পাতা:গল্পলহরী-নবম বর্ষ.djvu/৬৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭২৮ বিস্থিত দৃষ্টিতে চাহিয়া আছে দেখিয়া বিনয় বোধ হয় কুষ্ঠা বোধ করিল। শশধরবাবু বুঝিতে পাৰ্বিয় তাহাকে হাত ধরিয়া মিজের কাছে টানিয়া জানিলেন এবং আসনে বসাইয়া বলিলেন,—“লজ্জা কি বিনয়বাৰু, —এরা সব অঙ্গুষ্ঠপ্রমাণ ঋষিদের বংশধর কি না তাই ই করে দেখছে। তবে আপনার শীৰ্বখানি যে দেখবার মত, এ সত্য আপনি অস্বীকার করতে পারবেন ন} * শশধরের কনিষ্ঠ পুত্র নীলু এভকাল বিনয়ে ৰক্ষলগ্ন হইয়াছিল ; এবার সরিয়া জাসিয়া বলিল —"দেখ, তোমরা কেউ জানতে পারলে না, অামি গিয়ে ধরে নিয়ে এলাম। আমার একদিন मियझ१ कृट्रब्र' श्रेईिएम्न ग्निtऊ झटूद ।” —"নিশ্চয় তুমি স্ট্রীষ্মের প্রভিজ্ঞ ভূত্ব কগিয়েছ, নিমন্ত্ৰণ তোমার স্নাযা প্রাপ্য—কিন্তু এই অঘটনটী তুমি ঘটালে কি কয়ে লেইটে আগে বলতে হচ্ছে ।” বক্তাটকে এতকাল লক্ষ্য করি নাই, এখার দেখিলাম। সদানন্দ গ্ৰেীচভদ্রলোক্ষ দেয়ালের দিকে একখাসা জারাম কেদারায় অঙ্গ এলাইয়া কাগজ পড়িতেছিলেন। শশধরবাবুর অন্তরঙ্গ বন্ধু; এই গৃহে তাহার জলাধারণ প্রতিঃ । তিনি পুনরায় বলিলেন—“কই নীলু, বিনয়বাৰুকে ধরে স্থানবায় পালট। শেষ কর।” —"সে কথা বলতে পারব না কাকাবাবু, নিষেধ আছে * ইহার একটা কথাও যে নীলুর নিজের নম্ব তাহা স্পষ্ট বুঝিলাম ; কিন্তু রূহুলাটা ঠিক ধরা গেল না । কল্পনায় অনেক কিছুই ভাবিয়া লইলাম, কিন্তু কিনারা হুইল লা। মায়ার দিকে চাহিয়া দেখিলাম লক্ষ্মীপরিবেষ্টিত মায় এখন আর জাৰঘণ্টা পূৰ্ব্বের মায়া নাই– আননের জাতিশয্যে বিজয়িনী الأسسة [নবম বর্ষ মূৰ্ত্তি ধারণ করিয়াছে। বুকটা মিয়া গেল— কপালটায় একটু বস্ত্ৰণ অনুভব করিলাম। বিনয়ের প্রতি প্রতি মনটা বিরূপ হুইল । কিন্তু সে নিৰ্ব্বিকার। সেই যে তখন হইতে শশধরবাবুর সহিত আলাপ জুড়িয়া দিয়াছে— মায়ার দিকে একবার ফিরিয়াও চাহিতেছে না । তাহার আধুনিক ষিদ্বেষ জানি—ইহা লইয়া অনেক খণ্ডযুদ্ধও হইয়া গিয়াছে ; কিন্তু এতগুলি তক্রণীর সমাবেশ দেখিয়া তাহাঁদের প্রতি একজাপট গোপন কটাক্ষও যে সে করিবে না। এ বিশ্বাস আমার ছিল না। মনট আরও জুমিয়া গেল । মায়ার যা এতকাল এই গুহে ছিলেন না ; বোধ হয় কোন কার্থ্যে বাস্ত ছিলেন ; আসিয়া বলিলেন—“তোমরা পরে গল্প কোরো,একটু মুখে দিয়ে নাও কিছু। এল বিনয়, তোমার আলাদা বম্বোধন্ত আমি করেছি।” সকলে বিস্থিত হইয়া ব্যাপারটা জানিতে চাহিল। তিনি খলিলেন—“সব জিনিষ উনি খান না—প্তা ছাড়া সকলের ছোয়াও নয়।” —”এই ছুংমার্গ পরিহারের যুগে এটা আর কেন বিনম্বৰ বু।” বিনয় মুখ তুলিয়া বক্তার দিকে ফিরিয়া চাহিল। সে চোখের দৃষ্টি দেখিম। বক্তার রহস্যের স্পুহ নিঃশেষে মুছিয়া গেল। তিনি গামলাইয়' লইয়া বলিলেন--"কিছু মনে কল্পবেল না বিনয়বাৰু, ও-টা কথার কথা ।” ধিনস্থ উত্তর করিল—“কথাটা চিরদিনই কখাঁর কথ}--তবে আমার কাছে নয়, বিশেষ মামুষের জীচার-ব্যৰহাঁর উপলক্ষ করে। একটা অনুরোধ জামার---- বক্তা বিনয়কে বাধা দিয়া বলিলেন—“সে প্ৰাষি বুঝেছি—এ স্কুল জায় যাতে না হয় তার চেষ্ট সাধ্যমত করব।"