८छ्° & 3 ή সাহেবে জ্বলিয়েছে, দিনটা হয়ত আর একটা সাহেবে জ্বালাবে, সম্ভবত বেশিই জ্বালাবে, কেননা আগন্তুক যে সরকারী সাহেব তার সাক্ষীতার চাপরাশ-ধারী পেয়াদ--সুমুখেই হাজির ছিল। আমি ভয় ভায়ে বেঞ্চির এক কোণে জড়সড় হয়ে বসলুম। স্বীকার করছি, আমি বীরপুরুষ নই। অতঃপর যিনি কামরায় প্রবেশ করলেন। তঁকে দেখে আমি, ভীত না তই, চকিত হয়ে গেলুম। তাঁর নাম মিস্টার Day না হয়ে মিস্টার Night হলেই ঠিক হত। আমরা বাঙালীরা শুনতে পাই মোঙ্গল-দ্রাবিড় জাত। কথাটা সম্ভবত ঠিক, কেননা আমাদের অধিকাংশ লোকের চেহারায় মঙ্গোলিয়ানের রঙের বেশ একটু আমেজ আছে। কিন্তু পাকা মাদ্রাজি রঙ শুধু দুচার জনের মধ্যেই পাওয়া যায়। Mr. Day সেই সুচার জনের একজন। আমি কিন্তু তাঁর রঙ দেখে অবাক হইনি, চেহারা দেখে চমকে গিয়েছিলুম। এ দেশে ঢের শ্যামবর্ণ লোক আছে যারা অতি সুপুরুষ, কিন্তু এই হার্টকোটধারী যে কোন জাতীয় জীব তা বলা কঠিন। মানুষের সঙ্গে ভাটার যে কতটা সাদৃশ্য থাকতে পারে ইতিপূর্বে তার চাক্ষুষ পরিচয় কখনই পাইনি। সেই দৈর্ঘ্য প্রস্তে প্রায় সমান লোকটর, গা হাত পা মাথা চােখ গাল সবই ছিল গােলাকার। তারপর তীর সর্বাঙ্গ তাঁর কোট-পেণ্টালুনের ভিতর দিয়ে ফেটে বেরুচ্ছিল। কোট পেণ্টলুন ত কাপড়ের-ঠার দেহ যে তার চামড়া ফেটে বেরয়নি, এই আশ্চর্য! তাঁকে দেখে আমার শুধু কোলাবেরঙের কথা মনে পড়তে লাগল, আর আমি হাঁ করে তঁর দিকে চেয়ে রইলুম। যা অসামান্য তাই মানুষের চোখকে টানে, তা সে সু-রূপই হোক আর কুরূপই হােক। একটু পরে আমার হাঁস হল যে ব্যবহারটা আমার পক্ষে অভদ্রতা হচ্ছে। আমনি আমি তার সুগোল নিটােল বাপু থেকে চােখ তুলে নিয়ে অন্য দিকে চাইলুম। অন্ধকারের পর আলো দেখলে লোকের মন যেমন এক নিমেষে উৎফুল্ল হয়ে উঠে, আমারও তাই হল। এবার যা চোখে পড়ল, তা সত্য সত্যই আলো-লে রািপ আলোর মতই উজ্জ্বল, আলোর মতই প্রসন্ন। Mr. Day-র সঙ্গে
