পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমরা সেদিন ক্লাবে তাস-খেলায় এতই মগ্ন হয়ে গিয়েছিলুম যে, রাত্তির যে কত হয়েছে সে দিকে আমাদের কারও খেয়াল ছিল না । হঠাৎ ঘড়িতে দশটা বাজল শুনে আমরা চমকে উঠলুম। এরকম গলাভাঙ্গা ঘড়ি কলকাতা সহরে আর দ্বিতীয় নেই। ভাঙ্গা কঁাসির চাইতেও তার আওয়াজ বেশী বাজখাই, এবং সে আওয়াজের রেশ কাণে থেকেই যায়,--আর যতক্ষণ থাকে ততক্ষণ আসোয়াস্তি করে। এ ঘড়ির কণ্ঠ আমাদের পূর্বপরিচিত, কিন্তু সেদিন কেন জানিনে তার খ্যানখানানিটে যেন নূতন করে, বিশেষ করে, আমাদের কাণে বাজল । হাতের তাস হাতেই রেখে, কি করব ভাবচি--এমন সময়ে সীতেশ শশব্যস্ত হয়ে উঠে দাঁড়িয়ে, দুয়োরের দিকে মুখ ফিরিয়ে বললেন“Boy, গাড়ী যোগস্থনে বলে।” পাশের ঘর থেকে উত্তর এল-“যো হুকুম !” সেন বললেন-“এত তাড়া কেন ? এ হাতটা খেলেই যাও না।” সীতেশ ।--বেশী ! দেখছি না। কত রাত হয়েছে ! আমি আর এক মিনিটও পাকব না। এমনিই ত বাড়ী গিয়ে বকুনি খেতে হবে! সোমনাগ জিজ্ঞেস করলেন—“কার কাছে ?” সীতেশ -স্ত্রীরসোমনাথ উত্তর করলেন —“ঘ র স্ত্রা কি দুনিয়াতে এক তোমারই আছে, আর কারও নেই ?” সীতেশ।--তোমাদের স্ত্রীরা এখন হাল ছেড়ে দিয়েছে। বাড়ীতে তোমরা কখন আসে যাও, তাতে তাদের কিছু আসে যায় না। সেন বল্লেন—“সে কথা ঠিক। তবে একদিন একটু দেরী হয়েছে, 了夺西可······ সীতেশ।—একটু দেৱী ? আমার মেয়াদ আটটা পর্যন্ত—আর এখন দশটা। আর এ-ত একদিন নয়, প্রায় রোজই বাড়ী ফিরতে তোপ পড়ে যায় । R