পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একটি সাদা গল্প ১৩৭ —কোন ক্ষেত্রপতি মুখুয্যে ? -আমাদের গ্রামের ক্ষেত্রপতি হে, দক্ষিণপাড়ায় যার বড় বাড়ী । --আপনি কি আমার সঙ্গে রসিকতা করছেন ? --মেয়ের বিয়েকে, বাবাজি, আমি নই, তুমিই রসিকতা মনে কর। —বলেন কি, তার স্ত্রী ত আজি সবে তিন দিন হল মারা গেছে ! —সেই জন্যেই ত সে এই বিষয়ে প্রস্তাব করে পাঠিয়েছে। তার স্ত্রী বেঁচে থাকলে তা আর তুমি তোমার মেয়েকে সতীনের ঘর করতে পাঠাতে না ? --কিন্তু ক্ষেত্রপতি যে আমার একবয়সী ? --দোজ্যবরে বলেই ত সে তোমার মেয়েকে বিয়ে করতে রাজি হয়েছে । বিশ একুশ বছরের মেয়েকে ত আর কোনও বিশ একুশ বছরের ছেলে বিয়ে করবে না। এতদিন ত চেষ্টা করে দেখেছ ? —কিন্তু আমার মেয়ের বয়স ত আর বিশ একুশ নয়। —বাবাজি, আমার কাছে আর মিছে কথা বলে কি হবে ? আমিই ত বলে বেড়াচ্ছি যে, ওর বয়েস বারো কি তের। আসল বয়েস আর কেউ জানুক আর না জানুক-আমি ত জানি । তোমাকে ত সেদিন জন্মাতে দেখলুম, তুমি কি আমাকে ভোগ দিতে পাের ? —কিন্তু ক্ষেত্রপতি যে আকাট মুৰ্থ, সে ত এনট্রান্সও পাস করেনি ? --সেই জন্যেই ত তোমার মেয়ে বিয়ে করষ্ঠত সে রাজি হয়েছে। তোমার টাকা দেবার সামর্থ্য নেই। আর বিনে পয়সায় পাস-করা ছেলে মেলে না, এর প্রমাণ ত হাজার বার পেয়েছা! শ্যামলাল বুঝলেন যে তাঁর খুড়ার সঙ্গে আর তর্ক করা অসম্ভব, কেননা, খুড়োমহাশয়ের কথাগুলো যে সবই সত্য, তা তিনি অস্মীকার করতে পারলেন না ; অথচ এ বিবাহের প্রস্তাবে তাঁর হৃদয়মন একেবারে বিদ্রোহী হয়ে উঠেছিল। তঁর মনে হচ্ছিল যে, ক্ষেত্রপতির সঙ্গে বিয়ে দেওয়া আর শ্ৰীমতীকে জ্যান্ত গোর দেওয়া-একই কথা । তাই তিনি চুপ করে রইলেন। তাঁর খুড়ে ধরে নিলেন যে, সে (भोमड সম্মতির লক্ষণ। তিনি অমনি বাড়ী থেকে বেরিয়ে গিয়ে ক্ষেত্রপতিকে فيلا