ছেলের ওপর জোর চলে না, সেখানে অীর ধাকৃবো না আমি। মাণিক আজ অপমান করেছে। - আমি চ'ল্লাম মা— রূঢ় চীৎকার করিতে করিতে মাণিক ঘরে চুকিয়া বলিল -বলি, মাণিক তোমার কী অপমাল কুঞ্জেছে ? তোপার রক্ত জল কল্প) পয়সা নিরে মদ খেয়েছি আমি ? জুয়ো খেলেছি, দুহাতে বিলিয়েছি ? কী ক'রেছি -“যা খুশী তোমার করে গে ; ভেবেছিলাম ভালো হবে, হ'লে সন্ম ---তোমার ঘর-সংসার ছেড়ে তুমি কেন যাবে! রাত পোহলে আমরাই বিদ্ধের হ’ম্বে যাবে -এই নীও চাবি, সমস্ত টাকা তুমি • বিলিয়ে স্থাও গে ; স্কুল কেন, গায়ে কলেজ হোক-ইসিপাগুলি হোকৃ—শুড়ির দোকান বহক,—ম্বা খুলী তোমার— মাণিক জ্ঞার কথা বলিতে পারিল না। লোহার সিন্ধুকের চাবিছড়া পিতার মুখে ফেলিস্ক দি যথাস্থানে কিরিয়া আসিল । তারপর এঞ্চগুলির পর একখানি করিয়া হিসাধের খাত্তাপত্রগুলি গুছাইয়া বাধিতে লাগিল। অপূৰ্ব্ব তখন ব্লগ অভিমান ভুলিয়া গেছে। উপবাসী ভিক্ষুক আহাঁধ্য পাইলে যে-ভাবে লুধিয়া নেয়, ঠিক তেমনি ভাবেই চাবিছড়া কুড়াইয়া লইয়া, ও লোহার সিন্ধুকটা খুলিল, এৰুং অনেকগুলি ভাড়া হইতে একতাড়া দশ টাকার নোট ৰাহির করিয়া লইয়া, পুনরায় স্বত্ত্বে সিন্মুক বন্ধ করিয়া দিল। তারপর চাবিছড়া পুত্রবধূর পায়ের গোড়ায় ছুড়িয়া দিয়া, দ্রুত ঘর হইতে খাহির হইয়া গেল।...মহাকাজের ব্যস্ততায়, ওর বাহ্যজ্ঞান লুপ্ত হইয়াছে ੋਰ পুনরায় সে ঘরে ঢুকিয়া স্ত্রীকে ভাকিল-বেরিখে এসে না?-saকী হচ্ছে?--- ও কি ? হাতে চিঠি কিলের ?